1. প্রচ্ছদ
  2. জাতীয়
  3. সারাবাংলা
  4. রাজনীতি
  5. রাজধানী
  6. আন্তর্জাতিক
  7. আদালত
  8. খেলা
  9. বিনোদন
  10. লাইফস্টাইল
  11. শিক্ষা
  12. স্বাস্থ্য
  13. তথ্য-প্রযুক্তি
  14. চাকরির খবর
  15. ভাবনা ও বিশ্লেষণ
  16. সাহিত্য
  17. মিডিয়া
  18. বিশেষ প্রতিবেদন
  19. ফটো গ্যালারি
  20. ভিডিও গ্যালারি

দুবাইয়ে আটকে পড়া প্রবাসীদের মেসেজ পেয়ে খাদ্য পাঠালেন সুজানা

বিনোদন ডেস্ক প্রকাশিত: এপ্রিল ৯, ২০২০, ০৫:১৬ পিএম দুবাইয়ে আটকে পড়া প্রবাসীদের মেসেজ পেয়ে খাদ্য পাঠালেন সুজানা
সুজানা

ঢাকা: দুবাইয়ে আটকে পড়া ২৮জন প্রবাসীর মেসেজ পেয়ে খাদ্য পাঠালেন জনপ্রিয় মডেল ও অভিনেত্রী  সুজানা।

জানা গেছে, আটকে পড়া প্রবাসীদের খাবার এমনকী শুধু পানিও আনার উপায় নেই। নিরুপায় হয়ে বিভিন্ন জায়গায় ফেসবুকের মাধ্যমে যোগাযোগের চেষ্টা করছিলেন দুবাই প্রবাসী এ তরুণ। কি মনে করে সুজানাকে মেসেজ দিলেন। দুবাইয়ে আটকে পড়ে অলস সময় কাটাচ্ছিলেন সুজানা। তিনিও আদার বক্সের মেসেজ কি মনে করে চেক করলেন।

দেখলেন খাদ্য সহায়তা চেয়ে কক্সবাজারের এক তরুণ মেসেজ দিয়েছে। সুজানা সবিস্তারে শুনলেন। জানতে পারলেন ওই এলাকায় ১৩ জন বাংলাদেশি তরুণ একসঙ্গে কাজ করেন। টাকা মুখ্য নয়, খাদ্য পৌঁছানোই কঠিন কাজ। সুজানা মেসেজ পেয়ে প্রস্তুতি নিলেন, এমন আরো আটকে পড়া ১৫ জন বাংলাদেশির সন্ধান পেলেন, যারা খাবার পাচ্ছিলেন না। এই ২৮ জন বসবাস করেন দুবাইয়ের ডেইরা ও বানিয়াসে।  

উদ্যোগ নিলেন। ভাইয়ের মাধ্যমে বাজার করে ওইসব আটকে পড়া বাংলাদেশির ঠিকানায় খাবার পৌঁছালেন। নিজেদের আত্মীয়ের মাধ্যমে প্রশাসনের সহায়তা নিয়ে এলাকা গুলোতে খাবার পৌঁছাতে হয়েছে। 

দুবাইতে থাকা ওই প্রবাসীরা  জানান, তাদের বাড়ি কক্সবাজার, চট্টগ্রাম ও কুমিল্লা। এদেরই একজনের নাম বাপ্পী (নাম কিঞ্চিত পরিবর্তিত)। তিনি বলেন, 'আমরা সুজানা ম্যাডামের ভক্ত। তাকে অনুসরণ করতাম। আমরা যখন বিপদে পড়েছি তখন সুজানা ম্যাডামকে মেসেজ দিয়েছি। তিনি আমাদের বিস্তারিত জানতে চান, তাঁকে আমরা সাথে সাথে পাসপোর্টের ছবি তুলে পাঠালাম। কারণ আমরা ক্ষুধার্ত, আমাদের যেকোনোভাবে খাদ্য লাগবে। ম্যাডাম বিশ্বাস করলেন। 

বাপ্পী জানান, তাদের একজন জানান, গত ২০-২২ দিন তারা গৃহবন্দি। কাজ বন্ধ। মোটেও বাইরে যেতে পারছেন না। বেতনও হাতে পাননি। খাওয়াদাওয়ায় বেশি সমস্যা পড়েছেন গত শেষ ২ দিনে।  

দুবাইতে অবস্থানরত সুজানা বলেন, 'আসলে এই দুবাইতে থেকে এমনভাবে মানুষের জন্য কিছু করতে পারবো ভাবিনি। দেশে আমার নির্দেশনায় আমার ম্যানেজার কাজ করছে। কিন্তু দুবাইয়ে এরকম অবস্থা হবে ভাবতে পারিনি।

আমি প্রথমে মেসেজ দেখে মনে করছি আমার সাথে কেউ মজা করার চেষ্টা করছে। পরে আমাকে পাসপোর্টের পাতার ছবি তুলে পাঠালো। এরপর আমি চেষ্টা করলাম ওদের খাদ্য পাঠাতে। ওরা যেসব এলাকায় রয়েছে সেসব এলাকায় পৌঁছানো একটু কঠিঞ্জ ছিল।'

আগামী নিউজ/বাবুল

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে
Small Banner