1. প্রচ্ছদ
  2. জাতীয়
  3. সারাবাংলা
  4. রাজনীতি
  5. রাজধানী
  6. আন্তর্জাতিক
  7. আদালত
  8. খেলা
  9. বিনোদন
  10. লাইফস্টাইল
  11. শিক্ষা
  12. স্বাস্থ্য
  13. তথ্য-প্রযুক্তি
  14. চাকরির খবর
  15. ভাবনা ও বিশ্লেষণ
  16. সাহিত্য
  17. মিডিয়া
  18. বিশেষ প্রতিবেদন
  19. ফটো গ্যালারি
  20. ভিডিও গ্যালারি

গাভী দুধ দেয় একরকম, তিন দামে বিক্রি, পরিমাপে কারসাজি

উপজেলা প্রতিনিধি, চুনারুঘাট (হবিগঞ্জ) প্রকাশিত: জুন ৮, ২০২৩, ১২:০৬ পিএম গাভী দুধ দেয় একরকম, তিন দামে বিক্রি, পরিমাপে কারসাজি

হবিগঞ্জঃ জেলার চুনারুঘাটে গাভীর দুধ নিয়ে চলছে ক্রেতা ঠকানোর রমরমা ব্যবসা। এ যেন দেখার কেউ নেই! গাভী দুধ দেয় একরকম আর তিন দামে বিক্রি করা হচ্ছে দুধ। ফার্মের দুধ ১০০-১২০ টাকা, বিভিন্ন চা বাগান ও  গ্রামাঞ্চল থেকে সংগ্রহকৃত দুধ ১৪০-১৫০ টাকা দামে বিক্রি করা হয়। আংশিক পরিমাণ গাভীর দুধ, পানীয়, পাউডার দুধ দিয়ে মিশ্রণ করে সেই দুধ বাজারে বিক্রি করছেন কিছু অসাধু ব্যবসায়ীরা। দুধের স্বাদ ও পুষ্টির আদলে, স্বাস্থ্যের ঝুঁকি বাড়ছে।

ব্যবসায়ীদের অজুহাত, যেমন উপজেলার বিভিন্ন চা-বাগানের চা শ্রমিকের নিজস্ব পশুর গাভীর দুধ সংগ্রহ করে একটু বেশি দামে বিক্রি করা হয়। তাছাড়া বিভিন্ন গ্রামাঞ্চলের ঘরগৃহস্থ থেকে সংগ্রহকৃত দুধ একই দামে বিক্রি হচ্ছে। ফার্মের দুধ ১০০-১২০ টাকা দামে বিক্রি করা হয়। ১৪০ -১৫০ টাকা দামের বিভিন্ন চা বাগান ও গ্রামাঞ্চল থেকে সংগ্রহ  করা দুধ কিনে কিছুটা খাবার যোগ্য মনে হলেও ১০০-১২০ টাকা দামের ফার্মের দুধ পানির মতো, যা খাবার অযোগ্য। তবুও অসহায়ের মতো এসব দুধ কিনে খেতে হচ্ছে। তার উপর তো গাভীর দুধ, পানীয়, পাউডার দুধ মিশ্রণ করে বিক্রয় করা হচ্ছে। চাহিদার তুলনায় উপজেলায় সর্বস্ব পাওয়া যাচ্ছে দুধ। এনিয়ে ভোক্তাদের মনে নানান  প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। ভোক্তার প্রশ্ন, বেশি দাম আর কম দাম, যেটাই খাই, সেই দুধ কি আর আসল? অসাধু ব্যবসায়ীরা সব সময় সচেতন সমাজকে ঠকিয়েই যাচ্ছে। তা প্রতিহত করা এখনই প্রয়োজন মনে করছেন সচেতন মহল।

চা স্টল, ভেরাইটিজ স্টোর, ছোট টং দোকানসহ গ্রামাঞ্চলের বিভিন্ন দোকানে ১০০-১১০ টাকা, ১২০-১৩০ টাকা, ১৪০-১৫০ টাকা দামে পাওয়া যাচ্ছে  দুধ। আসল-নকলের মাঝেও ওজনে কারসাজি তো আছেই। এল স্কেল  বা ওজন মাপার মেশিনে ৮০০-৯০০ গ্রাম দুধ ওজন দিয়ে কেজি বলে ব্যবসায়ীরা বিক্রি করছেন বলে জানা গেছে।

নাম না প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ভেরাইরিজ স্টোর ব্যবসায়ী বলেন, বিভিন্ন ফার্ম, চা বাগান, গ্রামাঞ্চল থেকে সংগ্রহ করা দুধ আলাদা করে ফ্রিজিং করে রেখে বিক্রি করা হয়। দুধ সংগ্রহকারীরা আমাদের যে দুধ দেয়, তা বোতলে ওজন দিয়ে দেয়া হয়। সেই দুধ, বিভিন্ন দামে বিক্রয় করা হয়ে থাকে। দুধে মিশ্রণ ও কোনো কারসাজি করে থাকলে দুধ সংগ্রহকারীরা করে থাকেন। এক সংগ্রহকারী দুধ ব্যবসায়ী বলেন, বিভিন্ন চা বাগান, গ্রামাঞ্চল থেকে দুধ সংগ্রহ করে হালকা পরিমাণ পানীয় মিশ্রণ করা হয়। কিন্তু ফার্মের দুধ এতো ঘন না থাকায় সেই দুধে পাউডার দুধ, পানীয় মিশ্রণ করে জ্বাল দিয়ে বাজারে সরবরাহ করা হয়।

পৌর এলাকার মানিক মিয়া নামে একজন বলেন, আমার পাশ্ববর্তী বাড়ির একজন গরুর ফার্ম করেছে। তার চারটি দুধের গাভী প্রায় ১৩০-১৪০ লিটার দুধ দেয়। তিনি এই দুধে পানি মিশ্রণ করে ২০০-২৫০ লিটার করে, সেই দুধ বাজারে সরবরাহ করছেন। তাতে ক্রেতাসাধারণ ঠকছেন।

এই বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিদ্ধার্থ ভৌমিক বলেন, বিষয়টি নজরে এসেছে। ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ভোক্তা অধিকার আইন লঙ্ঘনে এসব ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

শংকর শীল/বুইউ

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে
Small Banner