1. প্রচ্ছদ
  2. জাতীয়
  3. সারাবাংলা
  4. রাজনীতি
  5. রাজধানী
  6. আন্তর্জাতিক
  7. আদালত
  8. খেলা
  9. বিনোদন
  10. লাইফস্টাইল
  11. শিক্ষা
  12. স্বাস্থ্য
  13. তথ্য-প্রযুক্তি
  14. চাকরির খবর
  15. ভাবনা ও বিশ্লেষণ
  16. সাহিত্য
  17. মিডিয়া
  18. বিশেষ প্রতিবেদন
  19. ফটো গ্যালারি
  20. ভিডিও গ্যালারি

তিস্তার পানি বিপৎসীমার ২০ সেন্টিমিটার ওপরে, আতঙ্কে নদীপাড়ের মানুষ

জেলা প্রতিনিধি, নীলফামারী প্রকাশিত: আগস্ট ১৪, ২০২৩, ১০:২০ এএম তিস্তার পানি বিপৎসীমার ২০ সেন্টিমিটার ওপরে, আতঙ্কে নদীপাড়ের মানুষ

নীলফামারীঃ নীলফামারীতে উজানের ঢলে আর ভারী বর্ষণে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার ২০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে রংপুর, নীলফামারী ও লালমনিরহাটের তিস্তা তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলের অনেক বসতবাড়িতে পানি উঠেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বন্যা ও ভাঙন আতঙ্কে দিন পার করছেন নদীপাড়ের বাসিন্দারা।

সোমবার (১৪ আগস্ট ) ভোর ৬টায় দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজের পয়েন্টে তিস্তার পানিপ্রবাহ রেকর্ড করা হয়েছে ৫২ দশমিক ৩৫ সেন্টিমিটার, যা বিপৎসীমার ২০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে (স্বাভাবিক ৫২ দশমিক ১৫ সেন্টিমিটার)।

এর আগে গতকাল রোববার বিকেল থেকে তিস্তার পানি বৃদ্ধি শুরু হয়। সন্ধ্যা ৬টায় পানি প্রবাহ বিপৎসীমার ৭ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়েছিল।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রংপুর গংগাচড়া উপজেলার লক্ষ্মীটারী, নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার কালিগঞ্জ, ঝাড়সিংহেশ্বর, খগারচর, জুয়ার চর, বাংলাপাড়া, উত্তর খড়িবাড়ী, বাইশপুকুর ও জলঢাকা উপজেলার ফরেস্টের চর, ভাবনচুর, ডাউয়াবাড়ী, লালমনিরহাটের পাটগ্রামের দহগ্রাম, হাতীবান্ধার গড্ডিমারী, দোয়ানী, ফকিরপাড়া, সানিয়াজান ইউনিয়নের নিজ শেখ সুন্দর, বাঘের চর, সিঙ্গামারি ইউনিয়নের ধুবনী, সিন্দুর্না, পাটিকাপাড়া, ডাউয়াবাড়ি, কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী, শৈইলমারী, নোহালী, চর বৈরাতি, আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা, পলাশী ও সদর উপজেলার ফলিমারীর চর খুনিয়াগাছ, রাজপুর এবং গোকুণ্ডা ইউনিয়নের তিস্তা নদীর তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলে পানি প্রবেশ করতে শুরু করেছে।  

ডিমলা উপজেলার ছোটখাতা গ্রামের আফজাল হোসেন বলেন, নদীর পানি বৃদ্ধি ফলে বাড়ি ঘরে পানি প্রবেশ করেছে। গরু- ছাগল, হাঁস-মুরগী ও ছোট বাচ্চাদের নিয়ে বিপদে আছি।

খালিশ চাপানী ইউনিয়নের মুন্সিপাড়া গ্রামের শফিকুল ইসলাম বলেন, নদীর পানি বেড়েছে অনেক। ঘরে পানি ঢুকে থাকার মতো অবস্থা নাই। রাতে ঘুমাতে পারিনি।

একই এলাকার সামছুল হক বলেন, আমাদের রাস্তাঘাট তলিয়ে গেছে, আমন বীজতলা ও ধান ক্ষেত পানিতে ডুবে আছে।

ডিমলা উপজেলার খালিশা চাপানি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শহীদুজ্জামান সরকার বলেন, চরাঞ্চলের মানুষকে নিরাপদে সরে যেতে বলেছি। রাতে পানি বেড়ে ভয়াবহ বন্যার সৃষ্টি হয়েছে। পানিবন্দীদের নিরাপদ আশ্রয়ে নিতে কাজ করছি আমরা। 

ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আসফা-উদ-দৌলা  বলেন, উজানের ঢলে নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। আজ সোমবার সকাল ৬টায় ব্যারাজ পয়েন্টে বিপৎসীমার ২০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। এর ফলে তিস্তার অববাহিকায় চরগুলোতে পানি প্রবেশ করেছে। 

ডিমলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বেলায়েত হোসেন  বলেন, আমরা পানি বৃদ্ধির বিষয়টি নিয়ে পাউবো কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছি। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানদের মাধ্যমে পানিবন্দী মানুষের সংখ্যা নিরূপণের কাজ চলছে। তালিকাটি হাতে পেলে জানা যাবে কী পরিমাণ মানুষ পানিবন্দী রয়েছে। আর এ মানুষদের পাশে দাঁড়াতে জেলা প্রশাসনের নির্দেশে উপজেলা প্রশাসন পর্যাপ্ত ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে প্রস্তুত রয়েছে।

বুইউ

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে
Small Banner