1. প্রচ্ছদ
  2. জাতীয়
  3. সারাবাংলা
  4. রাজনীতি
  5. রাজধানী
  6. আন্তর্জাতিক
  7. আদালত
  8. খেলা
  9. বিনোদন
  10. লাইফস্টাইল
  11. শিক্ষা
  12. স্বাস্থ্য
  13. তথ্য-প্রযুক্তি
  14. চাকরির খবর
  15. ভাবনা ও বিশ্লেষণ
  16. সাহিত্য
  17. মিডিয়া
  18. বিশেষ প্রতিবেদন
  19. ফটো গ্যালারি
  20. ভিডিও গ্যালারি

বিয়ের ৩ মাস পর গলায় ফাঁস নিলেন রাবি শিক্ষার্থী

ক্যাম্পাস প্রতিবেদক প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২২, ১২:৩০ পিএম বিয়ের ৩ মাস পর গলায় ফাঁস নিলেন রাবি শিক্ষার্থী

ঢাকাঃ চিরকুট লিখে গলা ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন ছন্দা রায় নামের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) এক ছাত্রী।

সোমবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টায় ঢাকার মুগদা থানার মানিক নগর এলাকায় ভাড়া বাসা থেকে তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

ছন্দার বাড়ি ঠাকুরগাঁও জেলায়। তার স্বামী উত্তম কুমার রায়ের সঙ্গে ঢাকার মুগদায় ভাড়া বাসায় থাকতেন। রাবির অর্থনীতি বিভাগের ২০১৫-১৫ সেশনের ছাত্রী ছিলেন তিনি। দুসপ্তাহের মধ্যে তার স্নাতকোত্তরের ফল প্রকাশের কথা।

এ খবর নিশ্চিত করে ছন্দা রায়ের মেজো বোন দ্বীপা রায় জানান, তিন মাস আগে তার বোনের পছন্দের ছেলের সঙ্গে তারা তাকে বিয়ে দেন। তার স্বামী উত্তম কুমার রায় একটি ব্যাংকের কর্মকর্তা। চাকরি সূত্রে স্বামীর সঙ্গে ঢাকায় থাকত। গতকাল (সোমবার) বিকেলে নিজ রুমের ফ্যানের সাথে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে। পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

তিনি আরও জানান, তার বোন মৃত্যুর আগে একটি সুইসাইড নোট লিখে গেছেন। তাতে লেখা ছিল, ‘আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়।’ 

দ্বীপা রায় বলেন, ‘আমি তার হাতের লেখার সাথে মিলিয়ে দেখেছি এটা ওরই হাতের লেখা।’

এ বিষয়ে ছন্দা রায়ের স্বামী উত্তম কুমার রায় বলেন, ‘আমি অফিস থেকে দুপুরে ছন্দাকে বারবার ফোন দিচ্ছিলাম। কিন্তু সে রেসপন্স করেনি। বিকেলে এসে দেখি, দরজা ভেতর থেকে আটকানো। বারবার ডাকার পরও দরজা না খোলায় আমি বাসার কেয়ারটেকারকে নিয়ে দরজা ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করে দেখি ও (ছন্দা) সুইসাইড করেছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মুগদা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জামাল উদ্দিন মীর বলেন, সোমবার বিকেলে ছন্দা রায় নামের এক নারী আত্মহত্যা করেছে বলে খবর পাই। ঘটনাস্থলে গিয়ে তার মরদেহ উদ্ধার করে হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। মরদেহ উদ্ধারের সময় একটি সুইসাইড নোট পাওয়া গেছে। বিষয়টি তদন্ত চলছে।

ওসি আরও বলেন, একটি ইউডি মামলার এজাহার দিয়েছে তার পরিবার। আমরা মামলা নথিভুক্ত করেছি। মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ ঘটনার দুঃখ প্রকাশ করে বিভাগের অধ্যাপক মো. ফরিদ উদ্দীন খান বলেন, মৃত্যুর খবর শুনে আমরা বিভাগের শিক্ষক শিক্ষার্থীরা মেনে নিতে পারছি না। তিনমাস হলো বিয়ে হলো, এরমধ্যেই সে আত্মহত্যা করেছে। কী এমন হয়েছে, তার সাথে জানি না।’

‘আমরা আসল সুষ্ঠু তদন্ত করে বিচারের দাবিতে প্যারিস রোডে মানববন্ধন করবো বলে জানান তিনি।’

এমবুইউ

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে
Small Banner