1. প্রচ্ছদ
  2. জাতীয়
  3. সারাবাংলা
  4. রাজনীতি
  5. রাজধানী
  6. আন্তর্জাতিক
  7. আদালত
  8. খেলা
  9. বিনোদন
  10. লাইফস্টাইল
  11. শিক্ষা
  12. স্বাস্থ্য
  13. তথ্য-প্রযুক্তি
  14. চাকরির খবর
  15. ভাবনা ও বিশ্লেষণ
  16. সাহিত্য
  17. মিডিয়া
  18. বিশেষ প্রতিবেদন
  19. ফটো গ্যালারি
  20. ভিডিও গ্যালারি

তিস্তার পানি বিপৎসীমার ১৯ সেন্টিমিটার ওপরে

জেলা প্রতিনিধি, লালমনিরহাট প্রকাশিত: জুলাই ১৩, ২০২৩, ১১:১৬ এএম তিস্তার পানি বিপৎসীমার ১৯ সেন্টিমিটার ওপরে

লালমনিরহাটঃ পাহাড়ি ঢল ও ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে বিপৎসীমার ১৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। নিয়ন্ত্রণে ব্যারাজের ৪৪টি গেট খুলে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) সকাল ৯টায় দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারেজের ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫২ দশমিক ৩৪ সেন্টিমিটার। যা স্বাভাবিক ৫২ দশমিক ১৫ সেন্টিমিটার বিপৎসীমার ১৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। 

এর আগে শনিবার (৮ জুলাই) তিস্তার পানি বিপৎসীমার ১৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়।

স্থানীয়রা জানান, উজানের পাহাড়ি ঢল ও ভারী বৃষ্টিতে তিস্তা নদীর পানি প্রবাহ বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে লালমনিরহাটের ৫টি উপজেলার তিস্তা অববাহিকার চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চলগুলো প্লাবিত হয়ে প্রায় ৫/৭ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। বন্যার পানি নেমে যেতে না যেতেই ফের বন্যার আশঙ্কায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন তিস্তার চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চলের মানুষ।

তিস্তার পানি প্রবাহ বৃদ্ধি পাওয়ায় জেলার পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম, হাতীবান্ধার সানিয়াজান, গড্ডিমারী, সিন্দুর্না, পাটিকাপাড়া, সিংগিমারী, কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী, কাকিনা, আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা, সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ, রাজপুর ও গোকুন্ডা ইউনিয়নের তিস্তা নদীর চরাঞ্চল প্লাবিত হয়ে পড়েছে। ফের পানিবন্দি হতে শুরু করেছে এসব এলাকার নিম্নাঞ্চলে বসবাসকারী পরিবারগুলো। এসব অঞ্চলে বিগত বন্যায় শুরু হওয়া ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম চলছে বলে দাবি করেছে জেলা প্রশাসন।

গড্ডিমারী ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য জাকির হোসেন বলেন, রাত থেকে তিস্তার পানি হু-হু করে বৃদ্ধিতে তিস্তা পারে মানুষের ঘরবাড়িতে পানি প্রবেশ করেছে। ফলে চলাচলে খুবই কষ্টকর হয়ে পড়ছে।

হাতীবান্ধার সিন্দুর্না ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আরিফুল ইসলাম আরিফ বলেন, এ ইউনিয়নের চারটি ওয়ার্ডে তিস্তা নদীর তীরে অবস্থিত। প্রথম দফায় বন্যার পর দ্বিতীয়বার আবারও তিস্তা চরের ঘরবাড়িতে গতরাত থেকে পানি প্রবেশ করছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছে তিস্তা চরের মানুষ।

লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সুনীল কুমার বলেন, তিস্তার পানি বিপৎসীমার ১৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এতে লালমনিরহাটের পাঁচ উপজেলার তিস্তা চরে বাসিন্দাদের সতর্ক করা হয়েছে।

ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আসফাউদ্দৌলা জানান, তিস্তার পানি প্রবাহ সকাল থেকে ১৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে জেলার নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চলে বন্যার সৃষ্টি হয়েছে। ব্যারেজ রক্ষার্থে সবগুলো জলকপাট খুলে দিয়ে পানি প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে।

বুইউ

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে
Small Banner