1. প্রচ্ছদ
  2. জাতীয়
  3. সারাবাংলা
  4. রাজনীতি
  5. রাজধানী
  6. আন্তর্জাতিক
  7. আদালত
  8. খেলা
  9. বিনোদন
  10. লাইফস্টাইল
  11. শিক্ষা
  12. স্বাস্থ্য
  13. তথ্য-প্রযুক্তি
  14. চাকরির খবর
  15. ভাবনা ও বিশ্লেষণ
  16. সাহিত্য
  17. মিডিয়া
  18. বিশেষ প্রতিবেদন
  19. ফটো গ্যালারি
  20. ভিডিও গ্যালারি

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গাছ কেটে উন্নয়নকাজ, লিগ্যাল নোটিশ

নিউজ ডেস্ক প্রকাশিত: মে ৭, ২০২১, ১০:৫৬ এএম সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গাছ কেটে উন্নয়নকাজ, লিগ্যাল নোটিশ

ঢাকাঃ ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গাছ কেটে চলছে উন্নয়নকাজ। রাজধানীর ফুসফুস খ্যাত এই উদ্যানে ওয়াকওয়ে ও সাতটি ফুড কর্নার বানানোর জন্য ইতিমধ্যে কাটা হয়েছে ৪০-৫০টি গাছ। আরো প্রায় অর্ধশত গাছ পর্যায়ক্রমে কাটা হবে বলে জানা গেছে। প্রায় অর্ধশত বছরের পুরোনো এই গাছ কাটা নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে বিতর্ক, চলছে আলোচনা-সমালোচনা।

উদ্যানের গাছ কাটা বন্ধে সরকারকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, রেস্টুরেন্ট বা দোকান নির্মাণের নামে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষাকারী এই উদ্যানের গাছ কাটার কোনো সুযোগ নেই। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে এ কার্যক্রম বন্ধ করা না হলে হাইকোর্টে আদালত অবমাননার মামলা করা হবে। গতকাল বৃহস্পতিবার মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, গণপূর্তের প্রধান প্রকৌশলী ও প্রধান স্থাপত্যবিদ বরাবর ই-মেইলযোগে এ নোটিশ দেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।

সোহরাওয়ার্দী উদ্যান সংরক্ষণ নিয়ে হাইকোর্টের রায় তুলে ধরে নোটিশে বলা হয়েছে, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান এলাকা নিছক কোনো এলাকা নয়, এই এলাকা ঢাকা শহর পত্তনের সময় থেকে একটি বিশেষ এলাকা হিসেবে পরিগণিত হয়েছে এবং এর একটি ঐতিহাসিক ও পরিবেশগত মূল্য রয়েছে। শুধু তাই নয়, আজ পর্যন্ত বাংলাদেশের সব গণতান্ত্রিক ও স্বাধীনতা আন্দোলনের কেন্দ্রবিন্দু এই এলাকা। এর পরিপ্রেক্ষিতে সম্পূর্ণ এলাকাটি একটি বিশেষ এলাকা হিসেবে সংরক্ষণের দাবি রাখে। সোহরাওয়ার্দী উদ্যান নিয়ে একটি মাস্টারপ্ল্যান তৈরি করেছে স্থাপত্য অধিদপ্তর। স্থাপত্য অধিদপ্তরের নকশা অনুসারে এই নির্মাণকাজ চালাচ্ছে গণপূর্ত অধিদপ্তর। স্বাধীনতা স্তম্ভ নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়। উদ্যানের দায়িত্বে থাকা কার্পেন্টার নজরুল ইসলাম খোকন বলেন, ‘আমরা জানি না এখানে কী গাছ কাটা হচ্ছে। এটা অফিসাররা ভালো বলতে পারবেন।’ অন্যদিকে গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী শামিম আখতার জানান, নিয়ম মেনেই গাছ কাটছেন তারা।

কয়েক জন নির্মাণশ্রমিক জানান, বসেরা তাদের কয়েকটি এলাকা দেখিয়ে দিয়েছেন। দেখানো জায়গায় যত গাছ আছে সেগুলো কাটতে হচ্ছে তাদের। গাছ কাটার সময় কয়েক জন এসে বাধা দিয়েছিল। কিন্তু বসেরা কাজ চালিয়ে যেতে বলেছেন। আমরা চুক্তিতে কাজ করছি। এর বেশি কিছু জানি না।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সব প্রবেশপথসহ বিভিন্ন স্থানে অন্তত সাতটি ফুডকর্নার স্থাপন করার কাজ শুরু করেছে গণপূর্ত অধিদপ্তর। অভিযোগ উঠেছে রাতের আঁধারে গাছ কেটে নেওয়া হয়েছে। উদ্যান এলাকায় রেস্তোরাঁ তৈরি করতে বড় আকারের সাতটি স্থান চিহ্নিত করা হয়েছে। এর মধ্যে পাঁচটি রেস্তোরাঁর নির্মাণকাজ শেষ পর্যায়ে।

আগামীনিউজ/জনী

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে
Small Banner