সংবর্ধনায় সিক্ত জাককানইবির আইন বিভাগের সেরা ৩ শিক্ষার্থী

জাককানইবি প্রতিনিধি নভেম্বর ২৬, ২০২১, ০২:৪৮ পিএম
ছবি: আগামী নিউজ

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন ও বিচার বিভাগের যাত্রা শুরু হয় ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষ থেকে। প্রথম এই ব্যাচটির ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে স্নাতক। একসাথে ৬৩ জন শিক্ষার্থী আইন অনুষদের অধীন আইন ও বিচার বিভাগ থেকে সম্পন্ন করেন এল.এল.বি (সম্মান)। সদ্য স্নাতক সম্পন্ন করা এই ব্যাচটির সেরা তিন শিক্ষার্থীকে সংবর্ধনা দিলেন তাদেরই এক বন্ধু কাজী মমিনুল হাসান।  

বৃহস্পতিবার (২৫ নভেম্বর) বিকেল ৩টায় আইন অনুষদের মুট কোর্ট কক্ষে বিভাগের শিক্ষকদের উপস্থিতিতে তার শিক্ষাবর্ষের সেরা তিনজন শিক্ষার্থীকে এই সংবর্ধনা দেয়া হয়। তাদের মধ্যে প্রথম হয়েছেন তানিয়া আক্তার, দ্বিতীয় ফারজানা শাম্মী ও তৃতীয় স্থানে আছেন মোহাম্মদ নূরে আলম সিদ্দিকী। 

এসময় উপস্থিত ছিলেন আইন ও বিচার বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মোহাম্মদ ইরফান আজিজ, সহকারী অধ্যাপক আসাদুজ্জামান নিউটন, প্রভাষক মনির আলম, অরিন্দম বিশ্বাস ও উম্মে হাবিবা মৌ। 

বিভাগের ১ম ব্যাচের শিক্ষার্থী সাত্ত্বিক মাহবুব এর সঞ্চালনায় এসময় শিক্ষকগণ বিভাগের শুরুর ঘটনাকে স্মৃতিচারণ করে বলেন, এক সময় আমাদের বিভাগের ক্লাস নেওয়ারও কক্ষ পর্যন্ত ছিল না। আজ কক্ষ পেয়েছি, সেমিনার লাইব্রেরীও পেয়েছি। এতদিন আপনারা পড়াশোনার মধ্যে থাকলেও চিন্তা মুক্ত ছিলেন। কিন্তু স্নাতকোত্তর শেষ হলে আপনাদের নতুন করে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে হবে। এই সময় মানুষের জীবনে সবচেয়ে কঠিন সময়। এই সময়ে ধৈর্য ধরে চাকরির প্রস্তুতি গ্রহণ করবেন। নিজের মধ্যে আত্মবিশ্বাস রাখবেন যে আপনি এই কঠিন সময় অতিক্রম করতে পারবেন। কোন ভাবেই হতাশ হবেন না। কারণ হতাশা সফলতার অন্তরায়। শুধু আজকের বিভাগ সেরা তিন জন নয় বরং আপনারা প্রত্যেকে যাতে আপনাদের সর্বোচ্চ অবস্থানে পৌঁছাতে পারেন সেই প্রত্যাশা করছি। এ সময় তারা মুমিনুল হাসানের এমন উদ্যোগের জন্য তাকে সাধুবাদ জানান।

আলোচনা অনুষ্ঠান শেষে বিভাগের শিক্ষকগণ ১ম ব্যাচের সেরা তিন শিক্ষার্থী তানিয়া আক্তার, ফারজানা শাম্মী ও মোহাম্মদ নূরে আলম সিদ্দিকীকে ক্রেস্ট প্রদান করেন। পুরস্কারপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা তাদের অনুভূতি ব্যক্ত করতে গিয়ে বলেন, আজকের এমন প্রাপ্তি তাদের জীবনের অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করবে এবং এই অনুপ্রেরণাকে কাজে লাগিয়ে তারা ভবিষ্যত জীবনে সফলতা লাভ করবেন বলে প্রত্যাশা করেন। সংবর্ধনা অনুষ্ঠান শেষে শিক্ষার্থীরা ঐ কক্ষেই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

 এ ব্যাপারে কাজী মমিনুল হাসান বলেন, ‘আমি চেয়েছিলাম তাদের এই প্রাপ্তি আমি ও আমার বিভাগের সকলে মিলে একসাথে উদযাপন করি। কারণ তারা আমাদের বিভাগের গর্ব। হয়তো তারা একসময় দেশের জন্য গর্বের কেউ হবেন।’

আগামীনিউজ/ হাসান