পঞ্চগড়ঃ মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় পঞ্চগড়ে প্রথম স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা ওড়ে। এটা আমাদের গর্বের বিষয়।
তিনি গতকাল বৃহস্পতিবার (২ ডিসেম্বর) পঞ্চগড়ে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের অংশ হিসেবে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত ‘পথে পথে বিজয়’ শিরোনামে আঞ্চলিক বীর মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। সমাবেশের শুরুতেই উপস্থিত অতিথি ও দর্শকশ্রোতারা জাতীয় সঙ্গীতে কণ্ঠ মেলান।
মন্ত্রী জানান, স্থানীয় পর্যায়ে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্পর্কে নতুন প্রজন্মকে জানানো ও তাদের সম্মান প্রদর্শন করা, যুদ্ধের অসাধারণ গল্পগুলো উপভোগ করা, তরুণদের যুদ্ধের ইতিহাসের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়া, সবাইকে এই বিজয় দিবসের বিশালতা উপলব্ধি করানো এবং মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী দেশব্যাপী উদযাপন করার লক্ষ্যে এই আয়োজন।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বীর মুক্তিযোদ্ধাদের যথাযথ মর্যাদা প্রদর্শন এবং সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। অসচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ৩০ হাজার বীরনিবাস নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। এছাড়া মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানী ভাতা মাসিক ২০ হাজার টাকায় উন্নীত করা হয়েছে। বর্তমান সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ডও তুলে ধরেন মন্ত্রী।
পঞ্চগড় জেলা প্রশাসক মো. জহুরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে পঞ্চগড় জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. আনোয়ার সাদাত, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ইউসুফ আলী, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম, পঞ্চগড় পৌরসভা মেয়র জাকিয়া খাতুনসহ পঞ্চগড়ের পাশের জেলাগুলো থেকে আগত এবং স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধারা উপস্থিত ছিলেন।
বিজয়ের গল্পগুলো রোমন্থন করার উদ্দেশ্যে অনুষ্ঠানের এক অংশে আগত বীর মুক্তিযোদ্ধারা তাদের সংগ্রামের দিনগুলোর স্মৃতিচারণা করেন। পাশাপাশি মহাসমাবেশে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়। ‘পথে পথে বিজয়’ শিরোনামে একটি দেশাত্মবোধক মৌলিক গান পরিবেশিত হয়। এরপর সুধীজন সম্মাননা, সংবর্ধনা, পুরস্কার বিতরণের মাধ্যমে বর্ণাঢ্য এই আয়োজন আরও উপভোগ্য হয়ে ওঠে। সবশেষে মনমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক আয়োজনের মাধ্যমে, পঞ্চগড়ে আয়োজিত ‘পথে পথে বিজয়’ শিরোনামের আঞ্চলিক সমাবেশ শেষ হয়।
আগামীনিউজ/বুরহান