1. প্রচ্ছদ
  2. জাতীয়
  3. সারাবাংলা
  4. রাজনীতি
  5. রাজধানী
  6. আন্তর্জাতিক
  7. আদালত
  8. খেলা
  9. বিনোদন
  10. লাইফস্টাইল
  11. শিক্ষা
  12. স্বাস্থ্য
  13. তথ্য-প্রযুক্তি
  14. চাকরির খবর
  15. ভাবনা ও বিশ্লেষণ
  16. সাহিত্য
  17. মিডিয়া
  18. বিশেষ প্রতিবেদন
  19. ফটো গ্যালারি
  20. ভিডিও গ্যালারি

যে কারণে শিশুরা করোনায় কম আক্রান্ত হয়

প্রকাশিত: নভেম্বর ১৮, ২০২০, ০৭:৫৯ পিএম যে কারণে শিশুরা করোনায় কম আক্রান্ত হয়

ঢাকাঃ প্রাপ্তবয়স্কদের তুলনায় শিশুরা করোনাভাইরাসে কম আক্রান্ত হয়ে থাকে। 
শিশুদের করোনাঝুঁকি কম থাকার কারণ জানা গেছে বলে দাবি করছেন গবেষকরা।

বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের সঙ্গে যুদ্ধ চলছে সেই মার্চ মাস থেকে। এই লম্বা সময়ে আমরা জেনেছি প্রাপ্তবয়ষ্ক থেকে বৃদ্ধদের জন্য এই ভাইরাস যতটা ভয়ানক; আর শিশুদের জন্য তেমন বিপজ্জনক নয়।  

এমন হওয়ার পেছনের উল্লেখযোগ্য একটি কারণ আবিষ্কার করেছেন গবেষকরা। গবেষণাটি ‘জার্নাল অফ ক্লিনিক্যাল ইনভেস্টিগেশন’ সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে। 

কেমন শিশুরা কম আক্রান্ত হয়

সফলভাবে সংক্রমণ ঘটানোর জন্য করোনাভাইরাসকে ফুসফুসের ‘এপিথেলিয়াল সেল’ ভেদ করতে হয়।  আর যে ‘এনজাইম’ বা ‘কো-রিসেপ্টর’য়ের মাধ্যমে ভাইরাসটি এই কাজ করে সেটি প্রাপ্তবয়স্ক ও বৃদ্ধদের তুলনায় শিশুদের থাকে কম।

গবেষণায় বলা হয়, ওই ‘এনজাইম’কে দমন করতে পারলে প্রাপ্তবয়স্কদের ‘কোভিড-১৯’ থেকে সুরক্ষা দেয়া এবং রোগ সারিয়ে তোলাও সম্ভব হবে।

করোনাভাইরাস সম্পর্কে আমাদের এখনও অনেকটা জানা বাকি। তবে এখন পর্যন্ত যা জানা গেছে তা হল ‘ভাইরাস নিঃশ্বাসের সঙ্গে ফুসফুসে প্রবেশ করার পর এর প্রোটিনের তৈরি ‘স্পাইক’ বা অভিক্ষেপগুলো ‘এসিই টু’ নামক ‘রিসেপ্টর’য়ের সঙ্গে আটকে যায়। এই ‘রিসেপ্টর’গুলো ফুসফুসের নির্দিষ্ট কিছু কোষের উপরিভাগে থাকে।  

পরে কোষের ‘টিএমপিআরএসএস ‍টু’ নামক এনজাইম ওই প্রোটিনের অভিক্ষেপগুলো কেটে ধ্বংস করে। এতে ভাইরাস কোষের ‘মেমব্রেন’ বা ঝিল্লির সঙ্গে মিশে যায় এবং একপর্যায়ে কোষের ভেতরে প্রবেশ করে।

একবার কোষের ভেতরে প্রবেশ করতে পারলে ভাইরাস কোষের অভ্যন্তরীণ জিনগত নিয়ন্ত্রণ নিজের আয়ত্তে নিয়ে নেয় এবং নিজের ‘আরএনএ’য়ের ‘কপি’ তৈরি করা শুরু করে। 

এই গবেষণার নেতৃত্তে ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের ‘ভ্যানডারবেল্ট ইউনিভার্সিটি মেডিকাল সেন্টার’য়ের ‘পিডিয়াট্রিকস’ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জেনিফার সুক্রে। তার সঙ্গে আরও ছিলেন এই সংস্থার ‘মেডিসিন’ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জনাথন ক্রপস্কি।

তারা মনে করেন, প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে ‘কোভিড-১৯’য়ের তীব্রতা বেশি আর শিশুদের ক্ষেত্রে তা কম হওয়ার পেছনে ‘টিএমপিআরএসএস ‍টু’ এনজাইমের ভূমিকা আছে।

ভ্যান্ডারবেল্ট ইউনিভার্সিটি মেডিকাল সেন্টার’য়ের প্যাথলজিস্টদের সাহায্য নিয়ে গবেষকরা বিভিন্ন বয়সের মানুষের ফুসফুস কোষের নমুনা সংগ্রহ করেন।

‘সিঙ্গেল সেল আরএনএ’ সিকোয়েন্সিং’য়ের মাধ্যমে বয়সের সঙ্গে ফুসফুসের বিকাশবিষয়ক তথ্য বের করা হয়। 

দেখা যায়, বয়স যত বাড়ে, ততই বাড়ে ‘টিএমপিআরএসএস ‍টু’ সক্রিয়তা।

'জিন ও প্রোটিন দুই ক্ষেত্রেই ওই এনজাইমের প্রভাব বিদ্যমান', বলেন সুক্রে।

আগামীনিউজ/প্রভাত

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে
Small Banner