1. প্রচ্ছদ
  2. জাতীয়
  3. সারাবাংলা
  4. রাজনীতি
  5. রাজধানী
  6. আন্তর্জাতিক
  7. আদালত
  8. খেলা
  9. বিনোদন
  10. লাইফস্টাইল
  11. শিক্ষা
  12. স্বাস্থ্য
  13. তথ্য-প্রযুক্তি
  14. চাকরির খবর
  15. ভাবনা ও বিশ্লেষণ
  16. সাহিত্য
  17. মিডিয়া
  18. বিশেষ প্রতিবেদন
  19. ফটো গ্যালারি
  20. ভিডিও গ্যালারি
আসামির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি

মুক্তিপণ না পেয়েই স্কুল ছাত্রকে হত্যা

মোক্তার হোসেন, গাজীপুর প্রতিনিধি প্রকাশিত: এপ্রিল ১২, ২০২১, ০৯:০২ পিএম মুক্তিপণ না পেয়েই স্কুল ছাত্রকে হত্যা
ছবি: আগামী নিউজ

গাজীপুর:  টঙ্গীর তুরাগ নদের শাখা আন্দারুল খাল থেকে গত ১৯ মার্চ উদ্ধার হওয়া অর্ধগলিত লাশের পরিচয় ও হত্যা রহস্য উদঘাটন করেছে টঙ্গী পশ্চিম থানা পুলিশ। হত্যাকান্ডে জড়িত আতাউল হোসেনকে (৩৫) গত রোববার (১১ এপ্রিল) গ্রেফতার করা হয়। আতাউল গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার রামনগর গ্রামের মৃত ইমাম হোসেনের ছেলে।  

গ্রেফতারকৃত আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। টঙ্গী পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

নিহত ইসমাঈল সরকার (১৩) সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার ধানঘরা গ্রামের নূর নবী সরকারের ছেলে। সে বাবা-মা’র সাথে রাজধানীর তুরাগ থানার কামারপাড়া এলাকার স্থানীয় উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র ছিল।

ওসি শাহ আলম জানান, আসামি আতাউল তার জবানবন্দিতে জানায়, সে ও তার দুই সহযোগী পাঁচ লাখ টাকা মুক্তিপণ আদায়ের উদ্দেশ্যে রাজধানীর তুরাগ থানার কামারপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র ইসমাঈল সরকারকে অপহরণ করে। মুক্তিপণ না পেয়ে তারা পরস্পরের যোগসাজশে ইসমাঈলকে হত্যা করে লাশ আন্দারুল খালে ফেলে দেয়। 

ওসি আরো জানান, গত ১৯ মার্চ সন্ধ্যায় তুরাগ নদের শাখা আন্দারুল খালের পানিতে ভাসমান অবস্থায় একটি লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহতের পরনে নীল রঙের জিন্স প্যান্ট এবং নীল রঙের টি শার্ট ছিল। তার দুই চোখ জখমপ্রাপ্ত এবং ডান চোখ দিয়ে রক্ত ঝরছিল। লাশ পানিতে থাকায় শরীরের বেশির ভাগ জায়গা ফুলে পচে বিকৃত হয়ে যায়। লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেলল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। পুলিশ তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে নিহতের পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার জন্য গাজীপুর মহানগরসহ আশপাশের লাগুলোতে ভিকটিমের ছবিসহ বেতার বার্তা পাঠায়। 

এক পর্যায়ে ডিএমপির তুরাগ থানায় গত ১৮ মার্চ দায়ের করা নিখোঁজ সংক্রান্ত একটি সাধারণ ডায়েরির সুত্র ধরে ভিকটিমের পরিচয় মিলে। পরে পুলিশ ভিকটিমের বাবা-মা’র কাছ থেকে বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করে ঘটনার সঙ্গে জড়িত আসামি আতাউল হোসেনকে গ্রেফতার করে। 

পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে আতাউল এ হত্যাকান্ডের দায় স্বীকার করে। পরে তিনি আদালতে ঘটনার বর্ণনা দিয়ে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। এ ঘটনায় জড়িত বাকি আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।

আগামীনিউজ/নাহিদ

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে
Small Banner