1. প্রচ্ছদ
  2. জাতীয়
  3. সারাবাংলা
  4. রাজনীতি
  5. রাজধানী
  6. আন্তর্জাতিক
  7. আদালত
  8. খেলা
  9. বিনোদন
  10. লাইফস্টাইল
  11. শিক্ষা
  12. স্বাস্থ্য
  13. তথ্য-প্রযুক্তি
  14. চাকরির খবর
  15. ভাবনা ও বিশ্লেষণ
  16. সাহিত্য
  17. মিডিয়া
  18. বিশেষ প্রতিবেদন
  19. ফটো গ্যালারি
  20. ভিডিও গ্যালারি

বেতাগীতে ১০ গ্রামে ঈদুল আজহা উদযাপন

উপজেলা প্রতিনিধি, বেতাগী (বরগুনা) প্রকাশিত: জুন ২৮, ২০২৩, ০১:২৬ পিএম বেতাগীতে ১০ গ্রামে ঈদুল আজহা উদযাপন

বরগুনাঃ সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে এক দিন আগেই বরগুনার বেতাগী উপজেলার ১০টি গ্রামে পবিত্র ঈদুল আজহা পালিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৯ জুন) সকাল ৮টায় উপজেলার কাজিরাবাদ ইউনিয়নের বকুলতলী গ্রামে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়। জামাতে ইমামতি করেন হাফেজ মো. রমজান আলী। 

ইমাম মো. রমজান আলী বলেন, প্রতি বছ‌রের মতো এবারও আমরা সৌ‌দি আর‌বের সা‌থে মিল রে‌খে ঈদুল আজহা পালন করছি। আমরা ঈদুল ফিতরও পালন করে ছিলাম ১‌দিন আ‌গে। এবারেও কাজিরাবাদের বকুলতলীতে আমি ঈদের নামাজ পড়িয়েছি। নামাজে শতাধিক মুসল্লি অংশগ্রহণ করেন। 

স্থানীয়ভাবে জানা যায়, প্রায় শতবর্ষ আগে থেকে সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে মিল রেখে উপজেলার সদর ইউনিয়নের খন্তাকটা, লক্ষীপুরা, গ্রেদ লক্ষীপুরা, কাজিরাবাদ ইউনিয়নের কাজিরাবাদ, বকুলতলী, বুড়ামজুমদারের কাজির হাঁট ও হোসনাবাদ ইউনিয়নের আনোর জলিশা, সরিষামুড়ি ইউনিয়নের উত্তর কালিকাবাড়ি, ভোড়া এলাকার একটি অংশের প্রায় ১০ গ্রামের চিশতিয়া কাদেরীয়া সম্প্রদায়ের কয়েক হাজার অনুসারীরা অগ্রিম রোজা ও অগ্রিম ঈদ এবং এবারে ঈদুল আজহা পালন করেছেন। প্রথম দিকে মুসল্লির সংখ্যা কম থাকলেও প্রতিবছরই এ সংখ্যা বাড়ছে বলে জানা গেছে।

কাজিরাবাদ ইউনিয়নের বকুলতলী গ্রামের বাসিন্দা মো. গোলাম সরোয়ার বলেন, প্রায় ১০০ বছর ধরে তাঁরা সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে এক দিন আগে রোজা, ঈদ ও এবারে ঈদুল আজহা উদ্যাপন করেছি। বাংলাদেশের সাতকানিয়া থানার মির্জাখিল দরবার শরিফের নির্দেশে এইভাবে রোজা, ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা পালন করে আসছি। 

সদর ইউনিনের খোন্তাকাটা গ্রামের বাসিন্দা আলী আহম্মদ আকন বলেন, ‘ছোটবেলা থেকেই বাবা-মায়ের সঙ্গে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে রোজা, ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা পালন করে আসছি। তাই এখনো সেই নিয়মই পালন করছি।’ 

বেতাগী উপজেলা পরিষদ মসজিদের খতিব ও ইমাম প্রভাষক আব্দুল হাই নেছারি বলেন, ‘এখানে কিছু মানুষ সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে রোজা, ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা পালন করে আসছেন। এটি তাদের দীর্ঘদিনের রীতি। তবে এটা শরিয়তসম্মত নয়। কারণ, সৌদি আরবের সঙ্গে বাংলাদেশের সময় ব্যবধান ৩ ঘণ্টা। যদি সৌদির সঙ্গে মিল রেখে রোজা এবং ঈদের নামাজ আদায় করতে হয় তাহলে তারা কেন অন্যান্য ধর্মীয় অনুষ্ঠান সৌদির সঙ্গে মিল রেখে করেন না কেন।’ 

বেতাগী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফারুক আহম্মদ বলেন, আমি এখানে সদ্য যোগদান করেছি। নতুন এসে যতটুকু জেনেছি এ উপজেলের কয়েকটি গ্রামের মানুষ সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে প্রতিবছরই অগ্রিম রোজা, ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা পালন করে আসছেন। দীর্ঘদিন ধরে এভাবেই তারা রোজা ও দুই ঈদ পালন করছেন।

বেতাগী থানার অফিসার ইনচার্জ  মো: আনোয়ার হোসেন বলেন, সৌদির সঙ্গে মিল রেখে এ উপজেলার কয়েকটি গ্রামে ঈদুল আজহা পালন ও মসজিদে ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। নামাজ আদায়কে কেন্দ্র করে সেখানে যাতে কোনো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না হয়, সেজন্য পুলিশ সতর্ক রয়েছে।

সাইদুল ইসলাম মন্টু/বুইউ

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে
Small Banner