1. প্রচ্ছদ
  2. জাতীয়
  3. সারাবাংলা
  4. রাজনীতি
  5. রাজধানী
  6. আন্তর্জাতিক
  7. আদালত
  8. খেলা
  9. বিনোদন
  10. লাইফস্টাইল
  11. শিক্ষা
  12. স্বাস্থ্য
  13. তথ্য-প্রযুক্তি
  14. চাকরির খবর
  15. ভাবনা ও বিশ্লেষণ
  16. সাহিত্য
  17. মিডিয়া
  18. বিশেষ প্রতিবেদন
  19. ফটো গ্যালারি
  20. ভিডিও গ্যালারি

“অর্গানিক ও সুন্নতি বাটপারি” -সেলিম রেজা

-সেলিম রেজা প্রকাশিত: অক্টোবর ১৩, ২০২৫, ০৩:৫৪ পিএম “অর্গানিক ও সুন্নতি বাটপারি” -সেলিম রেজা
আগামী নিউজ

“অর্গানিক ও সুন্নতি বাটপারি”
-সেলিম রেজা


বাংলাদেশে অনলাইন বাণিজ্যের প্রসার যেমন আশাব্যঞ্জক, তেমনি এর ছায়ায় অর্গানিক ও সুন্নতি পণ্যের নামে প্রতারণার প্রবণতা উদ্বেগজনকভাবে বাড়ছে। নিচে এই প্রেক্ষাপটের বিশ্লেষণ তুলে ধরা হলো:

অর্গানিক পণ্যের নামে প্রতারণা
- চটকদার বিজ্ঞাপন: “১০০% জৈব”, “কেমিক্যালমুক্ত”, “প্রাকৃতিক”—এই ধরনের স্লোগানে ভরপুর বিজ্ঞাপন দিয়ে সাধারণ মানুষকে আকৃষ্ট করা হয়।
- সার্টিফিকেশনহীন পণ্য: বাংলাদেশে Bangladesh Organic Certification Authority এখনো সীমিত পরিসরে কাজ করছে, অথচ অধিকাংশ অনলাইন বিক্রেতার কোনো বৈধ সার্টিফিকেশন নেই।
- মূল্যবৃদ্ধির ফাঁদ: সাধারণ পণ্যকে অর্গানিক বলে দ্বিগুণ দামে বিক্রি করা হয়, অথচ উৎপাদন পদ্ধতি বা উৎসের কোনো স্বচ্ছতা নেই।

 সুন্নতি পণ্যের নামে ধর্মীয় আবেগের অপব্যবহার
- লেবাসধারী প্রতারক: কিছু ব্যক্তি ধর্মীয় পোশাক ও ভাষা ব্যবহার করে “সুন্নতি” তকমা দিয়ে পণ্য বিক্রি করছেন, যেমন—কালোজিরা, হিজামা কিট, মধু, ত্বকচর্চার সামগ্রী।
- আধ্যাত্মিক প্রতিশ্রুতি: “রোগমুক্তি”, “সুন্নাহ অনুযায়ী জীবনযাপন”, “নবীজির সুপারিশ”—এই ধরনের দাবি দিয়ে পণ্যের কার্যকারিতা বাড়িয়ে দেখানো হয়, যা ধর্মীয় অনুভূতির শোষণ।

প্রতারণার সামাজিক ও অর্থনৈতিক প্রভাব
- ভোক্তার আস্থা বিনষ্ট: একবার প্রতারিত হলে মানুষ অনলাইন কেনাকাটা থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়, যা ডিজিটাল অর্থনীতির জন্য ক্ষতিকর।
- স্বাস্থ্যঝুঁকি: ভেজাল বা অপ্রমাণিত পণ্য ব্যবহারে শারীরিক ক্ষতি হতে পারে, বিশেষ করে খাদ্য ও চিকিৎসা-সংশ্লিষ্ট পণ্যে।
- ধর্মীয় বিভ্রান্তি: সুন্নতি পণ্যের নামে প্রতারণা ধর্মীয় অনুশাসনকে প্রশ্নবিদ্ধ করে, যা সমাজে বিভ্রান্তি ও অবিশ্বাস সৃষ্টি করে।

 প্রতিরোধ ও করণীয়
- সচেতনতা বৃদ্ধি: ভোক্তাকে জানতে হবে—“অর্গানিক” বা “সুন্নতি” লেখা মানেই পণ্য ভালো নয়; উৎস, প্রমাণ ও সার্টিফিকেশন যাচাই করতে হবে।
- আইনি প্রতিকার: প্রতারিত হলে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর বা সাইবার ক্রাইম ইউনিটে অভিযোগ করা যেতে পারে।
- নিয়ন্ত্রক সংস্থার সক্রিয়তা: সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অনলাইন পণ্যের মান ও প্রচারণা নিয়ন্ত্রণে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে
Small Banner