বান্দরবানঃ বান্দরবান বনবিভাগের আওতাধীন বিভিন্ন রেন্জে অবৈধ কাঠ পাচারের জন্য মজুদের অভিযোগ পাওয়া গেছে। আসন্ন ঈদ উপলক্ষে সরকারি ছুটিতে বন বিভাগের মাঠ পর্যায়ের বেশ কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারী ইতিমধ্যে কর্মস্থল ত্যাগ করেছেন। এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে অবৈধ কাঠ পাচারকারী চক্র সড়ক ও নদী পথে অনুমোদিত করাত মিল গুলো তে মজুদের জন্য জেলার বিভিন্ন স্থানে কাঠ মজুদ রাখার বিষয়টি সূত্রে নিশ্চিত করেছেন ।
সুত্র জানায়, করাত মিল স্থাপন আইনের ঘ এর উপ বিধি তে বলা আছে, অবৈধ কাঠ মজুদ করিলে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ কাঠ আটক সহ লাইসেন্স বাতিল সহ দু বৎসরের কারাদণ্ড দেওয়া যাবে।
একাধিক কাঠ ব্যবসায়ী মনে করছেন যে, যে কোন ভাবে স্থানীয় করাত মিল এ কাঠ মজুদ করলে কাঠ গুলো বৈধ হিসেবে গন্য হয়ে থাকে। কাঠ পাচারের একটি কাঠের চালা রুমা রেঞ্জের আওতাধীন নদী পথে অপেক্ষামান।
বিষয়টি নিশ্চিত করে রেঞ্জের কর্মকর্তার রেঞ্জার টি এম আলী নওয়াজ বলেন, জোত পারমিট ছাড়া কাঠ পাচারের সুযোগ নেই, তা ছাড়া বিজিবি চেক পোষ্টে কাঠ গুলো অবৈধ হয়ে থাকলে আটক হয়ে যাবে। অথচ রুমা রেঞ্জ এর একটু পরে একটি করাত মিল রয়েছে।
একাধিক সূত্র জানিয়েছে, করাত মিল গুলোতে বিভিন্ন বৈধ পারমিট থাকার সুযোগে অবৈধ কাঠ চিহ্নিত করতে বন বিভাগের বিশেষজ্ঞ প্রয়োজন।
এ বিষয়ে জানতে বান্দরবান বন বিভাগ বিভাগীয় কর্মকর্তা হক মাহবুব মোরশেদের একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
সদ্য বন বিভাগের বিরুদ্ধে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় রিট কারী আইনজীবী এ্যাডভোকেট উবাথোয়াই মার্মা বলেন, এক শ্রেনীর অসাধু কর্মকর্তাদের যোগসাজশে কাঠ পাচারের সুযোগ তৈরি হচ্ছে।এ কারনে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হতে চলেছে।
পরিবেশবাদী রিজোয়ানা হক বলেন, ঈদের ছুটির সুযোগে কোন ভাবে কাঠ পাচারের সুযোগ না পায় সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট বিভাগের দৃষ্টি জরুরি।
এসএস