স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া, নিজ রাইফেল দিয়ে পুলিশ কনস্টেবলের আত্মহত্যা

জেলা প্রতিনিধি, পঞ্চগড় আগস্ট ৪, ২০২৩, ১০:৩২ এএম

পঞ্চগড়ঃ দায়িত্ব পালনরত অবস্থায় নিজ রাইফেল দিয়ে গুলি চালিয়ে ফিরোজ আহম্মেদ (২৭) নামে এক পুলিশ কনস্টেবল আত্মহত্যা করেছেন। 

বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) দিবাগত গভীর রাতে জেলা শহরের সোনালী ব্যাংকের সামনের পুলিশ বক্সে এই ঘটনা ঘটে।

প্রাথমিকভাবে পুলিশ ধারণা করছে, স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়ার পর অভিমান করে নিজ রাইফেল দিয়ে গলায় গুলি করে আত্মহত্যা করেছে ওই কনস্টেবল। 

ফিরোজের বাড়ি দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলার মির্জাপুর আফতাবগঞ্জ এলাকায়। তিনি ওই এলাকার আবু সাঈদের ছেলে। 

ঘটনার পর পুলিশ সুপার এস এম সিরাজুল হুদাসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে আসেন।

পঞ্চগড় সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল লতিফ মিয়া জানান, ফিরোজ গত ৩১ জুলাই পঞ্চগড় সোনালী ব্যাংক গার্ডে যোগদান করেছিল। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে জেলা শহরের পঞ্চগড় সোনালী ব্যাংক প্রধান শাখায় দায়িত্ব পালনরত অবস্থায় নিজ রাইফেল দিয়ে গলায় গুলি করে। এ সময় অন্য সহকর্মীরা গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ফিরোজকে উদ্ধার করে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া সুরতহাল ও ময়নাতদন্তের পর কনস্টেবল ফিরোজের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলেও জানিয়েছেন ওসি আব্দুল লতিফ মিয়া।

পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. মির্জা সাইদুল ইসলাম জানান, রাত আড়াইটার দিকে তার (ফিরোজ) সহকর্মীরা তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসে। এ সময় তার মুখ, নাক, কান ও মাথা দিয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছিল। হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে। গলার নিচে ও মাথার ওপরে একটি ক্ষত চিহ্ন ছিল। সম্ভবত এটি একটি বুলেট ইনজুরি বা গুলিবিদ্ধ অবস্থায় অস্বাভাবিক মৃত্যু।

পুলিশ, হাসপাতাল ও বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, ফিরোজ তার স্ত্রী উপমার সঙ্গে মোবাইলে কথা বলছিলেন। একপর্যায়ে উত্তেজিত হয়ে ফিরোজ গলায় গুলি চালায়। ফিরোজের স্ত্রী উপমাও পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন।

বুইউ