1. প্রচ্ছদ
  2. জাতীয়
  3. সারাবাংলা
  4. রাজনীতি
  5. রাজধানী
  6. আন্তর্জাতিক
  7. আদালত
  8. খেলা
  9. বিনোদন
  10. লাইফস্টাইল
  11. শিক্ষা
  12. স্বাস্থ্য
  13. তথ্য-প্রযুক্তি
  14. চাকরির খবর
  15. ভাবনা ও বিশ্লেষণ
  16. সাহিত্য
  17. মিডিয়া
  18. বিশেষ প্রতিবেদন
  19. ফটো গ্যালারি
  20. ভিডিও গ্যালারি

ঠাকুরগাঁও জেকে বসেছে শীত, বিপাকে জনজীবন

শামসুল আলম, ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৭, ২০২১, ০৬:৪৩ পিএম ঠাকুরগাঁও জেকে বসেছে শীত, বিপাকে জনজীবন
আগামী নিউজ

ঠাকুরগাঁওঃ মাঘের  শুরুতে শীত যেন জেঁকে বসেছে অনবরত বাড়ছে শীতের তীব্রতা ও ঠান্ডা- কুয়াশা।বিপাকে  জনজীবন।

হিমালয়ের পাদদেশে অবস্থিত হওয়ায় সারাদেশের মধ্যে ঠাকুরগাঁও জেলায় প্রতি বছরই একটু আগেই শীত চলে আসছে। শীতকালে এ জেলায় প্রচুর ঠান্ডা পড়ে। দেশের শেষ জেলা হিসাবে হিম কর্নার জেলা ও বলে অনেকেই। গত কয়েকদিন ধরে  দিনে হালকা গরম থাকলেও সন্ধ্যার প্রকৃতিতে শুরু হচ্ছে শীতের হিমেল পরশের গা শিরশিরে বাতাস। রাতভর পরছে ঝিরঝির কুয়াশা। (১৫ জানুয়ারি) বঙ্গাব্দ বর্ষপঞ্জিতে মাঘ মাসের প্রথম দিন। পৌষের শেষ ক’দিন ধারাবাহিকতা ধরে রেখেছে এই মাঘের শুরুতেও। আকাশ কুয়াশার দখলে চলে যাওয়ার ফলে দিনের বেশিরভাগ সময়েই সূর্য থেকে যাচ্ছে আড়ালে। আবহাওয়াবিদরা বলছেন, উত্তুরে হিমেল হাওয়ার কারণে এবার গত কয়েক বছরের তুলনায় বেশি শীত অনুভূত হচ্ছে।

আবহাওয়া পরিবর্তনের কারনে দেশের উত্তরের এই জেলায় দিনের পর দিন বেড়েই চলছে শীত। কয়েকদিন ধরে দিনের বেশির ভাগ সময় নেই সূযের্র দেখা। সাথে সাথে পাল্লা দিয়ে বেড়েই চলছে কুয়াশা। কুয়াশার আড়ালে কখনো কখনো ঢাকা পড়ছে সূর্য। দেখে যেন মনে হচ্ছে কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়ে আছে এই ঠাকুরগাঁও জেলাটি।

গত শনিবার  সকালে জেলা শহরে ও গ্রামের বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে এমনি চিত্র চোখে পড়ে। একদিকে যেমন বাড়ছে শীত অপরদিকে শীতে করোনা ভাইরাস নিয়ে চিন্তিত এই জেলার সাধারণ মানুষেরা। উল্লেখ্য ইতি মধ্যে করোনা ভাইরাসের দিত্বীয় ঢেউ ঠেকাতে ঠাকুরগাঁওয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে  বিভিন্ন সচেতনতা মূলক কর্মসুচি পালিত হয়েছে।

জেলা প্রশাসন সহ সামাজিক, রাজনৈতিক, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সহ নানা ব্যানারে। ইতিমধ্যে ঠাকুরগাঁওয়ে পুরো দমে শীতের  লেপ-তোষক তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন স্থানীয় কারিগররা।প্রচলিত রীতি অনুযায়ী কার্তিক মাসে শীতের জন্ম হলেও পৌষ ও মাঘ এই দুই মাস শীত মৌসুম হিসাবে বিবেচিত হয়।

শীত ও কুয়াশার কারনে কাজ করতে অসুবিধা হওয়ায় অনেকটা বিপাকে পড়ছেন এই জেলার নিম্ন আয়ের মানুষ ও বৃদ্ধরা।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার  চিলারং ইউনিয়নের দিন মুজুর এনামুল হক  বলেন, এই ঠান্ডায় কিভাবে যে খেয়ে পড়ে বাচুম? সকালে ঠান্ডার কারনে কাজে যেতে ভীষন কষ্ট হচ্ছে। এখনও  শীতে জড়ো-সড়ো হয়ে গেছে গবাদী পশুও পাথিও। কেউ কেউ আবার খড়-কুটোতে আগুন জ্বালিয়ে করছেন শীত নিবারণের চেষ্টা। রাস্তাঘাটে কুয়াশার ফলে সড়কে-মহাসড়কে বাস-ট্রাকগুলো চলাচল করছে হেডলাইট জ্বালিয়ে। শীতের কাপড় পড়ে হাটাচলা করছেন প্রায় সকলেই। এদিকে ঠান্ডার প্রকোপে হাসপাতাল গুলোতে রোগীর প্রকোপ বাড়ছেবলে জানা গেছে।

গত কয়েক বছর ন্যায় ঠাকুরগাঁওয়ে এবারও মাঘের শুরুতে প্রচন্ড  শীতের দেখা যাচ্ছে সকালের সোনা রোদের কারণে শীত যেন ছিল বসন্তের আগমনী বার্তা। তবে এ বছর স্বমহিমায় আবির্ভূত শীত।  শীতের শুরু থেকেই হাড় কাঁপানো ঠান্ডা নেমেছে ঠাকুরগাঁও। বাদ পড়েনি ২১টা ইউনিয়ন ও জেলায়। নিম্ন তাপমাত্রা, শৈত্যপ্রবাহ আর কুয়াশায় ঠাকুরগাঁওবাসীকে রীতিমতো নাকাল হতে হয়েছে পৌষের শুরু থেকেই। মাঘ মাসেও সে রিস্থিতি থেকে ঠাকুরগাঁওসহ দেশবাসীর নিস্তার নেই বলে ইঙ্গিত দিচ্ছেন আবহাওয়াবিদরা। তাদের আশঙ্কা, সর্বনিম্ন তাপমাত্রার রেকর্ড ছাড়াতে পারে এ বছর। তেমনটি হলে এ বছর ‘মাঘের শীতে বাঘ কাঁপে’ হয়তো সত্যি হয়েই দেখা দেবে।

এখানেই শেষ নয়, আবহাওয়া অধিদফতর আশঙ্কা করছে, মাঘ মাসে এবার শীতের তীব্রতা অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে যেতে পারে। এ মাসেই কমপক্ষে দু’টি শৈত্যপ্রবাহ দেখা দিতে পারে বলে ধারণা করছে প্রতিষ্ঠানটি।

এদিকে  ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানা যায় দুস্থ ও ছিন্নমূল মানুষের শীত কষ্ট নিবারনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর ত্রান তহবিল থেকে পাওয়া কম্বল প্রতিদিন বিতরন করা হচ্ছে।

আগামীনিউজ/এএস

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে
Small Banner