1. প্রচ্ছদ
  2. জাতীয়
  3. সারাবাংলা
  4. রাজনীতি
  5. রাজধানী
  6. আন্তর্জাতিক
  7. আদালত
  8. খেলা
  9. বিনোদন
  10. লাইফস্টাইল
  11. শিক্ষা
  12. স্বাস্থ্য
  13. তথ্য-প্রযুক্তি
  14. চাকরির খবর
  15. ভাবনা ও বিশ্লেষণ
  16. সাহিত্য
  17. মিডিয়া
  18. বিশেষ প্রতিবেদন
  19. ফটো গ্যালারি
  20. ভিডিও গ্যালারি

ছেলে খুব উৎফুল্লভাবে ওটিতে ঢুকেছিল, আর ফিরে এলো না

নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২১, ২০২৪, ০৪:১৩ পিএম ছেলে খুব উৎফুল্লভাবে ওটিতে ঢুকেছিল, আর ফিরে এলো না

ঢাকাঃ রাজধানীর মালিবাগের জেএস ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড মেডিকেল চেকআপ সেন্টারে সুন্নতে খৎনা করাতে গিয়ে মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী আহনাফ তাহমিন আয়হামের (১০) মৃত্যুর ঘটনা তার বাবা মো. ফখরুল আলম বলেছেন, ছেলে খুব উৎফুল্লভাবে ওটিতে ঢুকেছিল, কিন্তু আর ফিরে এলো না।

বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল মর্গের সামনে তিনি এ কথা বলেন। আহনাফ তাহমিন আয়হামের মরদেহ এ মর্গেই রাখা হয়েছে।

ছেলের সঙ্গে সর্বশেষ আপনার কী কথা হয়েছিল, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ছেলেকে তো ওটিতে ঢুকিয়ে দিলাম। ও বলছিল একটু ভয় লাগছিল। আমি বলেছিলাম, বাবা কোনো সমস্যা নেই, আল্লাহ ভরসা। এরপর ওটিতে ঢুকল, আর সব শেষ। আমার ছেলে খুব উৎফুল্লভাবে ওটিতে ঢুকেছিল, খুব উৎফুল্লভাবে।

তিনি বলেন, আমাকে বলেছে ১১টার সময় ছেলের লাশ দিয়ে দেবে। এখন ডাক্তার বলছে পাঁচটা-ছয়টা বাজবে। আমি চাইনি মামলা করার জন্য, মামলার দরকার নেই। আমার ডিস্ট্রিক্ট কমিশনার আমাকে ফোন দিয়েছেন, ফোন দিয়ে বলছেন মামলা করতে হবে, তারা পদক্ষেপ নেবেন।

তাহলে আপনি মামলা করতে চাননি কেন, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, লাভ কী হবে? কারণ এ দেশে কোনো বিচার আছে? এই যে আমি হয়রানির শিকার হচ্ছি। গতকাল থেকে সারাদিন আমি অফিস করে বাচ্চাকে নিয়ে গেছি, পুরো রাত সজাগ, সারাদিন সজাগ, ঘুমাতে পারিনি।

মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন উল্লেখ করে মো. ফখরুল আলম বলেন, এ জন্যই আমি মামলা করতে চাইনি। আমি জানি এখানে এখন আমার ছেলের নামে... সে অসুস্থ ছিল হেঁটে যেতে পারেনি, মানে বিভিন্ন ধরনের কথা মিডিয়ার লোকেরাই ছড়াচ্ছে।

তিনি বলেন, আমার সুস্থ ছেলে, পাঁচ দিন (সপ্তাহে) স্কুলে যায়। তারপর স্কাউটেও জয়েন করেছে, সে ক্লাস ক্যাপ্টেনও। সে যদি অসুস্থ হতো, তাহলে তো এগুলোতে জয়েন করত না।

জানা গেছে, মালিবাগের জে এস ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড মেডিকেল চেকআপ সেন্টারে অর্থোপেডিক ও ট্রমা সার্জন ডা. এস এম মুক্তাদিরের তত্ত্বাবধানে মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) রাতে সন্তানকে সুন্নতে খৎনা করাতে আসেন শিশু আয়হামের বাবা ফখরুল আলম ও মা খায়কুন নাহার চুমকি। 

রাত আটটার দিকে খৎনা করানোর জন্য অ্যানেস্থেসিয়া দেওয়ার পর আর ঘুম ভাঙেনি আহনাফের। এর ঘণ্টাখানেক পর হাসপাতালটির পক্ষ থেকে শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করা হয়।

স্বজনদের অভিযোগ, লোকাল অ্যানেস্থেসিয়া দেওয়ার কথা থাকলেও ফুল অ্যানেস্থেসিয়া দেওয়া হয় আহনাফকে। যে কারণে তার জ্ঞান ফেরেনি।

এমআই/

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে
Small Banner