কুয়াকাটায় দেশি-বিদেশি হাজারো পর্যটকের ভিড়

কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি আগস্ট ৩, ২০২০, ০১:৫৭ পিএম

হাজোরো দেশি-বিদেশি পর্যটকের পদবারে এখন মুখোরিত কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত। ফলে করোনা ভাইরাসের ভয়কে জয় করে দীর্ঘদিন পর আবার উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে সাগর কন্যা খ্যাত এই সমুদ্র সৈকতে।

এদিকে ‘পরিচ্ছন্ন কুয়াকাটা- পরিচ্ছন্ন আমরা’ - এই শ্লোগানকে সামনে রেখে ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব কুয়াকাটার (টোয়াক) উদ্যোগে ঈদুল আজহার ছুটিতে কুয়াকাটা সৈকতে পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে রোববার (২ আগস্ট) সৈকতে পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালানো হয়েছে।

পরিচ্ছন্নতা অভিযানে অংশগ্রহণকারীরা বলেন, সূর্যোদয়-সূর্যাস্তের বেলাভূমি কুয়াকাটা দেশ বিদেশের পর্যটকদের কাছে একটি পরিচিত নাম। বিশ্বের ভ্রমণ পিপাসু মানুষ ভ্রমণের জন্য কুয়াকাটাকে বেছে নিয়েছে। পর্যটকদের ভ্রমণ উপযোগী হিসেবে কুয়াকাটাকে গড়ে তুলতে আমাদেরই এগিয়ে আসতে হবে। কুয়াকাটা সৈকতকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা সবারই কর্তব্য। তাই এখানকার পর্যটনমুখী ব্যবসায়ীদের সচেতনতার লক্ষ্যে এ পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালানো হয়েছে।
 
পরিচ্ছন্নতা অভিযানে কুয়াকাটা প্রেসক্লাবের সভাপতি নাসির উদ্দিন বিপ্লব, সাধারণ সম্পাদক কাজী সাঈদ, টোয়াকের প্রেসিডেন্ট রুমান ইমতিয়াজ তুষার, সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন আনুসহ অন্যান্য সদস্যরা অংশ নেন।

প্রসঙ্গত, বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের কারণেএ বছর পর্যটন মৌসুম শুরু হওয়ার পর থেকে কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত পর্যটক শূন্য হয়ে পড়ে। গত ১ জুলাই পর্যটনমুখী ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার পর ঈদে পর্যটকদের ভিড় বাড়তে শুরু করে। ঈদের প্রথম দিন থেকে কুয়াকাটায় শত শত পর্যটক আসছেন আবাসিক হোটেলগুলো কম-বেশি বুকিং হয়েছে। তবে আবাসিক হোটেল শিকদার রিসোর্ট অ্যান্ড বিলাস, কুয়াকাটা গ্র্যান্ড, হোটেল গ্রেভার ইন, হোটেল সি ক্রাউন ইনসহ প্রথম শ্রেণির হোটেলগুলোতে তেমন ভিড় দেখা যায়নি।

কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এম এ মোতালেব শরীফ বলেন, করোনাভাইরাস মহামারির কারণে দীর্ঘ কয়েক মাস পর্যটনমুখী ব্যবসা বন্ধ থাকার পর এই প্রথম উল্লেখযোগ্য সঙখ্যক পর্যটক এসেছেন। অনেক পর্যটক অগ্রিম হোটেল বুকিং দিয়েছেন। এভাবে পর্যটকদের আসা অব্যাহত থাকলে আমাদের মন্দা কেটে যাবে। কুয়াকাটার প্রত্যকটি হোটেল স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলছে। তাই এখানে করোনার ভয় নেই।

আগামীনিউজ/রাসেল কবির মুরাদ/এমজামান