 
       
                    
          
          ঢাকাঃ গণহত্যা ও নির্যাতনের মুখে বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নেওয়া লাখ লাখ রোহিঙ্গা নাগরিকের নিজ দেশ মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনের ওপর আবারও জোর দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি জানিয়েছেন, তারা যত তাড়াতাড়ি নিজ দেশে ফিরবে তত মঙ্গল। এজন্য তিনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সক্রিয়তা কামনা করেছেন।
সোমবার (১৪ আগস্ট) গণভবনে ঢাকায় নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে এলে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
বৈঠকের পর সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী প্রেস সচিব ইহসানুল করিম জানান, বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের ওপর জোর দিয়ে বলেছেন, যত তাড়াতাড়ি রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন হবে ততই বাংলাদেশের জন্য মঙ্গল।
তিনি আশা করেন, রোহিঙ্গা ইস্যুতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের যথাযথ মনোযোগ মিয়ানমারের নাগরিকদের প্রত্যাবাসনকে ত্বরান্বিত করবে।
প্রধানমন্ত্রী সতর্ক করে বলেন, রোহিঙ্গাদের দীর্ঘস্থায়ী অবস্থান কক্সবাজার অঞ্চলে সামাজিক সমস্যা আরও বাড়িয়ে দিতে পারে।
যুক্তরাজ্যের রাষ্ট্রদূত বলেন, বিষয়টি আন্তর্জাতিক মনোযোগের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকলে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ত্বরান্বিত হবে।
তিনি রোহিঙ্গাদের শিক্ষা এবং তাদের দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ দেওয়ার কথা বলেন যাতে তারা তাদের স্বদেশ মিয়ানমারে ফিরে পুনরায় কর্মসংস্থান করতে পারে।
বৈঠকে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক, নিরাপত্তা, জলবায়ু পরিবর্তন এবং আঞ্চলিক বিষয়ের মতো বিভিন্ন বিষয়ও আলোচিত হয়।
যুক্তরাজ্য (ইউকে) বাংলাদেশের সাথে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়াতে আগ্রহী বলে জানান সারাহ কুক।
কুককে উদ্ধৃত করে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম বলেন, বাংলাদেশের সার্বিক উন্নয়নে বিশেষ করে নারী শিক্ষার প্রচেষ্টায় যুক্তরাজ্য সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে।
এছাড়া বৈঠকে বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে সন্তোষ প্রকাশ এবং সম্পর্ক আরও সুসংহত করারও আশা প্রকাশ করা হয়।
যুক্তরাজ্যের রাষ্ট্রদূত বলেন, তারা চান বাংলাদেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক।
এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে দীর্ঘ ২১ বছর সংগ্রাম করতে হয়েছে। তিনি বলেন, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগ নেত্রী আইভি রহমানসহ ২৪ জন নিহত ও ৫০০ জনেরও বেশি আহত হওয়ার সবচেয়ে ভয়াবহ ঘটনাসহ তার প্রাণনাশের ১৯টি প্রচেষ্টা চালানো হয়েছে।
শেখ হাসিনা আরও বলেন, বিএনপি-জামায়াত ২০০১ সালে তাদের বিজয় উদযাপন করেছিল সন্ত্রাসের রাজত্ব জারি করে শত শত মানুষকে হত্যার পাশাপাশি সারাদেশে গ্রামে গ্রামে ধর্ষণ ও লুটপাটের মাধ্যমে।
সরকারপ্রধান বলেন, আমরাই মতপ্রকাশের স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠা করেছি এবং গণমাধ্যমকে বেসরকারি খাতের জন্য উন্মুক্ত করেছি।
জলবায়ু ইস্যুতে বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্যের মধ্যে বিদ্যমান সম্পর্কে সন্তোষ প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিকভাবে জলবায়ু কর্মকাণ্ডকে আরও এগিয়ে নিতে দুই দেশ চলতি বছরের মার্চ মাসে একটি জলবায়ু চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর অ্যাম্বাসেডর-এট-লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন ও মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া উপস্থিত ছিলেন।
বুইউ
-20251013141837.jpg) 
    -20251013095452.jpg) 
     
     
     
    -20250923081410.jpg) 
     
     
     
    -20250815155757.jpg)