মাগুরায় রেল লাইন নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন আগামীকাল

মোখলেছুর রহমান,মাগুরা জেলা প্রতিনিধি মে ২৬, ২০২১, ০৪:২৮ পিএম
ছবি: আগামী নিউজ

মাগুরা: প্রায় ১২’শ ২ কোটি ৪৯ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ‘মধুখালী হতে কামারখালী হয়ে মাগুরা শহর পর্যন্ত’ ২৪.৮ কিলোমিটার নতুন রেল লাইন নির্মাণ হচ্ছে। 

আগামীকাল বৃহস্পতিবার (২৭ মে) সকাল ১১ টায় প্রধান অতিথি হিসেবে গণভবন থেকে ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন। 

এ সময় মাগুরা প্রান্তে সদর উপজেলার রামনগর হরিপদ মাধ্যমিক বিদ্যায়ল প্রাঙ্গন ভিডিও কনফারেন্সে সংযুক্ত থাকবেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন, মাগুরা-১ আসনের সংসদ সদস্য এ্যাডভোকেট সাইফুজ্জামান শিখর, মাগুরা-২ আসনের সংসদ সদস্য ড. বীরেন শিকদার, রেল সচিব মোহাম্মদ সেলিম রেজা, খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মোহম্মদ ইসমাইল হোসেনসহ বিভিন্ন পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তরা থাকবেন বলে জেলা প্রশাসক
ড. আশরাফুল আলম জানিয়েছেন। 

এ উপলক্ষে রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন বুধবার (২৬ মে) দুপুর ১২ টার দিকে মাগুরা সদর উপজেলার হরিপদ মাধ্যমিক বিদ্যালয় চত্বরে অনুষ্ঠান স্থল পরিদর্শন করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন মাগুরা-১ আসনের সংসদ সদস্য এ্যাডভোকেট সাইফুজ্জামান শিখর, জেলা প্রশাসক ড. আশরাফুল আলম, পুলিশ সুপার জহিরুল ইসলাম, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পঙ্কজ কুন্ডু, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবু নাসির বাবলুসহ রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। 

রেল লাইন নির্মাণ প্রকল্পের পরিচালক মোহাম্মদ আসাদুল হক জানান, ১২’শ ৪ কোটি টাকা ব্যয়ে মধুখালী হতে কামারখালী হয়ে মাগুরা শহর পর্যন্ত ২৪.৮ কিলোমিটার নতুন রেলপথ নির্মাণ করা হবে। এছাড়া মাগুরা ও কামারখালীতে ২টি নতুন স্টেশন ও ২টি প্লাটফর্ম, ২টি সেড নির্মাণ, একটি আন্ডারপাস, গড়াই ও চন্দনায় ২টি মেজর রেল সেতু, ২৮ মাইনর ব্রীজ ও কালভার্ট নির্মাণ করা হবে। এর পাশাপাশি সিগন্যালিং ও ইলেকট্রিক্যাল কাজ করা হবে। এ কাজের জন্য ১৩০ একর ভূমি অধিগ্রহনের কাজ চলছে। 

তিনি আরো জানান, বর্তমান সরকার দেশের প্রতিটি জেলাকে রেল নেটওয়ার্কের আওতায় আনার যে মহাপরিকল্পনা গ্রহন করেছে, সে লক্ষে মাগুরা জেলাকে নতুন করে রেল সংযোগের আওতায় আনার মধ্যদিয়ে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চালের জনপথকে রেল সেবা প্রদান করা সম্ভব হবে। মাগুরা জেলাকে পদ্মা সেতুর মাধ্যমে রাজধানী ঢাকা ও দেশের অন্যান্য স্থানের সাথে সংযোগ স্থাপনের মাধ্যমে ব্যবসা বাণিজ্য এবং দেশের অভ্যন্তরীণ যোগাযোগের উন্নয়ন সাধনে সুযোগ সৃষ্টি হবে।