ঢাকাঃ টপ অর্ডার ও মিডল অর্ডারের ব্যর্থতায় ভালো পার্টনারশিপ না হওয়ায় শঙ্কা জেগেছিল দুইশ রানের মধ্যে গুটিয়ে যাওয়ার। তবে শেষদিকে যেন অন্য এক বাংলাদেশ দলকে দেখল সমর্থকরা। লিটন দাসের আগ্রাসী ফিফটির পর দুই টেলেন্ডার শরিফুল ইসলাম আর এবাদত হোসেনের ক্যামিওতে নিজেদের প্রথম ইনিংসে অলআউট হওয়ার আগে ২৩৪ রানের সংগ্রহ পেয়েছে বাংলাদেশ দল।
দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম ম্যাচ ৭ উইকেটে হারের পর সিরিজ বাঁচাতে চলমান দ্বিতীয় ম্যাচে জয় ছাড়া রাস্তা খোলা নেই সাকিব আল হাসানের দলের সামনে। সেই লক্ষ্যে টস হেরে একাদশে দুই পরিবর্তন নিয়ে খেলতে নেমে লিটন আর তামিম ইকবাল ছাড়া সুবিধা করতে পারেননি স্বীকৃত ব্যাটসম্যানরা। তবে অ্যান্টিগা টেস্টের প্রথম ইনিংস বিবেচনায় সেন্ট লুসিয়ার ড্যারেন স্যামি আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে লড়াইটা মন্দ করেনি তারা।
৬ উইকেট হারিয়ে স্কোর বোর্ডে ১৫৯ রান নিয়ে চা বিরতিতে যায় টাইগাররা। চা-বিরতির পরপরই মেহেদী হাসান মিরাজের উইকেটের মাধ্যমে শুরু হয় বাংলাদেশের তৃতীয় সেশন। কাইল মেয়ার্সের বলে গালিতে বদলি ফিল্ডার ডেভন থমাসের দুর্দান্ত ক্যাচে আউট হন মিরাজ। অষ্টম ব্যাটার হিসেবে যখন লিটন দাস আউট হন তখন দলীয় সংগ্রহ ১৯১ রান। আলজারি জোসেফের বলে ক্রেইগ ব্রাথওয়েটের হাতে ক্যাচ দেওয়ার আগে করেন ৭০ বল মোকাবিলায় ৫৩ রান। যা এই ইনিংসে বাংলাদেশিদের মধ্যে সর্বোচ্চ। এরপরই নবম উইকেটে অবিশ্বাস্যভাবে ৩৬ রানের জুটি গড়ে তোলেন এবাদত ও শরিফুল। এর মধ্যে এবাদত ২১ ও শরিফুল ২৬ রান করেন। শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন এবাদত। এতেই স্কোর গড়ায় ২৩৪ পর্যন্ত।
বাংলাদেশ যে আবারও ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে, তার শুরুটা হয় অল্প সময়ের ব্যবধানে নাজমুল হোসেন শান্ত ও এনামুল হক বিজয়ের বিদায়ের পর। মাত্র ৮ রান করে তাদের দেখানো পথ অনুসরণ করেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসানও। তখনই শঙ্কা জাগে। নুরুল হাসান সোহান ফিরে যান মাত্র ৭ রান করে। আলজারি জোসেফের বলে কটবিহাইন্ডের শিকারে পরিণত হন। এরপর মেহেদী হাসান মিরাজকে নিয়ে জুটি গড়ে তোলার চেষ্টা করেন লিটন। কিন্তু সেই জুটি ২৭ রানের বেশি টিকেনি। বোর্ডে ১৬৫ রানের সময় ব্যাক্তিগত ৯ রান করে কাইল মায়ার্সের শিকার হন মিরাজ।
এর আগে তামিম ইকবাল ৪৬, মাহমুদুল হাসান জয় ১০, নাজমুল হোসেন শান্ত ২৬ ও এনামুল হক বিজয় ২৩ রান করেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের সিলস ও আলজারি জোসেফ নেন ৩টি করে উইকেট, ২টি করে নিয়েছেন কাইল মেয়ার্স ও অ্যান্ডারসন ফিলিপ। এই রিপোর্ট লেখার সময় ব্যাটিং করছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তাদের স্কোর কোনো উইকেট না হারিয়ে ৬৭ রান। ব্রাথওয়েট ৩০ ও ক্যাম্পবেল ৩২ রানে অপরাজিত।
এমবুইউ