1. প্রচ্ছদ
  2. জাতীয়
  3. সারাবাংলা
  4. রাজনীতি
  5. রাজধানী
  6. আন্তর্জাতিক
  7. আদালত
  8. খেলা
  9. বিনোদন
  10. লাইফস্টাইল
  11. শিক্ষা
  12. স্বাস্থ্য
  13. তথ্য-প্রযুক্তি
  14. চাকরির খবর
  15. ভাবনা ও বিশ্লেষণ
  16. সাহিত্য
  17. মিডিয়া
  18. বিশেষ প্রতিবেদন
  19. ফটো গ্যালারি
  20. ভিডিও গ্যালারি

আমাদের শিক্ষার ক্ষুদ্রচিত্র

ড. হাকিম প্রকাশিত: অক্টোবর ২১, ২০১৯, ০১:৩৪ পিএম আমাদের শিক্ষার ক্ষুদ্রচিত্র

আমার এক বন্ধুর ছেলে একটা নামকরা স্কুলে পড়ে। এসএসসি পরীক্ষা দিবে। তাকে প্রতি বিষয়ের জন্যে এক বছর আগে থেকেই এ স্কুলের শিক্ষককে প্রাইভেট টিউটর হিসেবে রাখতে। প্রতি বিষয়ে মাসে শিক্ষককে তিন হাজার টাকা দিতে হবে। তিনি সপ্তাহে মাত্র দুই দিন পড়াবেন। তাতে লাভ? জানতে পারলাম, স্যারদেও কাছে পড়লে সবই কমন পড়ে, রেজাল্ট ভালো হয়। স্যাররা এসব সাজেশন স্কুলে দেন। ভালো রেজাল্ট করতে হলে তাদের  কাছে প্রাইভেট পড়া বাধ্যতামূলক ইত্যাদি কথাবার্তার রহস্য আবিষ্কৃত হলো সেদিন, যখন একটি দৈনিক পত্রিকায় দেখলাম প্রশ্নপত্র তৈরি আর পরীক্ষা-পদ্ধতির পরিবর্তন হচ্ছে, প্রশ্নপত্র তৈরির সাথে জড়িত শিক্ষকরা প্রাইভেট পড়ান এবং ওইসব ছাত্রদের তৈরি প্রশ্নপত্র আগেই বলে দেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

তাছাড়া কোন শিক্ষকের তৈরি প্রশ্নপত্র অনুমোদিত হলো তা আগের থেকেই সংশ্লিষ্ট শিক্ষকরা জেনে যান, তাদের সাথে কর্তৃপক্ষেও সুসম্পর্ক রয়েছে ইত্যাদি। যা-হোক আমার যুক্তি হলো শিক্ষকরা যখন মাসে দুই আড়াই লক্ষ টাকা ছাত্র পড়িয়ে রোজগার করছেন, ছাত্ররাও ভাল রেজাল্ট করছে, অভিভাবকও খুশি হচ্ছেন, কৃতী সন্তান বলে পত্রিকায় তাদের ছবি ছাপা হচ্ছে, ভালো স্কুল বলে নাম হচ্ছে, ছাত্র-ছাত্রীর ভিড়ও এতে অনেক বেড়ে যাচ্ছে- এতে কার কি অসুবিধা, সবাইতো সুবিধা পাচ্ছে। চলুক এভাবে যতদিন চলে! মন্ত্রী মহোদায় কেন মাদ্রাসায় ঢুকে আড়াই বস্তা নকল ধরতে গেলেন। আর নকলের দাবিতে পরীক্ষা কেন্দ্রে মিছিলের সংবাদ ছেপে পত্রিকাওয়ালা কেন স্পেস নষ্ট করলেন। সেখানে বিশ-পঁচিশ হাজার টাকার বিজ্ঞাপন ছাপালেও তো তাদের লাভ হত। শিক্ষক সাহেব না হয় তার স্নেহের ছাত্র-ছাত্রীকে হলে একটু সহায়তাই করেছে, তাতে ম্যাজিস্ট্রেট সাহেবইবা কেন তাকে হল থেকে বরখাস্ত করলেন।

বেচারা শিক্ষক তার ছাত্র-ছাত্রীদের একটু সাহায্য করে সারা বছরের ক্লাসে না পড়ানোর ফাঁকিটা বা প্রাইভেট পড়ানোর টাকাটা হালাল করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু এর বিনিময়ে পরীক্ষায় অকৃতককার্য হয়ে আত্মহত্যা করার হাত থেকে তার ছাত্র-ছাত্রীকে বাঁচানো তো আর তার অপরাধ নয়? সে যাক, শিক্ষা ব্যবস্থার সাথে জড়িত জ্ঞানীগুনী শ্রদ্ধেয় লোকদের নিয়ে এসব আবোল তাবোল কথাবার্তা বলে আবার কোন বিপদ হয়, কে জানে?

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে
Small Banner