ঐযে দেখো দূরের আকাশ, নীলের ভেলায় ভাসে
সেথায় থাকে আমার মায়ে, চাঁদের আশেপাশে
ছোট্টবেলা বলত মায়ে, ঐ আকাশেই নাকি
থাকবে বলে বাবা মোদের, দিয়ে গেছে ফাঁকি
তখন থেকে সন্ধ্যা হলে, আকাশ পানে চেয়ে
দেখতে পেতাম বাবার দুহাত, আসছে যেন ধেয়ে
জড়িয়ে নিতো বুকের মাঝে, ভীষণ মমতায়
সুখের পরশ থাকত মিশে, ভরা জ্যোৎস্নায়।
টিনের চালে রিম ঝিমঝিম, বৃষ্টি পড়ার ছলে
বলত মা, কান পেতে শোন, বাবা কথা বলে।
তখন থেকে বৃষ্টি এলে, চুপটি করে শুনি
বাবার কথা বুঝবো বলে, বৃষ্টি ফোটা গুনি।
শেষবার ঐ মাও যখন, গেলো আমায় ছেড়ে
আকাশ থেকে একটা তারা, আসলো যেন তেড়ে
মা গিয়েছে তাই নাকি সে, জায়গা ছেড়ে দিয়ে
আসলো হেথা আমার তরে, আলোর মশাল নিয়ে
এখনো রোজ বিকেল হলে, অপেক্ষাতে থাকি
সন্ধ্যা হলেই দুহাত ভরে, জ্যোৎস্না গায়ে মাখি।
রাতের পরে রাত চলে যায়, দিনের পরে দিন
হয়না দেখা মায়ের সাথে, স্মৃতি অমলিন।
আগের মত বাবাও এখন, চাঁদের আলোয় নেই
কোথায় পাবো তাদের দেখা, যাই হারিয়ে খেই
এখনো ঠিক চাঁদটা হাসে, জ্যোৎস্না ঝরে রোজ
মা হাসেনা চাঁদের সাথে, নেয়না আমার খোঁজ।
ভাঙলো কে গো চাঁদের হাটের, সাজানো সংসার
একলা একা ভাবি বসে, মুখটি করে ভার।।
আগামীনিউজ/নাসির