 
       
                    
          
          ঢাকাঃ মহেশখালী গভীর সমুদ্র থেকে জাহাজ থেকে সরাসরি পাইপলাইন দিয়ে পরীক্ষামূলক জ্বালানি তেল খালাসের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। রোববার (২ জুলাই) বিকেলে আমরা সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং (এসপিএম) এর সঙ্গে সৌদি আরব থেকে আসা ‘এমটি হোরাই’ জাহাজের সংযোগ ঘটানো হয়। এর মধ্য দিয়ে জ্বালানি খাতে বাংলাদেশ নতুন দিগন্তে প্রবেশ করছে।
ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেডের (ইআরএফ) ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী মো. লোকমান বলেন, গত ২৪ জুন রাতে সৌদি আরব থেকে ৮২ হাজার টন অপরিশোধিত তেল নিয়ে এমটি হোরাই মহেশখালী গভীর সমুদ্রে পৌঁছে। এর পরদিন পরীক্ষামূলক খালাসের কথা থাকলে সাগর উত্তাল থাকায় তা সম্ভব হয়নি। পরবর্তীতে রোববার বিকেল থেকে এ কার্যক্রম শুরু হয়। এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ জ্বালানি খাতে নতুন দিগন্ত শুরু করছে।
জানা গেছে, ক্রমবর্ধমান জ্বালানি তেলের চাহিদা পূরণ এবং জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমদানিকৃত ক্রুড অয়েল ও ফিনিশড প্রডাক্ট স্বল্প সময়ে, স্বল্প খরচে এবং নিরাপদে খালাস করার জন্য ‘ইনস্টলেশন অব সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং (এসপিএম) উইথ ডাবল পাইপলাইন ’ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। বাংলাদেশ ও চীন সরকারের মধ্যে জিটুজি ভিত্তিতে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনের (বিপিসি) অধীনস্থ কোম্পানি ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেড প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে।
প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানান, সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং বয়াটি মহেশখালী দ্বীপের পশ্চিম পাশে স্থাপিত হয়। জাহাজ থেকে ক্রুড অয়েল ও ফিনিশড প্রডাক্ট সরাসরি ভেসেল মুরিং পয়েন্টে আনা হবে। সেখান থেকে পাম্প করে পাইপলাইনের মাধ্যমে প্রথমে তেল আনা হবে মহেশখালীর কালারমারছড়ার স্টোরেজ ট্যাংকে। সেখান থেকে আবার পাম্প করে পাইপলাইনে পাঠানো হবে ইস্টার্ন রিফাইনারিতে। গতানুগতিক পদ্ধতি সময়সাপেক্ষ, ঝুঁকিপূর্ণ ও ব্যয়বহুল হওয়ায় গভীর সমুদ্রে মুরিং পয়েন্ট নির্মাণ এবং পাইপলাইনের মাধ্যমে তেল আনার লক্ষ্যে এ প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়। সব প্রক্রিয়া শেষ করে আগামী আগস্টে প্রধানমন্ত্রী এসপিএম প্রকল্প উদ্বোধন করবেন বলে আশা করছেন প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা।
এর আগে, ২০১৫ সালে পাইপলাইন বসানোর প্রকল্পটি হাতে নেওয়া হয়। মোট চার হাজার ৯৩৫ কোটি ৯৭ লাখ টাকায় ২০১৮ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে প্রকল্পটির কাজ শেষ করার কথা থাকলেও ইতোমধ্যেই প্রকল্পের মেয়াদ তিনবার বৃদ্ধি করা হয়েছে। এর সঙ্গে সঙ্গে ব্যয়ও বেড়ে সাত হাজার ১২৫ কোটি টাকায় ঠেকেছে। এর মধ্যে চার হাজার ৬৮৮ কোটি টাকা ঋণ সহায়তা দিচ্ছে চীন সরকার। এছাড়া বিপিসি এক হাজার ৮৩৫ কোটি টাকা এবং বাংলাদেশ সরকার ৬০১ কোটি টাকা দিচ্ছে এ প্রকল্প বাস্তবায়নে।
বুইউ
-20251013141837.jpg) 
    -20251013095452.jpg) 
     
     
     
    -20250923081410.jpg) 
     
     
     
    -20250815155757.jpg)