১৭ ঘণ্টা পর সচল ময়মনসিংহের বিদ্যুৎ

নিজস্ব প্রতিবেদক সেপ্টেম্বর ৯, ২০২০, ০৮:৫৬ পিএম
সংগৃহীত

কেওয়াটখালী উপকেন্দ্রে আগুন লাগার পর ময়মনসিংহে পুরোপুরি বিদ্যুৎ সরবরাহ সচল হতে সময় লেগেছে ১৭ ঘণ্টা। বুধবার সকাল ৬টা থেকে স্বাভাবিক হয় বিদ্যুৎ সরবরাহ। এর আগে মঙ্গলবার রাত ৮টা থেকে বিভাগের শেরপুর, জামালপুরসহ অন্যান্য জেলায় বিদ্যুৎ সংযোগ চালু হয়। ময়মনসিংহ শহরে রাতে একাধিকবার বিদ্যুৎ চালু করার চেষ্টা করা হলেও তা ব্যর্থ হয়।

নগরীর কেওয়াটখালী এলাকায় ১৩২/৩৩ কেভি গ্রিড উপকেন্দ্রের ট্রান্সফরমারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে মঙ্গলবার দুপুর ১টায়। প্রায় এক ঘণ্টা পর ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে আনলেও ময়মনসিংহ বিভাগের ময়মনসিংহ, শেরপুর, জামালপুর, নেত্রকোনা জেলা ও ঢাকা বিভাগের কিশোরগঞ্জ জেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। টানা ছয়-সাত ঘণ্টা অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হয় এসব অঞ্চলের মানুষকে। ওই দিন সন্ধ্যার পর চালু হয় ময়মনসিংহ শহর ছাড়া বাকি সব জেলা ও উপজেলায়। রাত ১টার দিকে সচল হয় ময়মনসিংহ শহরে। তবে কিছু সময়ের জন্য। সর্বশেষ বুধবার সকাল ৬টা থেকে ময়মনসিংহ শহরসহ সব জেলা-উপজেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ পুরোপুরি সচল হয়।

নগরীর বড় মসজিদ এলাকার বাসিন্দা কাপড় ব্যবসায়ী রহমত আলী বলেন, দীর্ঘ সময় বিদ্যুৎ না থাকায় তাদের সীমাহীন কষ্ট ভোগ করতে হয়েছে। এমনিতেই অন্ধকার ভূতুড়ে নগরী, তার ওপর ভ্যাপসা গরম- সব মিলিয়ে ১৭টি ঘণ্টা একটা দুঃসময়ের মধ্য দিয়ে গেছে।

গ্রিড উপকেন্দ্রের সহকারী প্রকৌশলী তাজুল ইসলাম বলেন, তিনটি ট্রান্সফরমারের মধ্যে দুটি চালু করা সম্ভব হয়েছে। এ দুটি দিয়েই সম্ভাব্য সব স্থানে বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু রাখা হয়। এর পরও অন্যটি মেরামতের কাজ চলছে। ঢাকা থেকে বিশেষজ্ঞ প্রকৌশলী আনা হয়েছে। আশা করা হচ্ছে, দ্রুত সময়ের মধ্যে সেটি সচল হবে।

বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম বলেন, কী কারণে ট্রান্সফরমারে আগুন লেগেছে এখনও তা জানা যায়নি। এ ঘটনায় অপারশেন ও সংরক্ষণ বিভাগের নির্বাহী পরিচালক মাসুম আলম বকসিকে আহ্বায়ক করে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। প্রতিবেদন পেলেই ঘটনার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যাবে।