1. প্রচ্ছদ
  2. জাতীয়
  3. সারাবাংলা
  4. রাজনীতি
  5. রাজধানী
  6. আন্তর্জাতিক
  7. আদালত
  8. খেলা
  9. বিনোদন
  10. লাইফস্টাইল
  11. শিক্ষা
  12. স্বাস্থ্য
  13. তথ্য-প্রযুক্তি
  14. চাকরির খবর
  15. ভাবনা ও বিশ্লেষণ
  16. সাহিত্য
  17. মিডিয়া
  18. বিশেষ প্রতিবেদন
  19. ফটো গ্যালারি
  20. ভিডিও গ্যালারি

মরণব্যাধি ক্যান্সার থেকে বাঁচতে চায় আরিফ

মোহাম্মদ শাহ্ আলম,  হবিগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি প্রকাশিত: জানুয়ারি ২১, ২০২১, ১১:১৮ এএম মরণব্যাধি ক্যান্সার থেকে বাঁচতে চায় আরিফ
ছবি: আগামী নিউজ

 

হবিগঞ্জঃ আরিফ বয়স মাত্র ১৮। যৌবনে পা দেয়ার আগেই তার শরীরে

বাসা বেঁধেছে মরণঘাতী লান্স ক্যান্সার। হবিগঞ্জ সদর উপজেলার পইল ইউনিয়নের

বারা পইত গ্রামের কনা মিয়ার ছেলে আরিফের বয়স যখন মাত্র ১৫ বছর তখন থেকেই

তার ফুসফুসে সমস্যা দেখা দেয়। প্রথম অবস্থায় তাকে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে

ভর্তি করা হলেও উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজনে নিয়ে যাওয়া হয় সিলেট এমএজি

ওসমানি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষার পর ধরা

পড়ে তার লান্স ক্যান্সার। জীবন বাঁচানোর জন্য সেখানে করানো হয় অপারেশনও।

ইতোমধ্যেই অনেক টাকা খরচ হয়ে যায়। এরপর আরও উন্নত চিকিৎসার জন্য নিয়ে

যাওয়া হয় তাকে রাজধানীর ধানমন্ডি বেসরকারী ক্রিসেন্ট গ্যাস্ট্রোলিভার

এন্ড জেনারেল হাসপাতালে। সেখানে বেশ কিছুদিন চিকিৎসা নেয়ার পরও কোনো

উন্নতি না হওয়ায় পরবর্তীতে চিকিৎসকরা অপারেশনের পরামর্শ দেন। চিকিৎসকরা

জানান, আরিফের এই চিকিৎসাটি অত্যন্ত ব্যয়বহুল। কিন্তু দরিদ্র পিতা কনা

মিয়া নিজেও শয্যাশায়ী হওয়ায় সন্তানের চিকিৎসার জন্য এতো টাকা যোগাড় করা

অসাধ্য হয়ে পড়ে। এরপরও নিরূপায় হয়ে আদরের সন্তানকে বাঁচাতে ভিটেমাটি

বিক্রিসহ বিভিন্ন মাধ্যমে সাহায্য সহযোগিতা চেয়ে আরিফকে নিয়ে যান

রাজধানীর ধানমন্ডি বেসরকারী ক্রিসেন্ট গ্যাস্ট্রোলিভার এন্ড জেনারেল

হাসপাতালে। সেখানে বেশ কিছুদিন চিকিৎসা দেয়া হয়। পরে সুদের উপর ২ লক্ষ

টাকা এনে অপারেশন করানো হয়। বর্তমানে তার দেহে ৬ মাসে ছয়টা থেরাপি দিতে

হবে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। এতে ব্যয় হবে আরও দুই লক্ষ টাকা। কিন্তু

এরপরও আরিফ সুস্থ না হওয়ায় দরিদ্রতায় পড়েন ওই পরিবার। এক পর্যায়ে তার

পক্ষে এই ব্যয়বহুল চিকিৎসার অর্থের যোগান দেয়া সম্ভব না হওয়ায় তিনি এক

প্রকার আশা ছেড়েই দিয়েছেন।

 

আরিফের বড় বোন জরিনা বেগম জানান, রাজধানীর ধানমন্ডি বেসরকারী ক্রিসেন্ট

গ্যাস্ট্রোলিভার এন্ড জেনারেল হাসপাতালে অপারেশন সুদি ও ধার করে ২ লক্ষ

টাকা ব্যয়ে চিকিৎসা করিয়েছি। বর্তমানে আমার বাবাও মৃত্যুপথযাত্রী। কার

চিকিৎসা করব? বাবা না ভাইয়ের। যদি সমাজের কোন হৃদয়বান ব্যক্তি আমাদের

পাশে দাড়ায় বেঁচে যেতে পারে আমার বাব ও ভাইয়ের প্রাণ।

 

রাজধানীর ধানমন্ডি বেসরকারী ক্রিসেন্ট গ্যাস্ট্রোলিভার এন্ড জেনারেল

হাসপাতালের ডাক্তার মোঃ আব্দুল কাফি জানান, আরিফ এখন যে পর্যায়ে রয়েছে তা

থেকে ভালো হওয়া সম্ভব। ৬ মাসে প্রতিমাসে একটা করে থেরাপি দিতে হবে। এতে

লাগবে মোট দুই লক্ষ টাকা। এব্যাপারে বারা পইত গ্রামে যুবক মোঃ আল আমীন জানান, দুই বেলা দুমুঠো পেট ভরেই খেতে পারেন না। এত টাকা আরিফের পরিবারের পক্ষে

কোনোভাবেই ম্যানেজ করা সম্ভব নয়। সমাজের বিত্তবানরা যদি সহযোগিতায় এগিয়ে

আসেন তবে ক্যান্সার আক্রান্ত তোহাকে বাঁচানো সম্ভব। এ জন্য তিনি

বিত্তবানকে সহযোগিতা কামনা করেছেন।

আগামীনিউজ/সোহেল 
 

 

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে
Small Banner