1. প্রচ্ছদ
  2. জাতীয়
  3. সারাবাংলা
  4. রাজনীতি
  5. রাজধানী
  6. আন্তর্জাতিক
  7. আদালত
  8. খেলা
  9. বিনোদন
  10. লাইফস্টাইল
  11. শিক্ষা
  12. স্বাস্থ্য
  13. তথ্য-প্রযুক্তি
  14. চাকরির খবর
  15. ভাবনা ও বিশ্লেষণ
  16. সাহিত্য
  17. মিডিয়া
  18. বিশেষ প্রতিবেদন
  19. ফটো গ্যালারি
  20. ভিডিও গ্যালারি

মনমোহন দত্তের মরমী সঙ্গীতের প্রজ্ঞাময় ব্যাখ্যা-৯৮

সাঁঈজি সিরাজ সাঁঈ প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১০, ২০২১, ১১:৪৬ এএম মনমোহন দত্তের মরমী সঙ্গীতের প্রজ্ঞাময় ব্যাখ্যা-৯৮
মলয়া সংগীতের জনক, মরমী সাধক, কবি, বাউল ও সমাজ সংস্কারক মনমোহন দত্ত। ছবিঃ সংগৃহীত

সাধু সঙ্গে, প্রেম তরঙ্গে, প্রেম তীর্থে মোড়ায় মাথা।
গুরু কল্প তুরু জড়িয়ে ধরো, ওগো আমায় ভক্তি লতা।
বিশ্বাসের আকড়া দিয়ে, পাকড়াইয়া ধরো তাঁরে
কুবাতাসের ঝাকড়া পড়ে, ভাঙ্গে না যে লতার মাথা।
চৌদিকে দাও সত্য বেড়া, ফিরবে তাতে ছাগল ভেড়া
জল ঢাল তার ঘড়া ঘড়া, ফুটিয়ে ফুল মেলবে পাতা॥
ফুলের গন্ধে মন অলি মত্ত হলে শোনরে মালী
নয়ন ভরে তুমি খালি, সেই ফুলে দেখিও রাধা॥
রাধা পদ্ম ফুটবে পরে, বাজায় বাঁশি গুন গুন স্বরে
কালা ভ্রমর আসবেই উড়ে, কালো নয় সে উজ্জল সাদা॥
মানোমোহন কয় নিচের মাটি হয় না আমার পরিপাটি
মিছামিছি কান্দা কাটি, শুকনা মাটি হয় কি কাঁদা॥

প্রজ্ঞাময় ব্যাখ্যাঃ
মানুষ সঙ্গগুনে অনেক পরিবর্তন ঘটে। মনোমোহন সেই কারণে সাধু সঙ্গে চলাফেরা করতে উপদেশ দিয়েছেন। মানুষ যখন প্রেমময় অবস্থায় মাথা মোড়ায় অর্থাৎ, মাথার মধ্যে যেসব বস্তু চিন্তা থাকে তার ত্যাগ করে তখন তার মধ্যে গুরুর ভক্তি জাগ্রত হয়। গুরুর প্রতি গভীর ভক্তি সৃষ্টি হলে গুরুর কৃপায় তার কোন প্রকার অজ্ঞানতা থাকে না। আস্তে আস্তে গুরুর নির্দেশ মোতাবেক মনের মধ্যে যেসব অজ্ঞানতা থাকে তার চারদিকে প্রজ্ঞার বেড়ার সৃষ্টি হয়। মনের মধ্যে প্রজ্ঞার বেড়া সৃষ্টি হওয়ার কারণে মনের মধ্যে ছাগল ভেড়া অর্থাৎ, পশু প্রকৃতি বা বস্তু পশুর প্রভাব থেকে মুক্ত রাখা যায়। পাশাপাশি সাধনার শক্তির দ্বারা জল ঢালিলে আস্তে আস্তে নিজের অন্তরের মধ্যে ফুল ফুটবে। অর্থাৎ, প্রজ্ঞার শক্তির উদ্ভব ঘটে।

মানুষের অন্তরে যখন গুরুর নির্দেশ মোতাবেক সাধনা করা হয় তখন তার অন্তেরের মধ্যে যে বিশ্ব শক্তি থাকে তার উদয় হয় এবং নিজের অন্তরের মধ্যে নিজ শক্তির সাথে বিশ্ব শক্তির সংযোগ ঘটে। তখন তার অন্তরের মধ্যেই পরম শক্তির পরিচয় মিলবে। তখন আর বাইরে বাইরে মন ঘোরা ফেরা করবে না।

নিচের মাটিতে কোন সার থাকে না। সে কারণে হাজার চেষ্টা করলেও নিচের মাটি কোন অবস্থাতেই সারী বা পরিপাটি হয় না। তেমনি শুকনা মাটি কান্না কাটি করলেও কাঁদা মাটি হয় না। একই অবস্থায় মানুষের মন সব সময় বস্তু মোহে বিভোর থাকে। এই মনের মধ্যে সাধনার মাধ্যমে শক্তির সৃষ্টি হলে মনের মধ্যকার বস্তুর আকর্ষণ ধ্বংস প্রাপ্ত হয়। তখন পরিপাটি অবস্থায় অন্তরের মধ্যে ফুল ফুটে অর্থাৎ, প্রকৃত সত্যের উদ্ভব ঘটে।

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে
Small Banner