1. প্রচ্ছদ
  2. জাতীয়
  3. সারাবাংলা
  4. রাজনীতি
  5. রাজধানী
  6. আন্তর্জাতিক
  7. আদালত
  8. খেলা
  9. বিনোদন
  10. লাইফস্টাইল
  11. শিক্ষা
  12. স্বাস্থ্য
  13. তথ্য-প্রযুক্তি
  14. চাকরির খবর
  15. ভাবনা ও বিশ্লেষণ
  16. সাহিত্য
  17. মিডিয়া
  18. বিশেষ প্রতিবেদন
  19. ফটো গ্যালারি
  20. ভিডিও গ্যালারি

গাজীপুরে ২ বছর পর স্কুল ছাত্র হত্যা রহস্য উন্মোচন

মোক্তার হোসেন, গাজীপুর প্রতিনিধি প্রকাশিত: জুন ৮, ২০২১, ০৮:০৫ পিএম গাজীপুরে ২ বছর পর স্কুল ছাত্র হত্যা রহস্য উন্মোচন
ছবি: আগামী নিউজ

গাজীপুরঃ  বাসায় চুরির সময় বাঁধা দেওয়ায় মুখ চেপে গলা কেটে ও ছুরিকাঘাত করে ৫ম শ্রেণীর স্কুল ছাত্র তৌসিফুল ইসলাম মুন্নাকে (১৪) খুন করেছে কয়েক দুর্বৃত্ত। ক্লুলেস এ ঘটনার প্রায় দুই বছর পর রহস্য উন্মোচন করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। 

মঙ্গলবার (৮ জুন)  ভোরে দুই যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। বিকেলে গাজীপুর পিবিআই’র পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ মাকছুদের রহমান এ নিশ্চিত করেছেন। হত্যার শিকার তৌসিফুল ইসলাম মুন্না পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার রায় তাঁতেরকাঠি গ্রামের মিজানুর রহমান ওরফে জাহাঙ্গীর হোসেনের ছেলে। সে ঢাকার উত্তরা শাহিন ক্যাডেট স্কুলের ৫ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী ছিল। তার বাবা রাজধানীর বনানী এলাকার একটি বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে চাকুরি করতেন এবং স্বপরিবারে গাজীপুরা এলাকার চন্দ্রিমা হাউজিং প্রকল্পের জনৈক হাবিবুর রহমানের বাড়ীর ৪র্থ তলায় ভাড়া থাকতেন। 

গ্রেফতারকৃতরা হলো ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলার চরমোকামিয়া এলাকার কুদ্দুস আলীর ছেলে আনোয়ার হোসেন (২৫) এবং জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলার জাকিরপাড়া এলাকার ওসমান আলীর ছেলে মোফাজ্জল হোসেন (৩১)। তারা গাজীপুর মহানগরের টঙ্গী পূর্ব থানার গাজীপুরা এলাকার পৃথক ভাড়া বাসায় থাকে। 

এসপি মোহাম্মদ মাকছুদের রহমান জানান, মিজান ২০১৯ সালের ১৮ জুলাই সকাল ৭টার দিকে কর্মস্থলের উদ্দেশ্যে বাসা থেকে বের হন। পরে মুন্নাকে বাসায় রেখে তার মা ছোট ছেলে তামিমকে নিয়ে পাশের স্কুলে যান। স্কুল থেকে সকাল সোয়া ১০টার দিকে মা হামিদা আক্তার বাসায় ফিরে ঘরের দরজা বাইরে থেকে আটকানো অবস্থায় দেখতে পান। তিনি প্রতিবেশীদের সহায়তায় ঘরের ভিতরে ঢুকে বেডরুমের খাটের উপর উপুর হয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকা মুন্নার লাশ দেখতে পেয়ে ডাক চিৎকার করেন। নিহতের গলায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কাটা এবং পেটে ছুরিকাঘাতের চিহ্ন ছিল। এ ব্যাপারে নিহতের বাবা মিজান অজ্ঞাতনামা আসামীদের বিরুদ্ধে টঙ্গী পূর্ব থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ প্রায় ২ মাস তদন্তকালে সন্দেহভাজন একজনকে আটক করলেও কোন রহস্য উদঘাটন করতে পারেনি। পরবর্তীতে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের নির্দেশে চাঞ্চল্যকর ও ক্লুলেস এ ঘটনার মামলার তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয় গাজীপুর পিবিআইকে।

পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই’র) তদন্ত কর্মকর্তা ইন্সপেক্টর হাফিজুর রহমান তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে এ ঘটনায় জড়িত আনোয়ার ও মোফাজ্জল হোসেনকে গ্রেফতার করেন। তাদেরকে নিবিড়ভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করার একপর্যায়ে সহযোগীদের সহায়তায় গ্রেফতারকৃতরা তৌসিফুল ইসলাম মুন্নাকে খুন করার কথা স্বীকার করে। গ্রেফতারকৃতদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে নিহতের বাসা থেকে লুণ্ঠিত মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা আদালতে স্বীকারোক্তি মুলক জবানবন্দি প্রদান করে। ঘটনার প্রায় দুই বছর পর চাঞ্চল্যকর ও ক্লুলেস স্কুল ছাত্র তৌসিফুল ইসলাম মুন্না হত্যার রহস্য উন্মোচন হয়েছে। 

তিনি আরো জানান, বাসায় ভিকটিমের বাবা ও মায়ের অনুপস্থিতির সুযোগে ওই দুই যুবক সকাল ৯টার দিকে মুন্নাদের বাসায় যায়। তারা মুন্নাকে ডেকে দরজা খুলে ভিতরে প্রবেশ করে এবং ঘর থেকে মোবাইল ও ক্যামেরা লুট করার চেষ্টা
করে। এসময় বাঁধা দিলে মুন্নার মুখ চেপে ধরে গলা কেটে ও ছুরিকাঘাত করে তাকে খুন করে। পেটে ছুরিকাঘাত করায় মুন্নার নাড়িভুঁড়ি বের হয়ে যায়। পরে বিভিন্ন মালামাল লুট করে তারা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। গ্রেফতারকৃতরা
জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করে মূলত: চুরি করার উদ্দেশ্যে প্রবেশ করলে আসামীদেরকে চিনে ফেলায় ভিকটিম তৌসিফুল ইসলাম মুন্নাকে তারা হত্যা করে।
 

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে
Small Banner