(২) আহার:
১. আহার নিয়মিত, পরিমিত ও কম চর্বিযুক্ত হওয়া উচিৎ।
২. ক্ষুধা না থাকলে খাওয়া ঠিক নয়।
৩. ক্ষার বা টক ও অম্লধর্মী বা অতিরিক্ত ঝাল ও উগ্র গন্ধযুক্ত খাবার খাওয়া উচিৎ নয়।
৪. তাড়াহুড়া করে খাওয়া এবং খাওয়ার সময় কথা বলা ঠিক নয়।
৫. খাদ্য ভালভাবে চিবিয়ে খাওয়া উচিৎ, যত চিবিয়ে খাওয়া যায় তত তাড়াতাড়ি হজম হয়।
৬. রাতের আহার হালকা হওয়া ভাল।
৭. দুপুর ১২টা এবং রাত ৮টার পূর্বে খাওয়ার সঠিক সময়, কারণ এর পরে খেলে খাবার ঠিকমত হজম হয় না।
৮. রাতে খাওয়ার আধঘন্টা বা একঘন্টা পর শুতে যাওয়া স্বাস্থ্য সম্মত ।
৯. দুপুরে আহারের পর কিছুটা বিশ্রাম নেয়া স্বাস্থ্যের জন্য ভাল।
১০. খাওয়ার পর দাঁত পরিস্কার করুন, কারণ খাবারের টুকরা দাঁতের ফাঁকে আটকে দাঁত নষ্ট করে দেয়, সে কারণে দাঁত যথা সম্ভব পরিস্কার রাখা উচিৎ। নরম ব্রাশ দাঁতের জন্য ভাল। নিম বা এ্যালোভেরা হারবাল টুথ পেস্ট দাঁতের জন্য উপকারী।
১১. রাত্রে দই বা গরমে টক খাওয়া ঠিক নয়।
১২. খেতে বসে কখনও বেশি খাবেন না। পেট ভরে খাওয়ার একটু আগেই খাওয়া শেষ করে ফেলুন।
১৩, বিশেষ করে বয়স্কদের জন্য ক্রীম, ঘি, মাখন, পানির ইত্যাদি ফ্যাট বা চর্বি জাতীয় খাবার যতটা সম্ভব বর্জন করাই শ্রেয়।
১৪. খাবারের সাথে শাক-সবজি, সালাদ, সুপ, দুধ ও ফল বেশি করে খাবেন।
১৫. অমনোযোগী হয়ে খাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে মারাত্নক ক্ষতিকর।
১৬. অল্প ভোজীর স্মৃতি শক্তি প্রখর।
১৭. খাওয়ার সময় দুশ্চিন্তা ঠিক নয়।
১৮. মাছ, মুরগীর মাংস ও গরু বা শুকরের মাংস এক সংঙ্গে খাওয়া ঠিক নয়। কারণ
এগুলি একই সময়ে হজম হয় না, যেমন মাছ ৪ ঘন্টায়, মুরগীর মাংস ৮-১০ ঘন্টায়, এবং গরু বা শুকরের মাংস ১৬-২০ ঘন্টা সময় লাগে।
১৯. যে সব খাবার স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর নয় কিন্তু খেতে মন চায়না তা না খাওয়াই উত্তম।
আগামী নিউজ/নাঈম