1. প্রচ্ছদ
  2. জাতীয়
  3. সারাবাংলা
  4. রাজনীতি
  5. রাজধানী
  6. আন্তর্জাতিক
  7. আদালত
  8. খেলা
  9. বিনোদন
  10. লাইফস্টাইল
  11. শিক্ষা
  12. স্বাস্থ্য
  13. তথ্য-প্রযুক্তি
  14. চাকরির খবর
  15. ভাবনা ও বিশ্লেষণ
  16. সাহিত্য
  17. মিডিয়া
  18. বিশেষ প্রতিবেদন
  19. ফটো গ্যালারি
  20. ভিডিও গ্যালারি

মনমোহন দত্তের মরমী সঙ্গীতের প্রজ্ঞাময় ব্যাখ্যা-৯৬

সাঁঈজি সিরাজ সাঁঈ প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৮, ২০২১, ১০:৪৭ এএম মনমোহন দত্তের মরমী সঙ্গীতের প্রজ্ঞাময় ব্যাখ্যা-৯৬
মলয়া সংগীতের জনক, মরমী সাধক, কবি, বাউল ও সমাজ সংস্কারক মনমোহন দত্ত। ছবিঃ সংগৃহীত

শোন তোরে কই মনোমোহন
তুই তিক্ত রসে লিপ্ত হলি, ভুলে সুধার আস্বাদন।
জন্মবধি করে এত, শিখলি না তুই শিখার মতো
মন হলি না মনের মতো, আর কতো ঘুরাবি মন॥
সামান্য ধন পাবার আশে, ঘুরলি কেবল হুঁশ-বেহুঁশে
নিধনকালে, সে ধন কি তোর, ধনের কাম দিবেরে কখন॥
সাধ করে পেতে বিছানা, পুষেছ এক বাঘের ছানা
সে যে রক্ত খেয়ে শক্ত হয়ে, নিল ত্যক্ত সিংহাসন।
ফচ্কা বাঁধের হেঁচ্কা টানে, মন আমার ঠেকেছ প্রাণে
বুঝলি না তুই দিন যে গোনে, দিন দুনিয়ার মহাজন।
মন তোমারই স্বভাব দোষে, আমি আমার মন মানুষে
পারলেম নারে রাখতে হুঁশে, করতে পুজা মনের মতন।
কই আমি মন তোমার কাছে, এখনো তোর সময় আছে,
ঠিক থাকিস তুই আগে পাছে, ঠিক রাখিস গুরুর চরণ
মনোমোহনের কাঁধে বোঝা, আর জানি কি আছে পরে॥

প্রজ্ঞাময় ব্যাখ্যাঃ
মানুষের মন প্রজ্ঞার অভাবে সুধার আস্বাধনের পরিবর্তে তিক্ত রসে লিপ্ত থাকে। তার মনের মধ্যে অজ্ঞানতার ফলে কেবল লোভ, দ্বেষ ও মোহের কারণে সব সময় বস্তুমুখী চিন্তা চেতনায় জীবন অতিবাহিত করে। সে প্রজ্ঞার অভাবে বেহুঁশের মতো প্রকৃত ধনের অভাবে বস্তুগত ধন সম্পদ অর্জনে জীবন ভোর লিপ্ত থাকে। যে কাঞ্চন সে সারাক্ষণ প্রচেষ্টার মাধ্যমে অর্জন করে তা সে সঙ্গে নিয়ে যেতে পারে না। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত যে সম্পদ অর্জনের জন্য সে সারাক্ষণ পেরেশান জীবন অতিক্রম করে নিজেকে দুঃখে রাখে সেই কাঞ্চন তার মৃত্যুকালে সঙ্গে যায় না। বস্তুময় সম্পদ তাকে সব সময় অনন্ত দুঃখের সাগরে ডুবিয়ে রাখে।

মানুষ প্রজ্ঞার অভাবে মন দ্বারা পরিচালিত হয়। এই মন তাকে কষ্টের দিকে ধাবিত করে। নিজের অজান্তে সে বিছানা পেতে বাঘের ছানার ন্যায় দুষ্টমনকে পুষতে থাকে। এই মনই তাকে আস্তে আস্তে চরম বস্তুর দিকে ধাবিত করে। বাঘ যেমন বড় হলে রক্ত চুষে জীবনের অবসান ঘটায় তেমনি অজ্ঞান বস্তুবাদী মন মানুষকে বস্তুর দিকে ধাবিত করে। আস্তে আস্তে মানুষের জীবনে গভীর অন্ধকারে বস্তুর গভীর সাগরে ডুবিয়ে দেয়। এই অন্ধকার অবস্থা থেকে আর উঠে আসতে পারে না। ভাগ্যক্রমে গুরুর দয়া পেলে এই চরম বস্তুর অনন্ত গহ্ব্বর থেকে বের হতে সক্ষম হয় এবং প্রজ্ঞার শক্তিতে শক্তিশালী হয়ে চরম শক্তির সাথে মিশে যেতে সক্ষম হয়।

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে
Small Banner