1. প্রচ্ছদ
  2. জাতীয়
  3. সারাবাংলা
  4. রাজনীতি
  5. রাজধানী
  6. আন্তর্জাতিক
  7. আদালত
  8. খেলা
  9. বিনোদন
  10. লাইফস্টাইল
  11. শিক্ষা
  12. স্বাস্থ্য
  13. তথ্য-প্রযুক্তি
  14. চাকরির খবর
  15. ভাবনা ও বিশ্লেষণ
  16. সাহিত্য
  17. মিডিয়া
  18. বিশেষ প্রতিবেদন
  19. ফটো গ্যালারি
  20. ভিডিও গ্যালারি

৩৫ জেলায় ৮ হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নদীগর্ভে

নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশিত: আগস্ট ১০, ২০২০, ০১:৪০ পিএম ৩৫ জেলায় ৮ হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নদীগর্ভে

গত ২০ বছরে সারাদেশের ৩৫টি জেলায় আট হাজার স্কুল, কলেজ, মসজিদ ও মাদ্রাসা তিস্তা, যমুনা, ব্রহ্মপুত্র, পদ্মা, মেঘনা নদীর ভাঙনে বিলীন হয়ে গেছে। চলতি বছরের বন্যায় সবচেয়ে বেশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ক্ষতি হয়েছে রংপুর বিভাগে। এ বিভাগে ৭৬২টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তলিয়ে গেছে কিংবা অবকাঠামো নষ্ট হয়েছে।


বিভিন্ন জেলা প্রশাসকের দপ্তর থেকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে এ-সংক্রান্ত চিঠি পাঠানো হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত বিদ্যালয়গুলো ব্যবহার উপযোগী করার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।


এ বিষয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব আকরাম আল হোসেন বলেন, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবনের তালিকা তৈরির কাজ চলছে। বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পর ভবনগুলো দ্রুত মেরামত ও ব্যবহারের উপযোগী করতে সংশ্নিষ্টদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।


তিনি বলেন, নদীতীর ও চর এলাকায় ছেলেমেয়েদের শিক্ষা প্রসারে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বিশেষ প্রয়োজন। দেখা যাচ্ছে, চর এলাকায় নদীর চার কিলোমিটার দূরত্বে ভবন নির্মাণ করার পরও রক্ষা পায়নি। তাই ভবিষ্যতে এসব এলাকায় আর প্রথাগত উপায়ে ভবন নির্মাণ করা হবে না।


জানা গেছে, অনেক জেলা-উপজেলায় নদীতে বিলীন শিক্ষাভবনের নির্মাণকাজ শেষ পর্যায়ে ছিল। কিন্তু ভয়াবহ বন্যার কারণে নতুন ভবনে লেখাপড়ার সুযোগ আর পেলেন না শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। তবে বিলীন ও বিধ্বস্ত এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নতুন করে কোন স্থানে নির্মাণ করা হবে, সে তালিকা এখনও সম্পন্ন হয়নি। বিলীন এসব প্রতিষ্ঠানের পূর্ণাঙ্গ তালিকা এমনকি শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাছেও নেই।


আগামী সেপ্টেম্বরে স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা খুলে দেওয়ার প্রস্তুতি নিয়ে এগোচ্ছিল শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। করোনা বিপর্যয়ের ধকল কাটিয়ে ভবিষ্যতে স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা খুলে দেওয়া হলেও এই বন্যার কারণে লাখ লাখ ছাত্রছাত্রী লেখাপড়া করতে পারবে না।


কুড়িগ্রাম জেলার থেতরাই ইউনিয়নের জুয়ান সাতরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় তিস্তা নদীতে বিলীন হয়েছে। বিদ্যালয়টি নতুন করে কোথায় স্থাপন করা হবে, তা ঠিক করতে পারেনি স্থানীয় প্রশাসন।

 

আগামীনিউজ/এএস

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে
Small Banner