1. প্রচ্ছদ
  2. জাতীয়
  3. সারাবাংলা
  4. রাজনীতি
  5. রাজধানী
  6. আন্তর্জাতিক
  7. আদালত
  8. খেলা
  9. বিনোদন
  10. লাইফস্টাইল
  11. শিক্ষা
  12. স্বাস্থ্য
  13. তথ্য-প্রযুক্তি
  14. চাকরির খবর
  15. ভাবনা ও বিশ্লেষণ
  16. সাহিত্য
  17. মিডিয়া
  18. বিশেষ প্রতিবেদন
  19. ফটো গ্যালারি
  20. ভিডিও গ্যালারি
পাহাড়ী জনপদে উৎসবের আমেজ

জুমের সোনালী পাকা ধানে ছেয়ে গেছে পাহাড়

নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশিত: অক্টোবর ৯, ২০২১, ১১:৪০ পিএম জুমের সোনালী পাকা ধানে ছেয়ে গেছে পাহাড়
ছবিঃ আগামী নিউজ

রাঙ্গামাটিঃ রাঙ্গামাটির পাহাড়ে জুমের সোনালী পাকা ধানে ছেয়ে গেছে পাহাড়। শুরু হয়েছে ধান কাটার উৎসব। জুম চাষীদের চোখে মুখে এখন আনন্দ। জুমিয়ারা উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্যদিয়ে জুমের পাকা ধান কেটে বাড়ীতে তোলা নিয়ে ব্যস্ত দিন পার করছেন। নতুন ধানের গন্ধে পাহাড়ি জনপদগুলোতে তৈরি হয়েছে উৎসবের আমেজ। জুমের ফসল বাড়ীতে তোলার পর পর পাহাড়ীদের ঘরে ঘরে শুরু হবে নবান্ন উৎসব। 

পার্বত্য চট্টগ্রামের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের সনাতনী কৃষি হচ্ছে পাহাড়ের ঢালে জুম চাষ। জুম চাষের প্রস্তুতিকালে প্রথমে ফাল্গুন-চৈত্র মাসে আগুনে পুড়িয়ে জুম চাষের জন্য জমিকে উপযুক্ত করে তোলা হয়। এরপর বৈশাখ-জ্যৈষ্ঠ মাসে প্রস্তুতকৃত পোড়া জুমের মাটিতে দা দিয়ে গর্ত খুঁড়ে একসঙ্গে ধান, মারফা, মিষ্টি কুমড়া, তুলা, তিল, ভুট্টাসহ ইত্যাদি বীজ বপন করে জুমিয়ারা। আষাঢ়-শ্রাবণ মাসেই জুমের ধান পাকা শুরু হয়। ভাদ্র-আশ্বীন মাসে ঘরে তোলা হয় জুমের ফসল।

জুম চাষিরা জানান, অন্যান্য বছরের তুলনায় চলতি বছর জুমের ফসল ভালো হয়েছে। দীর্ঘ কয়েক মাস পরিশ্রম করে তারা এবার ভালো ফসল পেয়েছে এবং জুম ধানের পাশাপশি মিষ্টি কুমড়া, তিল, আদা, হলুদ, ভুট্টা, শিম, মারফা, কাকন, মরিচ, তুলাসহ নানা প্রকার শাক-সবজি চাষ করা হয়েছে। সময় মতো ফসল ঘরে তুলতে পারলে পুরো বছর অনায়াসে কেটে যাবে এমনটাই আশা চাষিদের। আর খাদ্য সংকটে ভুগতে হবে না তাদের।

রাঙ্গামাটি কৃষি সম্প্রসারনের উপ-পরিচালক শষ্য আপ্রু মার্মা বলেন, চলতি বছর শুধু রাঙ্গামাটি জেলায় জুম চাষ হয়েছে ৫ হাজার ৮৫০ হেক্টর জমিতে। যার উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধারা হয়েছে হেক্টর প্রতি ১ দশমিক ৩০টন। আর বর্তমানে যে উৎপাদন পাওয়া যাচ্ছে তা লক্ষ্যমাত্রা চেয়ে বেশী। দীর্ঘ কয়েক মাস পরিশ্রমের ফলে এবং জুম চাষীরা জুমে সঠিক ভাবে সার প্রয়োগ করায় এবার ফলন ভালো হয়েছে। আর পাহাড়ে জুমিয়ারা স্থানীয় জাতের ধানের পাশাপাশি উচ্চ ফলনশীল ধান ও সবজির আবাদ করতে চাষিদের পরামর্শসহ যাবতীয় সুবিধা দিচ্ছে রাঙ্গামাটি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।

রাঙ্গামাটি কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ পরিচালক কৃষ্ণ প্রসাদ মল্লিক জানান, পাহাড়ে জুমিয়ারা স্থানীয় জাতের ধানের পাশাপাশি সাথী ফসলের আবাদ করার ধান ও সবজীর ভালো ফলন পাওয়া যাচ্ছে। এবারের আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় ও সঠিক বৃষ্টিপাতের কারণে এবার জুমের ফলন ভালো হয়েছে। তবে জুমে কিছু উচ্চ ফলনশীল ধান কৃষকদের পরিচয় করিয়ে দিতে পারলে কৃষকরা হয়তো ধানের ফলন বেশি পাবে। তবে এ বছর ধানের পাশাপাশি অন্যান্য সবজিও ভালো হয়েছে। এ বছর জুমের ভালো ফলন হওয়াতে কৃষি বিভাগ লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সক্ষম হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীরা এই ঐতিহ্যবাহী জুম চাষ পদ্ধতিকে আধুনিকায়ন ও জুম চাষীদের ব্যাংক ঋণের ব্যবস্থা করলে জুমে ব্যাপক উৎপাদন বৃদ্ধি পেতো। এতে করে একদিকে এই অঞ্চলের খাদ্যের ঘাটতি পূরণ হতো তেমনি প্রান্তিক জুম চাষীদের জীবনমান পরিবর্তন ঘটানো সম্ভব হবে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন।

আগামীনিউজ/শরিফ 

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে
Small Banner