1. প্রচ্ছদ
  2. জাতীয়
  3. সারাবাংলা
  4. রাজনীতি
  5. রাজধানী
  6. আন্তর্জাতিক
  7. আদালত
  8. খেলা
  9. বিনোদন
  10. লাইফস্টাইল
  11. শিক্ষা
  12. স্বাস্থ্য
  13. তথ্য-প্রযুক্তি
  14. চাকরির খবর
  15. ভাবনা ও বিশ্লেষণ
  16. সাহিত্য
  17. মিডিয়া
  18. বিশেষ প্রতিবেদন
  19. ফটো গ্যালারি
  20. ভিডিও গ্যালারি

শৈশবের দুরুন্তমুখর দিনগুলি গ্রাস করছে মোবাইল ফোন

দেওয়ান পলাশ, দুপচাঁচিয়া ( বগুড়া) প্রতিনিধি প্রকাশিত: মে ২১, ২০২১, ০১:৫৩ পিএম শৈশবের দুরুন্তমুখর দিনগুলি গ্রাস করছে মোবাইল ফোন
ছবি : আগামী নিউজ

বগুড়াঃ বাংলাদেশের শতকরা আশিভাগ লোক গ্রামে বাস করে। পরে কর্মজীবনের তাগিদে গ্রাম ছেড়ে অনেকেই শহরবাসী হয়। কিন্তু গ্রামে বেড়ে ওঠা মানুষরা তার শৈশব স্মৃতি কে হৃদয়ে ধারন করে পরমযত্নে। শৈশবে সেই গ্রামীন খেলাধূলার মধ্য দিয়ে বেড়ে ওঠা  দুরুন্তপনার দিনগুলি একজন ব্যক্তিমানুষের জীবনস্মৃতির বড় অংশ হয়ে ওঠে। বয়স পেরিয়ে গেলে একদিন মানুষরা শৈশবের সেই দিনগুলো কে কাছে ফিরে পেতে মাঝে মাঝেই ম্মৃতি কাতর হয়ে ওঠে।

সময়ের পরিক্রমায় শিশু কিশোর বয়সের সেই শৈশব জীবনের চিরচেনা অধ্যায়ের পরিবর্তন হচ্ছে। শৈশব জীবনের দুরন্তপনার দিনগুলি গ্রাস করছে আন্ড্রয়েট মোবাইল ফোনের সস্তা বিনোদন আর ভিডিও গেম।

বগুড়া জেলার দুপচাঁচিয়া উপজেলায় শিশু- কিশোরদের শৈশব জীবনের উপরও একইভাবে প্রভাব বিস্তার করছে মোবাইল ফোন। তাদের শৈশব জীবন থেকে ধূলাবালি মাখা দুরুন্তপনার দিনগুলি হারিয়ে যাচ্ছে।

শুক্রবার ( ২১.০৫.২০২১) সকালে শিশু-কিশোরদের উপর মোবাইল ফোনের নেতিবাচক প্রভাব সম্পর্কে জানতে আদমদীঘি হাজী তাছের উদ্দিন মহিলা কলেজের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক শামছুজ্জামান সালামের সাথে কথা হয় আগামী নিউজের।

প্রভাষক শামছুজ্জামান  সালাম বলেন, সময় এখন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি নির্ভর। প্রযুক্তি মানুষের জীবনধারা কে পরিবর্তন করে দিয়েছে। ২০০০ সালের পর থেকে প্রযুক্তির প্রভাবে গতানুগতিক জীবনধারায় বড়বেশি প্রভাব পড়ে। প্রযুক্তির ইতিবাচক ও নেতিবাচক উভয় প্রকার প্রভাব কাজ করছে জীবনধারার উপর। তবে অপরিপক্ব বয়সের কারণে আন্ড্রয়েট মোবাইল ফোনের নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে শিশু কিশোরদের উপর।

প্রভাষক শামছুজ্জামান সালাম মোবাইল ফোনের নেতিবাচক প্রভাব ব্যাখা করতে গিয়ে বলেন, শিশু কিশোরদের উপর এই নেতিবাচক প্রভাব অত্যন্ত সুদূরপ্রসারী। শিশু কিশোররা মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে গিয়ে একাকিত্ব কে বেছে নিচ্ছে। এতে শিশু কিশোরদের সামাজিকিকরন মারাত্বকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। একাকিত্ব আর অসামাজিকভাবে বেড়ে ওঠা শিশু কিশোররা পরিনত হচ্ছে দ্বায়িত্ব ও কর্তব্যহীন ব্যক্তিমানুষে। এদের মধ্য যেমন থাকে না সামাজিক মূল্যবোধ, তেমনি সৃষ্টি হয় না দ্বায় বোধ।

মোবাইল ফোনের আসক্তি কেড়ে নিচ্ছে শিশু কিশোরদের গ্রামীন খেলাধূলার জীবন। শিশু কিশোররা খেলাধূলা করলে নিয়ম মেনে চলা শেখে, সেইসাথে শেখে অপর কে সুযোগদান করা। খেলাধূলাবিহীনভাবে বেড়ে ওঠা শিশু কিশোরদের জীবন থেকে হারিয়ে যাচ্ছে শৃংখলাবোধ। এসব শিশু কিশোররা ব্যক্তিজীবনে হয়ে ওঠে বেপরোয়া।

মোবাইল ফোনের আসক্তি শিশু কিশোররা হারিয়ে ফেলছে যোগাযোগ দক্ষতা। মোবাইল ফোন কে সঙ্গী ভেবে শিশু কিশোররা একে অপরের সাথে যোগাযোগ কমে দেয়। এতে করে ওইসব শিশু কিশোররা একদিন ব্যক্তিজীবনেও আপনজনদের সাথেও তেমন যোগাযোগ রাখেনা। এভাবেই মানুষরা হয়ে উঠছে স্বার্থপর, আত্মকেন্দ্রিক। 

এছাড়াও মোবাইল ফোনের নানাবিধ নেতিবাচক প্রভাব কাজ করে শিশু কিশোরদের উপর।

তিনি আরও বলেন, শিশু কিশোরদের হাতে মোবাইল ফোন  তুলে না দিয়ে তাদের সাথে অভিভাবকদের সময় কাটানো উচিত। সেইসাথে লেখাপড়ার পাশাপাশি গ্রামীন খেলাধূলার প্রতিও প্রলুব্ধ করতে হবে তাদের। তা না হলে সামাজিক ও রাষ্ট্রীয়জীবনেও পড়বে সুদূরপ্রসারী নেতিবাচক প্রভাব।

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে
Small Banner