1. প্রচ্ছদ
  2. জাতীয়
  3. সারাবাংলা
  4. রাজনীতি
  5. রাজধানী
  6. আন্তর্জাতিক
  7. আদালত
  8. খেলা
  9. বিনোদন
  10. লাইফস্টাইল
  11. শিক্ষা
  12. স্বাস্থ্য
  13. তথ্য-প্রযুক্তি
  14. চাকরির খবর
  15. ভাবনা ও বিশ্লেষণ
  16. সাহিত্য
  17. মিডিয়া
  18. বিশেষ প্রতিবেদন
  19. ফটো গ্যালারি
  20. ভিডিও গ্যালারি

খাগড়াছড়িতে পানির নিচে ঘরবাড়ি

জেলা প্রতিনিধি, খাগড়াছড়ি প্রকাশিত: আগস্ট ৮, ২০২৩, ০৪:১৮ পিএম খাগড়াছড়িতে পানির নিচে ঘরবাড়ি

খাগড়াছড়িঃ খাগড়াছড়িতে টানা ভারি বর্ষণ আর পাহাড়ি ঢলে চেঙ্গী ও মাইনি নদীর পানি বেড়ে প্লাবিত হয়েছে খাগড়াছড়ির নিচু এলাকা। গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ৬০ মি.মি. বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) সকাল থেকে শহরের মুসলিমপাড়া, বটতলী, কালাডেবাপাড়া, নিচের বাজার, ও সদরের উত্তর গঞ্জপাড়া, দক্ষিণ গঞ্জপাড়া, দক্ষিণ গোলাবাড়ি, চেঙ্গী নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলে পানিতে বাসাবাড়ি পানির নিচে।

পৌর শহরে ১০ আশ্রয়কেন্দ্রসহ উপজেলা পর্যায়ের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও ইউনিয়ন পরিষদে আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। বৃষ্টিতে পাহাড় ধসের ঝুঁকি থাকায় পাদদেশে বসবাসকারীদের নিরাপদ আশ্রয়ে আসতে মাইকিং চলছে।

কোথাও কোথাও গাছপালা ভেঙে পড়েছে। এতে স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক বাড়ছে।

এ ছাড়া দীঘিনালার মাইনী নদী, মানিকছড়ির হালদা ছড়াসহ বিভিন্ন উপজেলার নদী, ছড়ার পানি বেড়ে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত শুরু হয়েছে।

দীঘিনালা উপজেলার মেরুং ইউনিয়নের বেইলি ব্রিজ, সাজেক সড়কের কবাখালী বাজার, লংগদু সড়কের বড় মেরুং, মেরুংবাজার ও দাঙাবাজার এলাকার সড়কের বিভিন্ন অংশ পানিতে ডুবে গেছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।

দীঘিনালার কবাখালী ইউপির চেয়ারম্যান জ্ঞান চাকমা জানান, আমার ইউপিতে ৪শ শতাধিক পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। পানিবন্দি পরিবারগুলো নিজেদের আত্মীয় স্বজনের বাসায় অবস্থান করছে। আমাদের আশ্রয়কেন্দ্রে এখনো কেউ অবস্থান করেনি।

মেরুং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহমুদা বেগম লাকি বলেন, বেইলি ব্রিজ ডুবে যাওয়ায় খাগড়াছড়ির সঙ্গে রাঙ্গামাটির লংগদুর সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে।

তিনি আরও বলেন, মাইনী নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় বন্যার সৃষ্টি হয়েছে। ভারী বর্ষণ অব্যাহত থাকলে পানি কমবে না। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে প্রায় ৬ শতাধিক পরিবার। আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নিয়েছে ২৫ পরিবার।

খাগড়াছড়ি ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশন কর্মকর্তা রাজেশ বড়ুয়া বলেন, খাগড়াছড়িতে ভারি বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে চেঙ্গী নদীতে পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিভিন্ন এলাকা এখন পানির নিচে। এ সময়ে ক্ষয়ক্ষতি ও জানমাল রক্ষায় সচেতন করছি। ফায়ার সার্ভিসের সদস্য সবসময় প্রস্তুত রয়েছে। তাছাড়া বিভিন্ন স্থানে মাইকিং করা হচ্ছে।

খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক মো. শহিদুজ্জামান বলেন, পর্যাপ্ত খাবার, বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট, বিশুদ্ধ পানি, বিদ্যুৎসহ সবকিছু প্রস্তুত রাখা হয়েছে। বন্যা ও পাহাড় ধসে জানমালের নিরাপত্তায় যে বিষয়গুলো নজরে এসেছে আমরা তাৎক্ষণিক সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি।

বুইউ

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে
Small Banner