1. প্রচ্ছদ
  2. জাতীয়
  3. সারাবাংলা
  4. রাজনীতি
  5. রাজধানী
  6. আন্তর্জাতিক
  7. আদালত
  8. খেলা
  9. বিনোদন
  10. লাইফস্টাইল
  11. শিক্ষা
  12. স্বাস্থ্য
  13. তথ্য-প্রযুক্তি
  14. চাকরির খবর
  15. ভাবনা ও বিশ্লেষণ
  16. সাহিত্য
  17. মিডিয়া
  18. বিশেষ প্রতিবেদন
  19. ফটো গ্যালারি
  20. ভিডিও গ্যালারি

বিপর্যয় ও সংকটে মুসলিম বিশ্ব

আয়শা আক্তার আশা প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২০, ০২:৫৪ পিএম বিপর্যয় ও সংকটে মুসলিম বিশ্ব
ফাইল ছবি

ঢাকাঃ মানবজীবন সম্পর্কে বহু প্রশ্নের ভুল ও বিকৃত ব্যাখ্যার কারণেই বর্তমান মানব সমাজ চরম দুঃখদুর্দশা, বিপথগামিতা ও দুর্ভোগের সম্মুখীন।

আল্লাহ তাআলা পারস্পরিক সুসম্পর্ক প্রতিষ্ঠা, সহযোগিতা ও ভালোবাসার পরিবেশ সৃষ্টির জন্যই মানুষকে দুনিয়ায় পাঠিয়েছেন। কিন্তু আজ আমরা বিশ্বজুড়ে যুদ্ধ, রক্তপাত, নিরাপত্তাহীনতা, আতঙ্ক ও বিপথগামিতা দেখতে পাচ্ছি এবং এটি একটি ভয়াবহ বিপর্যয়। দুঃখজনকভাবে অন্যান্য সমাজ ও জনগোষ্ঠীর মতো সারা বিশ্বের মুসলিম সমাজও কঠিন বিপর্যয় ও সংকটের সম্মুখীন।

প্রকৃতি জগতের পরিবর্তন ও বিবর্তনের উপর মানুষের কোন কর্তৃত্ব নেই।কিন্তু একটি জাতির ভাঙ্গা-গড়ার পিছনে রয়েছে মানবসৃষ্ট রহু কারণ। মুসলিম সম্প্রদায় তাদের নিজস্ব স্বকীয়তা হারিয়েছে ফেলে মহাবিপর্যয়ের সম্মুখীন। আর এটাই তাদের ধ্বংসের মূল কারণ। 

আজ সারা বিশ্বে মুসলমানরা সংখ্যার দিক থেকে দ্বিতীয় সর্বাধিক জনসংখ্যা। কমপক্ষে ২২টি দেশ আছে মুসলমানদের; যেখানে তাদের নিজস্ব ক্ষমতা ও রাজত্ব। তা ছাড়া অনেক দেশ এমন আছে; যেখানে প্রচুর সংখ্যক মুসলমানের বসবাস। সারা দুনিয়ার মুসলমানদের যদি গণনা করা যায় তবে তাদেরকে স্বল্পসংখ্যক বলা যাবে না। দুঃখজনকভাবে অন্যান্য সমাজ ও জনগোষ্ঠীর মতো সারা বিশ্বের মুসলিম সমাজও কঠিন বিপর্যয় ও সংকটের সম্মুখীন এবং বেশকিছু মুসলিম দেশ সৌদি সরকারের মতো অযোগ্য লোকদের হাতে রয়েছে।তারা নিজেদের রাজতন্ত্র টিকিয়ে রাখার জন্য হাত মিলিয়েছে পশ্চিমা শক্তির সাথে। দখলদার ইসরাইলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতা গড়ে তুলে সৌদি আরব মুসলিম উম্মাহকে আরো ক্ষতির মুখে ফেলে দিয়েছে।

নিজেদের ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে মুসলিম সম্প্রদায়কে হুমকির মুখে ফেলেছে মধ্য প্রাচ্যের বেশিরভাগ মুসলপ্রধান দেশগুলো। 

এক সময়ে জ্ঞান বিজ্ঞানে মুসলিম রাজ্য ছিল বিশ্বে শ্রেষ্ঠ আজ কোন মুসলিম দেশে কোন নামকরা বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা বিজ্ঞানী নেই। 

প্রাচীনকাল থেকেই মানুষ রোগ নিরাময়ের জন্য বিভিন্ন চিকিৎসা পদ্ধতি অবলম্বন করে আসছে। সভ্যতার পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসা পদ্ধতিতেও লক্ষ করা গেছে ব্যাপক পরিবর্তন। চিকিৎসা বিজ্ঞানের এই পরিবর্তনে মুসলমানদের অবদান নেহাতই কম নয় বরং ঢের বেশি। নবম শতাব্দীতে মুসলিম মনীষীরাই সভ্যতার প্রকৃত পতাকার বাহক ছিলেন। নবম থেকে একাদশ শতাব্দী পর্যন্ত ছিল মুসলিম মনীষীদের চিকিৎসাবিজ্ঞানের উৎকর্ষ সাধনের স্বর্ণযুগ। কিন্তু দুঃখজনকভাবে চতুর্দশ শতকে মুসলমানদের ক্ষমতা হারানোর পাশাপাশি চিকিৎসাবিজ্ঞানসহ সব কিছু থেকে আধিপত্য কমতে থাকে। চুরি হয়ে যায় অনেক থিওরি। ১৩০০ শতকে মুসলিম সভ্যতার কেন্দ্রগুলোতে চেঙ্গিস খানের মোঙ্গল সেনারা ৩০ বছর ধরে যে ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে, তাতে অসংখ্য গ্রন্থাগার ও পুস্তাকালয় বিনষ্ট হয়। আজ যদি মুসলমানদের আবিষ্কার, থিওরি ও লিখিত গ্রন্থাদি থাকত, তাহলে বিশ্ব পেত সভ্যতার চূড়ান্ত পাঠ ও আশাতীত কিছু উদ্ভাবন।

মুসলমান জাতির বিপর্যয়ের অন্যতম প্রধান কারণ চিন্তা ও রাজনীতির মতপার্থক্য। এর মধ্য থেকে বের হয়ে আসতে না পারলে মুসলিম সম্প্রদায় ধবংসলীয় পরিণত হয়ে দিনে দিনে অস্তিত্বহীন হয়ে পড়বে।

আগামীনিউজ/আশা

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে
Small Banner