1. প্রচ্ছদ
  2. জাতীয়
  3. সারাবাংলা
  4. রাজনীতি
  5. রাজধানী
  6. আন্তর্জাতিক
  7. আদালত
  8. খেলা
  9. বিনোদন
  10. লাইফস্টাইল
  11. শিক্ষা
  12. স্বাস্থ্য
  13. তথ্য-প্রযুক্তি
  14. চাকরির খবর
  15. ভাবনা ও বিশ্লেষণ
  16. সাহিত্য
  17. মিডিয়া
  18. বিশেষ প্রতিবেদন
  19. ফটো গ্যালারি
  20. ভিডিও গ্যালারি

কৃষি প্রকৌশলীদেরকে নিয়ে কাদা ছোড়াছুড়ি

বাকৃবি প্রতিনিধি প্রকাশিত: জানুয়ারি ১১, ২০২২, ০৪:১১ পিএম কৃষি প্রকৌশলীদেরকে নিয়ে কাদা ছোড়াছুড়ি
ছবিঃ আগামীনিউজ

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) সকল শিক্ষার্থীদের নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে (ফেসবুক) ইনফিনিটি নামে একটি গ্রুপ আছে। গত ৯ তারিখে  ভবিষ্যত কৃষি প্রকৌশলীদের ভাবনা নিয়ে একটি লিখা এগ্রিলাইফ২৪ ডটকমে প্রকাশিত হয়। প্রকাশিত লেখাটি ওই গ্রুপে শেয়ার করলে কৃষি প্রকৌশলীদেরকে নিয়ে শুরু হয় অন্য শিক্ষার্থীদের কাদা ছোড়াছুড়ি। কৃষি প্রকৌশলে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের করা হয় অপমান। কিন্তু এ বিষয়ে শিক্ষকদের কোনো মাথা ব্যথা নেই বলে জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

জানা যায়, ভবিষ্যত কৃষি প্রকৌশলীদের ভাবনা নিয়ে লেখায় কৃষি প্রকৌশলে অধ্যয়নরত ১ বর্ষের শিক্ষার্থীরা কৃষি প্রকৌশলীদের কর্মক্ষেত্রে সুযোগ, পড়াশোনার মান এবং নিজেদেরকে দেশের কৃষিতে সম্পৃক্তকরণসহ  বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দিক নিয়ে মতামত প্রকাশ করে। কিন্তু কৃষি প্রকৌশলীদের বিসিএসে টেকনিক্যাল ক্যাডার না থাকায়  শুরু হয় অন্য শিক্ষার্থীদের কটু কথা।

ইশপাক ইয়াসিরর নামে এক শিক্ষার্থী বলে, ও মা গো, কত সুযোগ কতো সুযোগ।

সিরাত আহমেদ নামে আরেকজন লিখেন, এভাবেই স্বপ্ন দেখতে দেখতে দোষ হয়ে যাবে।

মোঃ ওবায়দুল্লাহ চপল বলেন,  আহো ভাতিজা আহো!! এদেরকে কারা ভুলিয়ে বালিয়ে যে খেলতে নামাইসে?? আরো বলেন, এই যে বাঁশবাগান পুরান কথাই, হুদাই ঢোল পিটাই লাভ কি?
 
শিরাত আহমেদ বলেন, এভাবেই স্বপ্ন দেখতে দেখতে দোষ হয়ে যায়।

অন্য শিক্ষার্থীদের কটু কথার জবাবে কৃষি প্রকৌশলে অধ্যয়নরত শিহাব সাকিব ইশহান নামে শিক্ষার্থী বলেন, কমেন্ট সেকশন দেখে মনে হল প্রকৌশল পড়ার স্বপ্ন দেখাটাই একরকমের অন্যায় (বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে আসলেই অন্যায়)। কিন্তু অন্যায়টা আসলে কাদের? এইটা  সবাই জানে যে, যেকোন প্রকৌশল বিদ্যা পৃথিবীর অন্যতম কঠিন বিষয় কিন্তু তবুও মানুষ কেন ছুটে এর পেছনে? স্বপ্ন থেকেই ছুটে। বাংলাদেশে থাকতে হলে অনেক প্রাপ্য জিনিস স্যাক্রিফাইস করতে হয়। একটা গোষ্টী প্রধান্য পায় আরেকটা পায় না। এইটাই স্বাভাবিক। সাক্ষাৎকার দেয়া ছেলেমেয়েগুলার চিন্তাভাবনার পরিপক্কতা নিয়ে খোঁচা দেয়া অনেক সহজ কিন্তু একই খোঁচা কি এ যাবৎকাল পর্যন্ত দেশের সমস্ত কৃষিমন্ত্রীদের বা হর্তাকর্তাদের বলতে পারবেন?? বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে কি বলতে পারবেন?? কেন তারা চাকরির ক্ষেত্রে তৈরি না করে প্রতি বছর ১০০শতের বেশি শিক্ষার্থী ভর্তি করে?? একজন শিক্ষক (প্র্রকৌশলী) আমাদের সাথে চাায়ের আড্ডায় বলেছিলেন য়ে দোষ ছাত্রছাত্রীদের না আমাদের শিক্ষকদের মাঝেই।

ফাহিম শাহরিয়ার নামের একজন লিখেছেন, আশ্চর্য রকমের সুপিরিয়র কম্প্লেক্সিটি সবার ভেতরে। মতামত প্রদানকারী ভাইদের মনোভাব দেখে মনে হচ্ছে কৃষি প্রকৌশলীরা বানের জলে ভেসে এসেছে। তারাই সুপিরিওর। কৃষি প্রকৌশলীরা চাকরি না  পেয়ে বেকার হইয়া াস্তায় ঘুরতেছে, ঠেলাগাড়ি ঠেলতেছে। ভালো উপদেশ দিতে পারলে ভালো না হলে চুপ থাকেন।

গত ১৩ ফেব্রুয়ারি কৃষিবিদ দিবসে  কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আবদুর রাজ্জাক বলেন, কৃষি যান্ত্রিকীকরণ ত্বরান্বিত করতে এরই মধ্যে কৃষি প্রকৌশলীর ২৮৪টি পদ সৃষ্টি করা হয়েছে । তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বর্তমান সরকার কৃষিকে আধুনিকীকরণ ও লাভজনক করতে সচেষ্ট রয়েছে। কৃষি যান্ত্রিকীকরণে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে নেয়া হয়েছে ৩ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প। পাশাপাশি দক্ষ জনবল তৈরিতে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অধীনে মাঠপর্যায়ে কৃষি প্রকৌশলী নিয়োগের কার্যক্রম চলছে। এরই মধ্যে ২৮৪টি কৃষি প্রকৌশলীর পদ সৃজন করা হয়েছে। কিন্তু এক বছরের বেশি সময় পার হলেও এ বিষয়ে কোনো অগ্রগতি লক্ষণীয় হয়নি।

২৮৪টি পদের বিষয়ে কৃষি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. মো. নজরুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ের কোনো অগ্রগতি আমার জানা নেই। এ বিষয়ে জানতে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরে যোগাযোগ করতে হবে। 

আগামীনিউজ/নাসির

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে
Small Banner