 
      -20220602095345.jpeg) 
                    
          
          বরগুনাঃ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে দেশের সব অবৈধ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনার নির্দেশনা সত্বেও বরগুনার বেতাগীতে রহস্য জনক কারণে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. আমানুল্লাহ আল-মামুন তা মানছে না। কর্মকর্তার কর্তব্যর এ অবহেলায় ব্যহত ও উপেক্ষিত হচ্ছে সরকারি নির্দেশনা।
জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার (২৬ মে) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক আহমেদুল কবির স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক ঔদিন থেকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে দেশের সব অবৈধ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনার নির্দেশনা দেন।
এতে উল্লেখ করা হয় সকল অনিবন্ধিত বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার সমূহের বিরুদ্ধে কার্যক্রম চলমান থাকবে। এ কার্যক্রমে স্থানীয় প্রশশাসন ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করে বাস্তবায়ন করবে। প্রতিষ্ঠান সমূহে অপারেশন করার সময় এনেস্থিসিয়া দেওয়া ও ওটি এসিস্ট করার ক্ষেত্রে নিবন্ধিত ডাক্তার ছাড়া অন্যদের রাখা হলে সে সকল প্রতিষ্ঠান ও জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে লাইসেন্স বাতিলসহ কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে এবং নতুন নিবন্ধনের আবেদন করেছেন তাদের লাইসেন্স দেওয়ার কার্যক্রম দ্রæত শেষ করতে হবে। লাইসেন্স প্রাপ্তির আগে এ সকল প্রতিষ্ঠান কোন ধরনের কার্যক্রম চালাতে পারবে না।
স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, সারাদেশের পাশাপাশি বরগুনা জেলার সর্বত্র অভিযান চললেও স্বাস্থ্য কমকর্তা অজ্ঞাত ও রহস্য জনক কারণে অভিযান চালাচ্ছেন না। তাঁর কর্তব্যে অবহেলায় সরকারি নির্দেশনা ব্যহত হচ্ছে। এছাড়াও উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. আমানুল্লাহ আল-মামুন ঘুষ বানিজ্য, দুর্নীতিসহ নানা অনিয়মে জড়িয়ে পড়েছেন। গত ১৬ মে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহা-পরিচালক বরাবর তার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ প্রদান এবং গত ২৪ মে উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মবিরতি পালন করে।
উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সাধারণ মো: মহসিন খান বলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা এবিষয় নীরব কেন তার ভূমিকা রহস্য জনক মনে হচ্ছে। সারাদেশে আভিযান পরিচালনা করা হলেও এখানে অভিযান না চালানো অত্যন্ত দু:খজনক।
বেতাগী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: সুহৃদ সালেহীন বলেন, এ নিয়ে স্বাস্থ্য কর্মকর্তার কোন তৎপরতা নেই। আমিও উপলব্ধি করেছি সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়ন দরকার। এ ধরনের নির্দেশনা বাস্তবায়নে সহযোগিতা চাইলে আমি সব সময় প্রস্তুত।
বরগুনার সিভিল সার্জন ডা: মো: ফজলুল হক বলেন, বেতাগী উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে ইতোমধ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে কিনা জানিনা। তবে না করে থাকলে জেলা থেকে টিম পাঠিয়ে আভিযান পরিচালনা করা হবে।
এবিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. আমানুল্লাহ আল-মামুনের সাথে মুঠোফোনে বারংবার কথা বলার চেষ্টা করেও তিনি ফোন রিসিভি না করায় সরাসরি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে কথা বলতে হয়। এ সময় ডা. আমানুল্লাহ আল-মামুন বলেন, মোবাইলে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলা যাবে কিনা সিভিল সার্জনের সাথে কথা বলে আপনাদের জানাবো। আমি কোন বক্তব্য দেবোনা। যদি আমাকে বক্তব্য দিতেই হয় আপনাদের প্রশ্নের উত্তর উর্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে জেনে বলতে পারবো। যে বিষয়ই হোক কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে যা কিছু বলার আমাকে বলতে হবে।
সাইদুল ইসলাম মন্টু/এমবুইউ
-20251013141837.jpg) 
    -20251013095452.jpg) 
     
     
     
    -20250923081410.jpg) 
     
     
     
    -20250815155757.jpg)