ঢাকাঃ বিদেশি এনজিওর বড় কর্মকর্তা। চলাফেরা বিমানে। চষে বেড়ান দেশের বিভিন্ন জেলা। বিভিন্ন সময় প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার ও দরিদ্রদের সহায়তার নামে দেখান নানা প্রজেক্ট। পরবর্তীতে হাতিয়ে নেন কোটি কোটি টাকা। এসবই তার প্রতারণার কৌশল। গ্রেফতারের পর পুলিশ বলছে, প্রতারণাই শরীয়তপুরের রুবেলের পেশা।
গেল বছরের ডিসেম্বরে এবং চলতি বছরের জানুয়ারিতে কয়েকদফা রুবেল হোসেন তার সহযোগীদের নিয়ে কুষ্টিয়া জেলার খোকসা থানার বেতবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিদর্শনে যান বিমানে চড়ে। উদ্দেশ্য জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার ও দরিদ্র মানুষের তালিকা প্রস্তুত এবং তাদের আবাসনসহ অন্যান্য সহায়তা দিতে।
বিভিন্ন সেবামূলক অনুদানের ব্যবস্থার কথা বলে প্রায় ১৮ কোটি টাকার একটি প্রজেক্টের প্রলোভন দেখান স্থানীয়দের। নিজেকে কানাডিয়ান একটি এনজিওর বড় কর্মকর্তা হিসেবে দাবি করেন তিনি।
এ সংক্রান্ত প্রজেক্ট পার্টনার, স্কুলে শিক্ষক নিয়োগসহ নানারকম প্রলোভন দেখিয়ে এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের ভুয়া ফান্ডের টাকা ছাড় ও অন্যান্য খরচ বাবদ নগদ কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে নেন রুবেল। পরে চলে যান আত্মগোপনে।
ক্ষতিগ্রস্তরা জানান, তিনি প্রলোভন দেখিয়ে মানুষদের কাছ থেকে কোটি কোটি হাতিয়ে নিয়েছেন।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগের পর পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিট তাকে গ্রেফতার করে। পুলিশ বলছে, কুষ্টিয়া, মাগুরাসহ বেশকটি জেলার মানুষের সাথে প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইমের উপ-কমিশনার মাহফুজুল ইসলাম বলেন, প্রতারণার কাজে হেলিকপ্টার ব্যবহার করেন। মানুষের মনে আস্থা সৃষ্টি করার জন্য যে জিনিসগুলো প্রয়োজন; সে বিষয়গুলো এমনভাবে আত্মস্থ করেছেন যেন সহজেই আমাদের দেশের সহজ-সরল মানুষ তার ফাঁদে পা দিতে পারেন। সে কুষ্টিয়া, টাঙ্গাইল, খাগড়াছড়ি, মাগুরা বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে প্রতারণা করতেন।
রুবেলকে রিমান্ডে এনে আরো তথ্য পাওয়া যাবে বলে জানায় পুলিশ।
আগামীনিউজ/এএস