1. প্রচ্ছদ
  2. জাতীয়
  3. সারাবাংলা
  4. রাজনীতি
  5. রাজধানী
  6. আন্তর্জাতিক
  7. আদালত
  8. খেলা
  9. বিনোদন
  10. লাইফস্টাইল
  11. শিক্ষা
  12. স্বাস্থ্য
  13. তথ্য-প্রযুক্তি
  14. চাকরির খবর
  15. ভাবনা ও বিশ্লেষণ
  16. সাহিত্য
  17. মিডিয়া
  18. বিশেষ প্রতিবেদন
  19. ফটো গ্যালারি
  20. ভিডিও গ্যালারি

অসহায় দুই শিশুর পাশে দাঁড়ায়নি কেউ, ঠাঁই হলো সাংবাদিকের বাসায়

জাহিদুল ইসলাম মেহেদী, বরগুনা জেলা প্রতিনিধি প্রকাশিত: জুলাই ১৮, ২০২১, ০১:১৭ এএম অসহায় দুই শিশুর পাশে দাঁড়ায়নি কেউ, ঠাঁই হলো সাংবাদিকের বাসায়
ছবিঃ আগামী নিউজ

বরগুনাঃ জেলার সদর উপজেলাধীন ৫নং আয়লা পাতাকাটা ইউনিয়নের খেজুরতলা গ্রামে পারিবারিক কলহের মামলায় বাবা পলাতক, মা দুই সন্তানের জননী জেল হাজতে। শিশুদের বয়স মাত্র ১২ বছর কিন্তু মামলায় ১৮ বছর বয়স নির্ধারণ করে ৪নং আসামী করা হয়েছে।

শিশু দুটি বড়ই অসহায় অবস্থায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে মায়ের নিঃশর্ত মুক্তি ও মিথ্যা মামলার দ্রুততম সময়ে সঠিক তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত দোষীদের কঠিন বিচার দাবী করেন। ধর্মঘটে আছেন বড় ছেলে আলিফ (১৩) ও দুগ্ধপোষ্য ছোট ছেলে গালিফ (আড়াই বছর)।

শনিবার (১৭ জুলাই) সকালে টাউন হল এলাকার অগ্নিঝরা একাত্তরের পাদদেশে অসহায় দুই শিশুর এ অবস্থান দেখে অবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন অনেকেই।

সকাল গড়িয়ে দুপুর, এরপর বিকেল হলেও অসহায় এই দুই শিশুর পাশে দাঁড়ায়নি কেউ। দুপুরের পর কে বা কারা অসহায় এই দুই শিশুকে নিয়ে যান বরগুনার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে। এরপর সারাদিনের তপ্ত রোদে অভুক্ত এই দুই সহোদরের স্থান হয় জেলা প্রশাসকের সামনের বটগাছের নিচে। এরপর সন্ধ্যা নেমে এলেও এগিয়ে আসেননি কেউ। ততক্ষণে ক্লান্ত আর অভুক্ত দুগ্ধপোষ্য শিশু গালিফ বড় ভাই আলিফের কোলে মাথা রেখে ঘুমিয়ে পড়ে বটগাছের নিচে।

মানবেতর পুরো একটি দিন যাপনের পরও কেউ এগিয়ে আসেনি অসহায় এই দুই শিশুর পাশে। অবশেষে সন্ধ্যায় এই দুই শিশুকে নিজ বাসায় নিয়ে যান স্থানীয় সাংবাদিক অ্যাডভোকেট সোহেল হাফিজ।

সোহেল হাফিজ বরগুনা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক। তিনি দৈনিক কালের কণ্ঠের বরগুনা প্রতিনিধি ও এনটিভির স্টাফ রিপোর্টার হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। বর্তমানে ওই দুই শিশু তার বাসায়ই অবস্থান করছে।

এ বিষয়ে সাংবাদিক সোহেল হাফিজ বলেন, দুগ্ধপোষ্য ছোট ভাই গালিফকে সঙ্গে নিয়ে বড় ভাই আলিফের সারাদিন রাস্তায় কেটেছে। সকাল থেকে দুপুর গড়িয়ে সন্ধ্যা হলেও ওদের কোনো স্বজন কিংবা কেউ এগিয়ে না আসায় অত্যন্ত মানবিক কারণে আমি ওদের আমার বাসায় নিয়ে এসেছি। ওরা দুই ভাই আমার বাসায় আমার দুই সন্তানের সঙ্গেই আছে। যতদিন পর্যন্ত ওদের মা জামিন না পায় ততদিন পর্যন্ত ওরা আমার বাসায় আমার সন্তানের মতোই থাকবে।

বরগুনার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে দাদির করা মিথ্যা মামলা আসলে কতটা যৌক্তিক? নাকি এর পেছনে অন্য কোন রহস্য লুকায়িত? বিষয়টি সঠিক তদন্ত করে সঠিক বিচারের আওতায় আনাসহ অনিতা জামানের অচিরেই মুক্তি মিলবে বলে আশা করছেন বরগুনাবাসী। এখন শুধু বরগুনাই নয় বরং গোটা বাংলাদেশ তাকিয়ে আছে বিজ্ঞ আদালতের রায়ের দিকে। 

এ বিষয়ে অনিতা জামানের আইনজীবি এ্যাড. মোঃ নজরুল ইসলাম বলেন- আমি অনিতা জামানের জামিনের জন্য বিজ্ঞ বরগুনা চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আবেদন করেছি। ভার্চ্যুয়াল আদালতে রোববার জামিনের শুনানী হবে বলে আশা করছি। আমরা আশা করছি বিজ্ঞ আদালত সন্তুষ্ট সাপেক্ষে জামিন দিবেন। অনিতার দুটি শিশু সন্তান রয়েছে। যেটা হৃদয়বিদারক।
 

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে
Small Banner