1. প্রচ্ছদ
  2. জাতীয়
  3. সারাবাংলা
  4. রাজনীতি
  5. রাজধানী
  6. আন্তর্জাতিক
  7. আদালত
  8. খেলা
  9. বিনোদন
  10. লাইফস্টাইল
  11. শিক্ষা
  12. স্বাস্থ্য
  13. তথ্য-প্রযুক্তি
  14. চাকরির খবর
  15. ভাবনা ও বিশ্লেষণ
  16. সাহিত্য
  17. মিডিয়া
  18. বিশেষ প্রতিবেদন
  19. ফটো গ্যালারি
  20. ভিডিও গ্যালারি

লক্ষ্মীপুরে মাদরাসা ছাত্রীকে হত্যার দায়ে ৪ জনের যাবজ্জীবন

জেলা প্রতিনিধি, লক্ষ্মীপুর প্রকাশিত: মে ১৮, ২০২২, ০২:১৮ পিএম লক্ষ্মীপুরে মাদরাসা ছাত্রীকে হত্যার দায়ে ৪ জনের যাবজ্জীবন

লক্ষ্মীপুরঃ জেলার রায়পুরে রোজিনা আক্তার (১৫) নামে এক মাদরাসা ছাত্রীকে হত্যার ঘটনায় চার জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। বুধবার (১৮ মে) বেলা ১১ টার দিকে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ রহিবুল ইসলাম এ রায় প্রদান করেন। রোজিনা রায়পুর পৌরসভার দেনায়েতপুর গ্রামের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বিধবা মনেয়ারা বেগমের পালক মেয়ে।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- রায়পুর পৌরসভার দেনায়েতপুর গ্রামের মৃত হানিফ মিয়ার ছেলে আমির হোসেন আল আমিন ওরফে কয়লা (২৬), একই এলাকার পৌর ৮ নম্বর ওয়ার্ডের আবুল কালামের ছেলে মো. হুমায়ূন কবির (৩৪), আবদুল মতিনের মেয়ে আখি আক্তার রুমা (২৫) ও বামনী গ্রামের মৃত মোস্তফার ছেলে মো. বাহার ওরফে জামাই বাহার (৩১)।

জেলা জজ আদালতের সরকারী কৌশলী অ্যাডভোকেট জসিম উদ্দিন রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে সাংবাদিকদের জানান, প্রধান আসামী আমির হোসেন আল আমিনের বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় ২০১৬ সালের ১১ ডিসেম্বর অন্য আসামীদের সহযোগিতায় রোজিনাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। এ ঘটনায় পরের দিন ভিকটিমের মা মনোয়ারা বেগম বাদি হয়ে রায়পুর থানায় অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। পুলিশের তদন্তে ঘটনার সাথে জড়িত চারজন শনাক্ত হয়। আদালত দীর্ঘ শুনানি শেষে ওই চারজনের যাবজ্জীবন স্বশ্রম কারাদণ্ডের রায় প্রদান করেন। রায়ের সময় আদালতে চার আসামির মধ্যে আমির হেসেন কয়লা এবং আখিঁ আক্তার রুমা উপস্থিত ছিলেন। বাকীরা পলাতক রয়েছে।

আদালত ও মামলা সূত্র জানায়, ভিকটিম রোজিনা আক্তার রায়পুর উপজেলার দেনায়েতপুর গ্রামের খাদিজাতুল কোবরা মহিলা মাদরাসার ৩য় শ্রেণীর ছাত্রী। ২০১৬ সালের ১১ ডিসেম্বর দুপুরে সে বাড়ি থেকে দুপুরের খাবার খেয়ে মাদরাসার উদ্দেশ্য বের হয়। ওইদিন সে আর বাড়ি ফিরে আসেনি। পরদিন ওই এলাকার ফারুকীয়া মাদরাসার পাশের একটি পরিত্যক্ত বাউন্ডারি ঘেরা বাগানের ভেতর রেজিনার মৃতদেহ পাওয়া যায়। এরপর পুলিশ তদন্তে ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত আখি আক্তার রুমা নামে এক নারীকে গ্রেফতার করলে সে আদালতে ঘটনার দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয়। তার জবানবন্দি অনুসারে ঘটনার মূল হোতা আমির হেসেন আল আমিন ওরফে কয়লাকে গ্রেফতার করা হয়। ২০১৭ সালের ২৮ জুন রায়পুর থানা পুলিশ ঘটনার সাথে জড়িত চার জনের বিরুদ্ধে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে।

মো: রবিউল ইসলাম খান/এমএম

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে
Small Banner