1. প্রচ্ছদ
  2. জাতীয়
  3. সারাবাংলা
  4. রাজনীতি
  5. রাজধানী
  6. আন্তর্জাতিক
  7. আদালত
  8. খেলা
  9. বিনোদন
  10. লাইফস্টাইল
  11. শিক্ষা
  12. স্বাস্থ্য
  13. তথ্য-প্রযুক্তি
  14. চাকরির খবর
  15. ভাবনা ও বিশ্লেষণ
  16. সাহিত্য
  17. মিডিয়া
  18. বিশেষ প্রতিবেদন
  19. ফটো গ্যালারি
  20. ভিডিও গ্যালারি

আজই ফাঁসি হতে পারে কায়সারের

প্রকাশিত: অক্টোবর ২২, ২০২০, ০৫:৩২ পিএম আজই ফাঁসি হতে পারে কায়সারের
ছবি: সংগৃহীত

ঢাকাঃ সাবেক প্রতিমন্ত্রী সৈয়দ মোহাম্মদ কায়সারের মৃত্যুর পরোয়ানা কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে পৌঁছেছে।

আজ বৃহস্পতিবার (২২ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব‌্যুনালের কমর্কতারা কারাগারে এ পরোয়ানা পৌঁছে দেন। কারা কর্তৃপক্ষ সৈয়দ মোহাম্মদ কায়সারের ফাঁসি কার্যকরের প্রাথমিক প্রস্তুতি শুরু করেছে বলে জানা গেছে।

কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার মাহবুবুল ইসলাম এ তথ‌্য নিশ্চিত করেছেন।

জানা গেছে, জাতীয় পার্টির সাবেক নেতা কায়সারের মৃত্যুর পরোয়ানা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। এখন মন্ত্রণালয় থেকে একটি নির্বাহী আদেশ ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে যাবে। কায়সারের স্বজনদের শেষ সাক্ষাতের জন্য ডাকা হবে। এরপর তার ফাঁসি কার্যকরের চূড়ান্ত প্রক্রিয়া শুরু হবে। তাকে ফাঁসিতে ঝোলাতে প্রশিক্ষিত জল্লাদ বাহিনী প্রস্তুত এবং ফাঁসির মঞ্চ ধোয়া-মোছাসহ সব ধরনের কাজ শুরু করেছে কারা কর্তৃপক্ষ। কয়েকজন জল্লাদের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে। তাদের মধ্যে জল্লাদ শাহজাহান ফাঁসি কার্যকরের পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারেন।

উল্লেখ‌্য, মুক্তিযুদ্ধকালে নিজের নামে ‘কায়সার বাহিনী’ গঠন করে যুদ্ধাপরাধ সংঘটন করেন তৎকালীন হবিগঞ্জ মহকুমার রাজাকার কমান্ডার ও শান্তি কমিটির সদস্য সৈয়দ মোহাম্মদ কায়সার। অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় ২০১৪ সালের ২৩ ডিসেম্বর তাকে ২২ বছরের কারাদণ্ড দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। পরে রাষ্ট্রপক্ষ কায়সারের সর্বোচ্চ শাস্তির জন‌্য আবেদন করলে বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে তার মৃত‌্যুদণ্ড দেওয়া হয়। সাজা বাতিল এবং বেকসুর খালাসের দাবিতে ২০১৫ সালের ১৯ জানুয়ারি আবেদন করেন কায়সার। কিন্তু  আদালত তার আবেদন খারিজ করেন।


যুদ্ধাপরাধীদের মধ্যে প্রথমবারের মতো অন্য অপরাধের পাশাপাশি ধর্ষণের দায়ে মৃত‌্যুদণ্ড হয়েছে কায়সারের। কায়সারের বিরুদ্ধে হীরামনি ও মাজেদা নামের দুই নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে।

কায়সারের বিরুদ্ধে ১৯৭১ সালে ১৫২ জনকে হত্যা, দুই নারীকে ধর্ষণ, পাঁচজনকে আটক, অপহরণ, নির্যাতন ও মুক্তিপণ আদায় এবং দুই শতাধিক বাড়ি-ঘরে অগ্নিসংযোগ, লুণ্ঠন ও ষড়যন্ত্রের ১৬টি অভিযোগের মধ্যে ১৪টিই প্রমাণিত হয়।

আগামীনিউজ/এএইচ

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে
Small Banner