1. প্রচ্ছদ
  2. জাতীয়
  3. সারাবাংলা
  4. রাজনীতি
  5. রাজধানী
  6. আন্তর্জাতিক
  7. আদালত
  8. খেলা
  9. বিনোদন
  10. লাইফস্টাইল
  11. শিক্ষা
  12. স্বাস্থ্য
  13. তথ্য-প্রযুক্তি
  14. চাকরির খবর
  15. ভাবনা ও বিশ্লেষণ
  16. সাহিত্য
  17. মিডিয়া
  18. বিশেষ প্রতিবেদন
  19. ফটো গ্যালারি
  20. ভিডিও গ্যালারি

ট্রেনে ডাকাতির ঘটনায় জড়িতরা সংঘবদ্ধ চক্রের সদস্য ও ট্রেনের পেশাদার ছিনতাইকারী

নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২১, ০৩:৪৮ পিএম ট্রেনে ডাকাতির ঘটনায় জড়িতরা সংঘবদ্ধ চক্রের সদস্য ও ট্রেনের পেশাদার ছিনতাইকারী
ছবিঃ সংগৃহীত

ময়মনসিংহঃ ট্রেনের ছাদে ডাকাতি ও হত্যায় জড়িত মূল হোতাসহ পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছেন র‍্যাপিড অ্যাকশান ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব-১৪)। র‍্যাব জানিয়েছে, গ্রেফতাররা একটি সংঘবদ্ধ চক্রের সদস্য। তারা ট্রেনের পেশাদার ছিনতাইকারী। ছোট ছোট গ্রুপে বিভক্ত হয়ে তারা ছিনতাই করত। আবার সুযোগ বুঝে করত ডাকাতি। 

রোববার (২৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে র‍্যাব-১৪ এর প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত এক প্রেস কনফারেন্সে এসব তথ্য জানান অধিনায়ক উইং কমান্ডার মো. রোকনুজ্জামান। এর আগে শনিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাতে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে র‌্যাব-১৪।

গ্রেফতাররা হলেন- ময়মনসিংহের শিকারিকান্দা এলাকার আশারাফুল ইসলাম স্বাধীন (২৬), বাঘমারা এলাকার মাকসুদুল হক রিশাদ (২৮), মো. হাসান (২২), রুবেল মিয়া (৩১) ও মোহাম্মদ (২৫)। এদের মধ্যে শনিবার রাত ১টার দিকে প্রথমে স্বাধীনকে গ্রেফতার করা হয়। পরে চেইন অপারেশন চালিয়ে অন্যদের গ্রেফতার করে র‍্যাব। এ সময় তাদের কাছ থেকে ১২টি মোবাইল ফোন ও ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। 

সংবাদ সম্মেলনে উইং কমান্ডার রোকনুজ্জামান আরও জানান, ট্রেনে ডাকাতির ঘটনার মূলহোতা আশরাফুল আলম স্বাধীনকে শনিবার রাতে ময়মনসিংহ নগরীর শিকারীকান্দা এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী অনুযায়ী অন্যান্যদের গ্রেফতার করা হয়।

র‌্যাব আরও জানায়, গত বৃহস্পতিবার ডাকাতদল ডাকাতির উদ্দেশ্য কমলাপুর স্টেশন থেকে জামালপুরগামী কমিউটার ট্রেনে উঠে। পরবর্তী বিমানবন্দর, টঙ্গী, গফরগাঁও স্টেশন থেকে আরও কয়েজন সহযোগী তাদের দলে যোগ দেয়। গফরগাঁও স্টেশন পার হওয়ার পর ডাকাত সদস্যরা ছোট ছোট দলে বিভক্ত হয়ে ট্রেনের ছাদে ছিনতাই ও ডাকাতি শুরু করে। ডাকাতির এক পর্যায়ে ভুক্তভোগী নিহত সাগর মিয়া ও নাহিদ বাধা দিলে তাদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। এ সময় ডাকাতরা তাদের হাতে থাকা অস্ত্র দিয়ে মাথায় এলোপাতাড়ি আঘাত করে। এতে সাগর ও নাহিদ আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে ট্রেনের ছাদে লুটিয়ে পড়ে। ময়মনসিংহ রেলওয়ে স্টেশনে ঢোকার আগে সিগন্যালে ট্রেনের গতি কমলে ডাকাতরা ট্রেন থেকে নেমে যায়। 

তিনি আরও বলেন, ওই ঘটনায় রিশাদ, স্বাধীন, মােহাম্মদসহ অজ্ঞাত কয়েকজন সরাসরি সম্পৃক্ত ছিল। আর টার্গেট শনাক্ত করার দায়িত্বে ছিল হাসান। এরপর লুণ্ঠিত মােবাইল ও অন্যান্য মালামাল কম দামে এই চক্রের কাছ থেকে সংগ্রহ এবং অন্যদের কাছে বেশি দামে বিক্রি করত রুবেল। সে চক্রটির পৃষ্ঠপােষকও বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে। 

এই সংঘবদ্ধ চক্রটির মূল হোতা রিশাদ। তার নামে ময়মনসিংহ রেলওয়ে থানা ও কোতোয়ালি মডেল থানায় মাদক নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা রয়েছে। সে দুই বছরেরও বেশি সময় কারাগারে ছিল। 

গত বৃহস্পতিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা দেওয়ানগঞ্জগামী জামালপুর কমিউটার ট্রেনটি গফরগাঁও স্টেশনে পৌঁছালে ছাদে কয়েকজন ডাকাত ওঠে। ডাকাতির সময় বাধা দিলে তারা প্রথমে নাহিদ মিয়া ও সাগর মিয়া নামে দুজনকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে। পরে রুবেল মিয়া নামে আরেকজনকে ছুরিকাঘাত করা হয়। ট্রেনটি জামালপুর পৌঁছালে তিনজনকে ছাদ থেকে নামিয়ে হাসপাতালে নেয়া হলে নাহিদ ও সাগরকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।

শুক্রবার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাত ১২টার দিকে ছুরিকাঘাতে নিহত সাগরের মা হনুফা খাতুন বাদী হয়ে ময়মনসিংহ জিআরপি থানায় অজ্ঞাত ৮/১০ জনকে আসামি করে মামলা করেন। পরে এ ঘটনায় শিমুল মিয়া (২২) নামে একজনকে গ্রেফতার করে আদালতে নেয়া হয়। আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর তার রিমান্ড শুনানির দিন ধার্য করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে
Small Banner