1. প্রচ্ছদ
  2. জাতীয়
  3. সারাবাংলা
  4. রাজনীতি
  5. রাজধানী
  6. আন্তর্জাতিক
  7. আদালত
  8. খেলা
  9. বিনোদন
  10. লাইফস্টাইল
  11. শিক্ষা
  12. স্বাস্থ্য
  13. তথ্য-প্রযুক্তি
  14. চাকরির খবর
  15. ভাবনা ও বিশ্লেষণ
  16. সাহিত্য
  17. মিডিয়া
  18. বিশেষ প্রতিবেদন
  19. ফটো গ্যালারি
  20. ভিডিও গ্যালারি

করোনা: রাজধানীর হট স্পট মিরপুর ও বাসাবো

কামরুল হাসান শিশির প্রকাশিত: এপ্রিল ৬, ২০২০, ০২:৩৪ পিএম করোনা:  রাজধানীর হট স্পট মিরপুর ও বাসাবো

ঢাকা: চীনের উহান থেকে ছড়িয়ে পরা করোনাভাইরাস, কোভিড-১৯ বাংলাদেশে প্রবেশ করে গত মার্চ মাসের ৮ তারিখ। এরই মধ্যে বাংলাদেশে ৮৮ জন আক্রান্ত হয়েছে এবং মৃত্যু বরণ করেছে ৯ জন।

মরণঘাতী এ ভাইরাস বাংলাদেশে লোকাল ট্রান্সমিশন হচ্ছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর তবে এটা কি লোকাল ট্রান্সমিশন'ই আছে না কমিউনিটি ট্রান্সমিশন হচ্ছে সে ব্যাপারে এখনো সন্দিহান সংস্থাটি। তবে বিশেষজ্ঞদের মত অনেক আগেই এটা রুপ নিয়েছে কমিউনিটি ট্রান্সমিশনে। 

তবে আইইডিসিআর জানিয়েছে, দেশে এখন ক্লাস্টার (এলাকা) ভিত্তিক করোনা ছড়াচ্ছে। আইইডিসিআর পরিচালক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, আমরা এ পর্যন্ত যতোগুলো কেস পেয়েছি তার সবগুলোই ক্লাস্টার ভিত্তিক। 

তিনি আরো বলেন, রাজধানীতে মিরপুর, টোলারবাগ, বাসাবো এ তিনটি ক্লাস্টার ও ঢাকার বাইরে নারায়নগঞ্জ, মাদারীপুর ও গাইবান্ধা এ ছয়টি ক্লাস্টার আপাতত নির্ধারণ করা হয়েছে। এর বাইরে এখনো পর্যন্ত সেভাবে কমিউনিটি ট্রান্সমিশন নাই। 

এ ব্যাপারে, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি ইকবাল আর্সলান বলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এখনো কেনো কমিউনিটি ট্রান্সমিশন স্বীকার করছে না তা আমার মাথায় আসছে না। আমি তো মনে করি আমাদের দেশে  অনেক আগে থেকেই কমিউনিটি ট্রান্সমিশন হচ্ছে। আমরা তাই টেষ্টের সংখ্যা বাড়াচ্ছি। যাতে করে আমরা বাস্তব অবস্থা বুঝতে পারি।  

বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত যে ৮৮ জন রোগী শনাক্ত হয়েছে তার মধ্যে ৫২ জনই ঢাকার বাসিন্দা। এর মধ্যে রাজধানীর বাসাবো এলাকায় ৯জন এবং বৃহত্তর মিরপুরের ১১ জন। বাকিরা বিভিন্ন এলাকার একজন বা দু জন করে। সে হিসাবে বলাই যায় বাসাবো ও মিরপুর হলো বর্তমানে ঢাকার হটস্পট।

হটস্পট থেকে করোনা বাহিরের এলাকাগুলোতে ছড়ানো বন্ধ করতে কি কি পদক্ষেপ নিতে হবে? এমন প্রশ্নের জবাবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন বিভাগের সাবেক প্রধান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ব্যাক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক এ বি এম আব্দুলাহ বলেন, ঢাকার এ দুটি এলাকা থেকে যেহেতু তুলনামূলক বেশি রোগী পাওয়া গেছে তাই এ দুটি এলাকার লকডাউন জোড়ালো ভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে। এর মাধ্যমে সামাজিক দূরত্ব ও শারীরিক দূরত্ব ও নিশ্চত করতে হবে।

এ বি এম আব্দুল্লাহ আরো বলেন, জণগণ যাদি নিজে থেকে সচেতন না হয় তাহলে প্রশাসনকে জোড় প্রয়োগ করতে হবে। প্রয়োজনে এলাকা নির্ধারণ করে কারফিউ জারি করতে হবে। মূলকথা নিরাপদ দূরত্বের জন্য যা যা করা দরকার সবই করতে হবে জনগণের ভালোর জন্য।

তবে প্রশাসনের ভূমিকার থেকেও বেশি ভূমিকা রাখতে হবে আমাদের আমজনতাকে। নিজেদেরকে ঘরে আবদ্ধের মধ্য দিয়ে। এমনটাই মত বিশিষ্টজনের। 


আগামী নিউজ/কামরুল/ডলি/নাঈম


 

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে
Small Banner