1. প্রচ্ছদ
  2. জাতীয়
  3. সারাবাংলা
  4. রাজনীতি
  5. রাজধানী
  6. আন্তর্জাতিক
  7. আদালত
  8. খেলা
  9. বিনোদন
  10. লাইফস্টাইল
  11. শিক্ষা
  12. স্বাস্থ্য
  13. তথ্য-প্রযুক্তি
  14. চাকরির খবর
  15. ভাবনা ও বিশ্লেষণ
  16. সাহিত্য
  17. মিডিয়া
  18. বিশেষ প্রতিবেদন
  19. ফটো গ্যালারি
  20. ভিডিও গ্যালারি

এ কেমন শত্রুতা!

জেলা প্রতিনিধি, পাবনা প্রকাশিত: অক্টোবর ২০, ২০২২, ০৭:১৩ পিএম এ কেমন শত্রুতা!

পাবনাঃ পাবনার সুজানগর উপজেলার সাতবাড়িয়ায় পুকুরে বিষ ও গ্যাস ট্যাবলেট দিয়ে মাছ নিধন করা হয়েছে। নিধনকৃত মাছের বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় ১৫ লাখ টাকা। অভিযোগ উঠেছে- পুকুরে মাছ চাষ ও জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে এই কাজ ঘটানো হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) দুপুরে থানায় দায়েরকৃত অভিযোগে এতথ্য জানা যায়। এর আগের বুধবার (১৯ অক্টোবর) ভোরে সাতবাড়িয়া ইউনিয়নের মোমরাজপুর এলাকার দিপংকর হালদারের পুকুরে এঘটনা ঘটে।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, প্রতিবেশি সাবেক মেম্বার রঘুনাথ হালদারের সঙ্গে দপংকরের বাবা দিলিপ হালদারের সঙ্গে জমি ও পুকুরে মাছ চাষসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে শত্রুতা ছিল। এই শত্রুতার জেরে বুধবার (১৯ অক্টোবর) ভোরে পুকুরে দিপংকরের বাড়ি সংলগ্ন পুকুরে পূর্ব শত্রুতার জেরে বিষ ও গ্যাস ট্যাবলেট ঢেলে দেয়া হয়। এতে পুকুরের মাছগুলো মরে ভেসে উঠে। পুকুরে পাঙ্গাস, রুই, কাতল, তেলাপিয়া, বাটাসহ বিভিন্ন জাতের ২ শতাধিক মণ মাছ ছিল। সব মাছই মারা যায়।

দিপংকরের বাবা দিলিপ হালদার অভিযোগ করে বলেন, রঘুনাথ হালদার ওই পুকুর আগে চাষ করতো। কয়েক বছর ধরে আমরা চাষ করি। এই নিয়ে বিরোধ ছিল। ওই পুকুরের একাংশ জমি আমরা কিনে নিয়েছি, আরেক অংশ ইজারা নিয়েছি। ওই পুকুরের জমি কেনা নিয়ে রঘুনাথের সঙ্গে আমাদের ঝামেলা হয়। কয়েকদিন আগেই রঘুনাথ আমাদের হুমকি দেয় যে- ‘ওই পুকুরে কি করে আমরা মাছ চাষ করি’। এই কথা বলার দুইদিন পরেই এঘটনা ঘটল।

এবিষয়ে দিপংকর হালদার বলেন, ‘আমি চারটা পুকুরে মাছ চাষ করি। বন্যার সময় হওয়ায় নদী সংলগ্ন তিনটি পুকুর থেকে মাছ তুলে বাড়ির কাছে এই পুকুরে রেখেছিলাম। আশা করেছিলাম- মাছগুলো এখন বিক্রি করে ঋণ শোধ করবো। আমার প্রায় ১০ লাখ টাকা ঋণ আছে। এখন আমি পথে বসে গেলাম। কোনও বিবেকবান মানুষ এই ধরনের কাজ করতে পারে না?

তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন রঘুনাথ হালদার। তিনি বলেন, ‘ওরা কি অভিযোগ করেছে আমি জানি না। কিন্তু আমার কথা অন্যায় যে করেছে সে সাজা পাবে, আইন তার বিচার করবে। আমি এসব করি নাই। ওরা যা করতেছে তাই’ই করুক, আমার কোনও অভিযোগ নাই।’

এ বিষয়ে সুজানগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল হান্নান বলেন, ‘অভিযোগ পেয়েছি। আমরা বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করছি। তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে সকল আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

এসএস

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে
Small Banner