1. প্রচ্ছদ
  2. জাতীয়
  3. সারাবাংলা
  4. রাজনীতি
  5. রাজধানী
  6. আন্তর্জাতিক
  7. আদালত
  8. খেলা
  9. বিনোদন
  10. লাইফস্টাইল
  11. শিক্ষা
  12. স্বাস্থ্য
  13. তথ্য-প্রযুক্তি
  14. চাকরির খবর
  15. ভাবনা ও বিশ্লেষণ
  16. সাহিত্য
  17. মিডিয়া
  18. বিশেষ প্রতিবেদন
  19. ফটো গ্যালারি
  20. ভিডিও গ্যালারি

প্রশ্ন তথ্যমন্ত্রীর, বিএনপি পাকিস্তানকে কেনো এত অনুকরণ করেন?

নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০২৩, ০৪:০৬ পিএম প্রশ্ন তথ্যমন্ত্রীর, বিএনপি পাকিস্তানকে কেনো এত অনুকরণ করেন?

চট্টগ্রামঃ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া বিএনপি নির্বাচনে যাবে না বলে বিএনপির মহাসচিবের মন্তব্যের জবাবে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, পাকিস্তান ছাড়া পৃথিবীর কোথাও তত্ত্বাবধায়ক সরকার নাই। উনারা পাকিস্তানকে কেনো এত অনুকরণ করেন, সেটাই হচ্ছে আমার প্রশ্ন।

শুক্রবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বন্দরনগরী চট্টগ্রামের দেওয়ানজী পুকুরপাড়ের বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন তিনি।

সিঙ্গাপুর থেকে চিকিৎসা নিয়ে দেশে ফেরার পর বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল বলেছেন 'এই সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনেই তাদের আস্থা নেই। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনেই তারা নির্বাচনে যাবে। শুক্রবার মির্জা ফখরুলের মন্তব্য নিয়ে প্রশ্ন করা হয় তথ্যমন্ত্রীর কাছে। জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, 'মির্জা ফখরুল সাহেব একজন শিক্ষিত মানুষ হয়ে মুর্খের মতো বারবার সরকারের অধীনে নির্বাচন কেন বলেন? সেটাই হচ্ছে আমার প্রশ্ন।’

হাছান মাহমুদ বলেন, নির্বাচন হয় নির্বাচন কমিশনের অধীনে। সরকার তখন শুধু ফ্যাসিলিটেটরের ভূমিকা পালন করে। নির্বাচনকালীন যে সরকার দায়িত্বে থাকে, পুলিশের একজন কনস্টেবল বদলি করারও ক্ষমতা তাদের থাকে না। সেই নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ যেমন একটি পক্ষ, বিএনপিও একটা পক্ষ। আমরা সবাই নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করি।

বাংলাদেশে আর কখনো তত্ত্বাবধায়ক সরকার হবে না জানিয়ে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ভারত, অস্ট্রেলিয়া, জাপান, যুক্তরাজ্য, কন্টিনেন্টাল ইউরোপের বিভিন্ন দেশসহ সমস্ত সংসদীয় গণতন্ত্রের দেশে যেভাবে নির্বাচন হয়, সেভাবেই বাংলাদেশে নির্বাচন হবে।  

পাকিস্তানের আদলে স্বপ্ন দেখে কোনো লাভ নেই কথাটি পুনর্ব্যক্ত করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, চলতি সরকারই নির্বাচনকালীন সরকারের দায়িত্ব পালন করবে।

তিনি বলেন, একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের দায়িত্ব শুধু সরকারি দলের নয়। এক্ষেত্রে বিএনপিসহ সব রাজনৈতিক দলের দায়িত্ব হচ্ছে সহযোগিতা করা। কেউ যদি নির্বাচন বর্জন করে কিংবা প্রতিহতের অপচেষ্টা চালায় তাহলে এসবের দায়-দায়িত্ব তাদের।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ২০১৮ সালে বিএনপি যাবে কী যাবে না সে দ্বিধাদ্বন্দ্বের মধ্যে থেকে নির্বাচনে গেছে। তারা ২০১৪ সালে নির্বাচন প্রতিহত করার অপচেষ্টা চালিয়েছে। সুতরাং ওই নির্বাচন নিয়ে যদি কোনো প্রশ্ন থাকে এর দায়-দায়িত্ব বিএনপি এবং তাদের মিত্রদের। তারা ৫০০ নির্বাচনী কেন্দ্র পুড়িয়ে দিয়েছিল এবং বেশ কয়েকজন নির্বাচনী কর্মকর্তাসহ অনেক মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করেছিল।

তিনি বলেন, আমরা চাই একটি অংশগ্রহণমূলক, সুষ্ঠু এবং স্বচ্ছ নির্বাচনের মাধ্যমে আগামী দিনের সরকার নির্বাচিত হোক। গত বৃহস্পতিবার ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের বিভিন্ন রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে যে বৈঠক হয়েছে সেখানে নানা বিষয়ের মধ্যে একটি অবাধ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের বিষয়টি প্রাধান্য পেয়েছে। আমরা চাই দেশে আগামী নির্বাচনে বিএনপিসহ সব রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করুক।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বিদেশিদের আনাগোনা সবসময় ছিল। তাদের আনাগোনা বেশি হওয়া ভালো। তারা বাংলাদেশের ওপর ইন্টারেস্ট ফিল করছে। বাংলাদেশ যেহেতু ইমার্জিং ইকোনমি, বিদেশিরা একটু বেশি আসবে। আমাদের বাণিজ্য বহুমুখীকরণ হবে। আমরা আমাদের পণ্য বিক্রি করতে পারব। তাদের আগ্রহ আছে বিধায় আসছে, এটি দেশের জন্য ভালো। যেই দেশের অর্থনীতি চাঙ্গা, বাজার বড় এবং ক্রম সম্প্রসারণমান, সেখানে অন্যান্য দেশের আগ্রহ বাড়বে— এটাই খুব স্বাভাবিক।

তিনি বলেন, ২০০৯ সালে যখন আমরা সরকার গঠন করি, তখন বাংলাদেশ আকার অনুযায়ী পৃথিবীর ৬০তম অর্থনীতির দেশ। সেখান থেকে ১৪ বছরে আমরা জিডিপিতে ৩৫তম এবং পিপিপিতে ৩১তম অর্থনীতির দেশে উন্নীত হয়েছি। আগামী কয়েকবছর পর বাংলাদেশের ক্রম আরও ওপরে উঠবে। বাংলাদেশ ইকোনোমিকালি ইমার্জিং টাইগার, সেজন্য পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ বাংলাদেশের প্রতি আগ্রহ প্রকাশ করছে।

বুইউ

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে
Small Banner