1. প্রচ্ছদ
  2. জাতীয়
  3. সারাবাংলা
  4. রাজনীতি
  5. রাজধানী
  6. আন্তর্জাতিক
  7. আদালত
  8. খেলা
  9. বিনোদন
  10. লাইফস্টাইল
  11. শিক্ষা
  12. স্বাস্থ্য
  13. তথ্য-প্রযুক্তি
  14. চাকরির খবর
  15. ভাবনা ও বিশ্লেষণ
  16. সাহিত্য
  17. মিডিয়া
  18. বিশেষ প্রতিবেদন
  19. ফটো গ্যালারি
  20. ভিডিও গ্যালারি

পাগলা মসজিদের দানবাক্সে মিলল ১৫ বস্তা টাকা, চলছে গণনা

জেলা প্রতিনিধি, কিশোরগঞ্জ প্রকাশিত: অক্টোবর ১, ২০২২, ১১:৪১ এএম পাগলা মসজিদের দানবাক্সে মিলল ১৫ বস্তা টাকা, চলছে গণনা

কিশোরগঞ্জঃ ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দানবাক্স খোলা হয়েছে। আটটি লোহার দানবাক্সে পাওয়া গেছে ১৫ বস্তা টাকা। সঙ্গে রয়েছে বৈদেশিক মুদ্রা ও বিভিন্ন ধরনের সোনার অলঙ্কার। এখন টাকা গণনা চলছে। বিকেলের মধ্যে জানা যাবে গত তিন মাসে কত টাকা জমা হলো মসজিদের দানবাক্সে।  

শনিবার (১ অক্টোবর) সকালে মসজিদের আটটি দানবাক্স খোলা হয়।

টাকা গণনার সময় উপস্থিত রয়েছেন রূপালি ব্যাংকের এজিএম ও অন্যান্য কর্মকর্তা, ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য এবং মসজিদ কমপ্লেক্সে অবস্থিত মাদরাসা ও এতিমখানার শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

এর আগে সর্বশেষ ২ জুলাই ৩ মাস ২০ দিন পর দানবাক্সগুলো খোলা হয়েছিল। তখন ৩ কোটি ৬০ লাখ ২৮ হাজার ৪১৫ টাকা এবং বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালঙ্কার পাওয়া গিয়েছিল। এবার ৩ মাস ০১ দিন পর দান সিন্দুকগুলো খোলা হলো।

মসজিদ পরিচালনা কমিটি সূত্রে জানা গেছে, আজ সকাল ৮টায় জেলা প্রশাসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে মসজিদের আটটি দান সিন্দুক খোলা হয়েছে। দান সিন্দুকগুলো খুলে ১৬টি বস্তায় টাকাগুলো আনা হয়েছে গণনার জন্য। এখন চলছে টাকা গণনার কাজ।

মসজিদের খতিব, এলাকাবাসী ও দূর-দূরান্ত থেকে আসা লোকজন সূত্রে জানা যায়, এই মসজিদে মানত করলে মনের আশা পূর্ণ হয়। এমন ধারণা থেকে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাই এখানে দান করে থাকেন।

কথিত আছে, প্রায় ৫০ বছর আগে পাগলবেশী এক সাধু পুরুষ নরসুন্দা নদীর মাঝখানে পানিতে মাদুর পেতে আশ্রয় নেন। তার মৃত্যুর পর সমাধির পাশে এ মসজিদটি গড়ে ওঠে। সেই থেকে পাগলা মসজিদ নামে পরিচিতি মসজিদটি। মসজিদের একজন খাদেমের কাছে টাকা দানের বিষয়ে জানতে চাইলে বলেন, ‘পাগলা মসজিদে দান করলে মনের ইচ্ছাপূরণ হয়— এমন বিশ্বাসে মুসলমানরাসহ অন্যান্য ধর্মের লোকজনও এখানে দান করেন।

কিশোরগঞ্জ শহরের ঐতিহাসিক স্থাপনার মধ্যে পাগলা মসজিদ অন্যতম। শহরের পশ্চিমে হারুয়া এলাকায় নরসুন্দা নদীর তীরে মাত্র ১০ শতাংশ ভূমির ওপর মসজিদটি গড়ে উঠেছিল। সময়ের বিবর্তনে আজ এ মসজিদের পরিধির সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে এর খ্যাতি ও ঐতিহাসিক মূল্যও।

মসজিদকে কেন্দ্র করে একটি অত্যাধুনিক ধর্মীয় কমপ্লেক্স এখানে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সম্প্রসারিত হয়েছে মূল মসজিদ ভবন।

এমএম

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে
Small Banner