1. প্রচ্ছদ
  2. জাতীয়
  3. সারাবাংলা
  4. রাজনীতি
  5. রাজধানী
  6. আন্তর্জাতিক
  7. আদালত
  8. খেলা
  9. বিনোদন
  10. লাইফস্টাইল
  11. শিক্ষা
  12. স্বাস্থ্য
  13. তথ্য-প্রযুক্তি
  14. চাকরির খবর
  15. ভাবনা ও বিশ্লেষণ
  16. সাহিত্য
  17. মিডিয়া
  18. বিশেষ প্রতিবেদন
  19. ফটো গ্যালারি
  20. ভিডিও গ্যালারি

কবি জিয়া হায়দারের ৮৪তম জন্মদিন আজ

প্রকাশিত: নভেম্বর ১৮, ২০২০, ১২:০৬ পিএম কবি জিয়া হায়দারের ৮৪তম জন্মদিন আজ
ছবি: সংগৃহীত

ঢাকাঃ

“বিচিত্র সূতোয় বানানো কালো-কালো হয়ে যাওয়া সময়টাকে

হঠাৎ আজ সকালে আরেক, নতুন সময়ের নদীতে ফেলে দিলাম।

সন্ধ্যায় টেনে তুলতে গিয়ে বড় ভারী ঠেকলো,

আমার অগৌরবিত অতীতের চেয়েও ভারী।

আমার ধূসর বর্তমানের চেয়েও ভারী- একটা নিরাকার জীবন।”

(জন্মদিনের কবিতা/ জিয়া হায়দার)

নাট্যকার, নির্দেশক, গবেষক-প্রাবন্ধিক, অনুবাদক, শিক্ষক ও কবি জিয়া হায়দারের ৮৪তম জন্মদিন আজ।

১৯৩৬ সালের আজকের দিনে পাবনা জেলার দোহারপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। মা-বাবা ছোটবেলায় নাম রেখেছিলেন আবদুর রউফ জিয়াউদ্দিন হায়দার। পরে নামটি ছোট হয়ে তিনি পরিচিতি পান জিয়া হায়দার হিসেবেই। তবে মা-বাবা আদর করে ডাকতেন রউফ।

চৌদ্দ ভাইবোনের মধ্যে জিয়া হায়দার ছিলেন বাবা-মার প্রথম ছেলে আর তৃতীয় সন্তান। তার প্রথম স্কুল হাকিমউদ্দিন মেমোরিয়াল প্রাথমিক বিদ্যালয় (তার বাবার নামকরণে এবং প্রতিষ্ঠাতা)। পরে পাবনা গোপাল চন্দ্র ইনস্টিটিউট থেকে ১৯৫২ সালে ম্যাট্রিক ও ১৯৫৬ সালে পাবনা এডওয়ার্ড কলেজ থেকে পাস করেন আইএ। বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে বিএ, অনার্স করেছেন রাজশাহী কলেজ থেকে। আবার নাট্যকলা নিয়ে উচ্চশিক্ষা নিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জার্মানি থেকেও। লেখাপড়ার মধ্যেই সাংবাদিক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন তিনি। সহকারী সম্পাদক ছিলেন সাপ্তাহিক পল্লীবার্তায়। এ ছাড়া সাপ্তাহিক চিত্রালী, খ-কালীভাবে দৈনিক ইত্তেফাকেও কাজ করেন তিনি। তবে এমএ পরীক্ষার পরই বেছে নেন শিক্ষকতা। নারায়ণগঞ্জের সরকারি তোলারাম কলেজের বাংলা বিভাগে ছিলেন প্রভাষক। এ ছাড়া কাজ করেছেন সহকারী সংস্কৃতি অধিকর্তা, বাংলা একাডেমি ও বাংলাদেশ টেলিভিশনে সিনিয়র প্রোডিউসার হিসেবে। ১৯৭০ সালে ঢাকা টেলিভিশনের চাকরি ছেড়ে শিক্ষকতা শুরু করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে। সেখানে তিনি চারুকলা বিভাগের অধ্যাপক ছিলেন। নাটককে ভালোবেসে ১৯৬৮ সালে প্রতিষ্ঠা করেন নাগরিক নাট্য সম্প্রদায়। এরপর চট্টগ্রামে প্রতিষ্ঠা করলেন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব থিয়েটার আর্টস (বিটা)।

তিনি ৭টি কাব্যগ্রন্থ, ৪টি নাটক লিখেছেন এবং বেশকিছু নাটক অনুবাদও করেছেন। সাহিত্যে অবদানের জন্য তিনি ১৯৭৭ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কার এবং ২০০১ সালে দেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান একুশে পদকে ভূষিত হন। এ ছাড়া তিনি ২০০৭ সালে শহীদ মুনীর চৌধুরী পদক এবং সুখেন্দু-স্মৃতি নাট্য পদকও পান।

শেষ জীবনে জিয়া হায়দার ক্যানসারে আক্রান্ত হন। ২০০৮ সালের ২ সেপ্টেম্বর প্রথিতযশা এই মানুষটি মৃত্যুবরণ করেন।

আগামীনিউজ/মিথুন

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে
Small Banner