গাজীপুরে

মালিকের সহায়তায় কিশোরীকে গণধর্ষণ

মোক্তার হোসেন , জেলা প্রতিনিধি সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২০, ০৯:২৩ এএম
ফাইল ছবি

গাজীপুরঃ জেলার এক নারী বাসা মালিক সেলিনা আক্তারের সহায়তায় কিশোরীকে (১৫) গণধর্ষনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। নগরীর পুবাইল থানার মাজুখান এলাকায় গত শুক্রবার (১১ সেপ্টেম্বর) রাতে এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় গত রোববার (১৩ সেপ্টেম্বর) মাজুখান এলাকায় অভিযান চালিয়ে আবু হানিফ ও শাহ আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

ঘটনার পর থেকে বাড়ির মালিক সেলিনা পলাতক রয়েছেন। গাজীপুর মেট্রোপলিটন (জিএমপি’র) পূবাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হক ভূইয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার হেমায়েত নগর গ্রামের ইস্কান্দার আলী সরদারের ছেলে শাহ আলম (৩৭) এবং টঙ্গী পূর্ব থানার ফকির মার্কেট এলাকার শান্ত ললিতকলা একাডেমির মালিক ও নাচ-গানের প্রশিক্ষক আব্দুল আলিমের ছেলে আবু হানিফ (৪৬)।

পূবাইল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জামিল উদ্দিন রাশেদ জানান, মাজুখান এলাকায় মাদক ব্যবসায়ী সেলিনা বেগমের বাসায় ওই কিশোরী ভাড়া থেকে একটি টেইলার্সের দোকানে কাজ করেন। কিশোরীর গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহে। গত ১১ সেপ্টেম্বর রাত ১১টার দিকে বাসার মালিক সেলিনা কৌশলে কিশোরীকে ওই বাড়ির একটি কক্ষে প্রবেশ করায়। পরে বাইরে থেকে দরজা আটকে দেয়। আবু হানিফ এবং শাহ আলম নামে দু’ব্যাক্তি ওই কক্ষে আগে থেকেই অবস্থান করছিল। ওই দু’ব্যাক্তি কিশোরীর সাথে কথা বলার এক পর্যায়ে আকষ্মিক কিশোরীর হাতে থাকা মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে মাটিতে ছোড়ে ভেঙ্গে ফেলে। পরে নানা ভয়ভীতি দেখিয়ে তারা ধর্ষণ করে। পরবর্তীতে হানিফ ও শাহ আলম ঘর থেকে বের হওয়ার সাথে সাথে বাইরে অবস্থানরত আরও দু’জন ঘরে ঢুকে। পরে তারাও ভয়ভীতি দেখিয়ে কিশোরীকে ধর্ষণ করে।

গাজীপুর মেট্রোপলিটন (জিএমপি’র) পূবাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হক ভূইয়া জানান, শনিবার ওই কিশোরী বাদী হয়ে পাঁচজনকে অভিযুক্ত করে একটি মামলা করেছেন। দুইজনকে গ্রেপ্তার করে গাজীপুর আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অন্যদেরকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। রোববার গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কিশোরীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে।

আগামীনিউজ/মিথুন