1. প্রচ্ছদ
  2. জাতীয়
  3. সারাবাংলা
  4. রাজনীতি
  5. রাজধানী
  6. আন্তর্জাতিক
  7. আদালত
  8. খেলা
  9. বিনোদন
  10. লাইফস্টাইল
  11. শিক্ষা
  12. স্বাস্থ্য
  13. তথ্য-প্রযুক্তি
  14. চাকরির খবর
  15. ভাবনা ও বিশ্লেষণ
  16. সাহিত্য
  17. মিডিয়া
  18. বিশেষ প্রতিবেদন
  19. ফটো গ্যালারি
  20. ভিডিও গ্যালারি

টুইন টাওয়ার হামলার ২০ বছর

আন্তর্জাতিক ডেস্ক প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১১, ২০২১, ০৯:৩৪ এএম টুইন টাওয়ার হামলার ২০ বছর
ছবি: সংগৃহীত

ঢাকাঃ টুইন টাওয়ার হামলার ২০ বছর পার হলেও প্রশ্ন উঠেছে দীর্ঘ এই সময়ে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানে কতোটা সফল যুক্তরাষ্ট্র? ইরাক এবং আফগানিস্তানে সামরিক অভিযান শেষের পর উঠেছে এমন সমীকরণ।

নারকীয় সেই হামলায় হতাহতের স্বজনরা বলছেন, যেভাবে তড়িঘড়ি করে কাবুল ছেড়েছে মার্কিন সেনারা, তা ৯/১১-এ নিহতদের সাথে প্রতারণার সামিল।

২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর, স্থানীয় সময় সকাল পৌনে ৯টা। নিউইয়র্কের টুইন টাওয়ারে আঘাত হানে একটি বিমান। কিছু বুঝে উঠার আগেই আরেকটি বিমান পাশের ভবনে আঘাত হানে। ১ ঘণ্টার ব্যবধানে ধুলোয় পরিণত হয় বিশাল ভবন দুটি। মারা যায় প্রায় ৩ হাজার মানুষ।

মার্কিন ইতিহাসে ভয়াবহতম এই হামলায় নড়েচড়ে বসে যুক্তরাষ্ট্র। তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশ জঙ্গিগোষ্ঠী আল-কায়দার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেন। সেই সময় সংগঠনটির নেতা ওসামা বিন লাদেনকে আশ্রয় দেয়ার অভিযোগে আফগানিস্তানে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান শুরু করে ওয়াশিংটন।

টানা ২০ বছর অভিযানের পর গেলো ৩০ আগস্ট কাবুল ছাড়ে মার্কিন সেনারা। পেন্টাগনের এই অভিযানের যৌক্তিকতা ও সফলতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে নাইন ইলেভেনে হামলায় হতাহতের স্বজনরা। পেন্টাগনের ভুল সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেন তারা।

টুইন টাওয়ারে হামলায় নিহতের এক স্বজন নাবেল আলভি বলেন, আফগানিস্তান অভিযানে কী করতে হবে তার স্পষ্ট কোনো ধারণা ছিল না পেন্টাগনের। আমার মনে হয় শুরু থেকেই বার বার ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে এসেছে যুক্তরাষ্ট্র। ভুল নীতির জন্য পরাজয় মানতে হয়েছে আজ।

টুইন টাওয়ারে হামলায় নিহতের আরেক স্বজন জনাথন স্নাইডারম্যান বলেন, আফগানিস্তান থেকে যেভাবে ফিরে এসেছে যুক্তরাষ্ট্র তা লজ্জাজনক। প্রতিশোধের নামে আমাদের সাথে প্রতারণা করা হয়েছে। সেখানে অভিযানে যাওয়ার সিদ্ধান্তটাই ভুল ছিল।

নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা মনে করেন, ইরাক ও আফগানিস্তান যুদ্ধে শুধু লাখ লাখ নিরীহ মানুষের মৃত্যু আর হাজার হাজার কোটি ডলার অর্থ ব্যয় হয়েছে। নেই তেমন কোনো অর্জন। এখনও মার্কিন ভূখণ্ডে হামলার হুমকি রয়েই গেছে।

কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড হোমল্যান্ড সিকিউরিটির সিনিয়র ফেলো ব্রুস হফম্যান বলেন, এটা সত্য আলকায়দার শক্তি কমেছে। কিন্তু বিভিন্ন দেশে তাদের প্রভাব কিন্তু রয়েছে এখনও। আমরা আগেও দেখেছি যখন কোনো অঞ্চলে জঙ্গীবিরোধী অভিযান চালানো হয়, তখন তারা অন্য এলাকায় গিয়ে সক্রিয় হওয়ার চেষ্টা করে। যা নিয়ন্ত্রণ করা আরও চ্যালেঞ্জিং।

যদিও আল কায়েদা নেতা ওসামা বিন লাদেনকে হত্যা করাই সন্ত্রাস বিরোধী অভিযানের সবচেয়ে বড় সফলতা হিসেবে দেখছে ওয়াশিংটন।

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে
Small Banner