1. প্রচ্ছদ
  2. জাতীয়
  3. সারাবাংলা
  4. রাজনীতি
  5. রাজধানী
  6. আন্তর্জাতিক
  7. আদালত
  8. খেলা
  9. বিনোদন
  10. লাইফস্টাইল
  11. শিক্ষা
  12. স্বাস্থ্য
  13. তথ্য-প্রযুক্তি
  14. চাকরির খবর
  15. ভাবনা ও বিশ্লেষণ
  16. সাহিত্য
  17. মিডিয়া
  18. বিশেষ প্রতিবেদন
  19. ফটো গ্যালারি
  20. ভিডিও গ্যালারি

আদা

ড. নিম হাকিম প্রকাশিত: জুলাই ২৯, ২০২২, ০৮:২৪ পিএম আদা

পরিচিতিঃ Botanical Name: Zingiber officinale Rose, Shuth Common Name: Ada English Name: Ginger Family: Zingiberaceae.

রান্নার মশলা হিসেবে সবার কাছে আদা বহুল পরিচিত। আসাকে অকনো অবস্থায় হয়। আদা এক প্রকার বর্ষজীবী কন্দ জাতীয় উদ্ভিদ। গাছ ৩ থেকে ৪ ফুট পর্যন্ত লম্বা হয়। পাতাগুলো সবুজ ও সুন্দরভাবে সাজানো এবং সুবিন্যস্ত এবং ৫ থেকে ১০ ইঞ্চি লম্বা হয়। ফুল প্রায় দেখাই যায় না এবং কা হয় না। এর কন্দ বা শিকড় ব্যবহার করা হয়।

প্রাপ্তিস্থান: বাংলাদেশসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে আদা জন্মে। রংপুর ও দিনাজপুরে আদার প্রচুর চাষ করা হলেও পার্বত্য অঞ্চলের আদা অভি তেজস্কর ও কার্যকরী।

চাষাবাদ ও বৈশাখে কন্দের (Rhizom) মাধ্যমে এর চাষ হয়। চার-পাঁচ মাসের মধ্যে আনা পরিণত হয়। সাধারণতঃ মার্চ এপ্রিল মাসে আদা সারিবদ্ধভাবে রোপণের উপযুক্ত সময়। রোপণ করার পর খড়-সুটা নিয়ে ঢেকে রাখলে ভাল হয়। পানি নিষ্কাশনের উপযুক্ত ব্যবস্থা না থকলে আদা পড়ে বা বিনষ্ট হয়ে যেতে পারে। রোপণ করার পর প্রায় ৯-১০ মাস পরে অর্থাৎ ডিসেম্বর হতে ফেব্রুয়ারি মাসে পাতা শুকিয়ে গেলে পাতা কোর্টে দিয়ে ১৫ দিন অপেক্ষা করার পর আদা উত্তোলন করা উত্তম।

লাগানোর দূরত্ব: সাধারণত ৬-৮ ইঞ্চি দূরত্বে লাগাতে হয়।

উপযোগী মাটিঃ আদার জন্য অল্প ছায়াযুক্ত জায়গা প্রয়োজন। সাধারণত বেলে দোআঁশ ও কিছুটা অম্লভাবাপন্ন মাটিতে অধিক পরিমাণে আদা জন্মে থাকে।

পরিপক্ক হওয়ার সময়কাল: সাধারণত ৯ থেকে ১০ মাসে আদা পরিপক্ক হয়।

বীজ আহরণঃ আদার কন্দই বীজ হিসেবে ব্যবহার হয়। কন্দ সংগ্রহের সময় ডিসেম্বর থেকে মার্চ।

প্রতি কেজিতে বীজের পরিমাণঃ কন্দের মাধ্যমে চাষ করা হয়।

প্রক্রিয়াজাতকরণ / সংরক্ষণ ও আদা উত্তোলন করে শিকড়, মাটি ইত্যাদি পরিষ্কার করে ধুয়ে নিয়ে শুকিয়ে ১ বৎসর পর্যন্ত সংরক্ষণ করা যায়। তাছাড়া আদাকে বিশেষ প্রক্রিয়ায় (চুনের পানিতে) ভিজিয়ে পরবর্তীতে রোদে শুকিয়ে নিয়ে ওঁঠ বা শুঠি আদা তৈরি করা হয়। বিভিন্ন ঔষধ তৈরীর ক্ষেত্রে ওঁঠ ব্যবহৃত হয়ে থাকে।

ব্যবহার্য অংশঃ সাধারণত কাঁচা অথবা শুষ্ক পাউডার আকারে আদার কন্দ ব্যবহার হয়। আয়ুর্বেদিক শাস্ত্রে আদার গুঁঠের ব্যবহার বেশী।

উপকারিতা / লোকজ ব্যবহার: আদা পাকস্থলী ও যকৃতের শক্তিবর্ধক, জন কারক বায়ুনাশক। যৌনশক্তি ও স্মরণশক্তি বর্ধক এবং বাতনাশক। নাক, কান, কণ্ঠ ও দাঁতের রোগে উপকারি। শ্বাস শ্বেতী ও চর্মরোগ নাশক। বাত ও পেটের তিমি দূর করে। আদার রস মধুর সাথে খেলে কফ পরিষ্কার হয়। চোখের ছানি, চোখের ব্যথা এবং বধিরতায় আদা উপকারী। ডিমের কুসুম অর্থ সিদ্ধসহ আদা খেলে বৃদ্ধি পায়। আদার তেল প্রলেপ যেকোন ফোলা, ব্যথা এবং বাত ব্যথায় উপকারি।

কোন অংশ কিভাবে ব্যবহৃত হয়

● খাওয়ায় অরুচি হলে সিকি কাপ পানিতে ২ চামচ আদার রস ও সামান্য লবণ মিশিয়ে ১০/১৫ মিনিট।

● মুখে পুরে কিছুক্ষণ রেখে দিলে খাওয়ার রুচি ফিরে আসে।

● খাওয়ার আগে বিট লবণ দিয়ে একটু আদা চিবিয়ে খেলে পেট ফাঁপা দূর হয়, ক্ষুধা ও হজম শক্তি বাড়ে,

● মুখের বিরসতা, জিভের ও গলার কফ ও জড়তা দুই কেটে যায়।

● সর্দি ও জ্বারে আদার রসে মধু মিশিয়ে খেলে উপকার হয়।

● শরীর ঢাকা ঢাকা হয়ে ফুলে উঠলে (যাকে চলতি ভাষায় বলে আমবাত) পুরনো গুড়ের সাথে আদার রস মিশিয়ে খেলে উপশম হয়।

● পুরনো আমাশয়ে এক গ্রাম আদা উঠের গুঁড়া গরম পানির সাথে খেলে উপকার হয়।

● বসন্ত রোগে এক চা চামচ আদার রসে এক চা চামচ তুলসী পাতার রস মিশিয়ে খেলে বসন্তের এটি তাড়াতাড়ি বেরিয়ে যায়।

ছাগলের দুধের সাথে আদার রস মিশিয়ে খাওয়ালে হিক্কা থেমে যায়। কোন জায়গায় কেটে গেলে সেখানে একটু আদা ওঁঠের গুড়া টিপে দিলে রক্ত পড়া বন্ধ হয়ে যাবে ও কাটার ক্ষত তাড়াতাড়ি সেরে যায়। এছাড়াও আদার রস অত্যন্ত জনপ্রিয়ভাবে পেট ফাঁপা, বমি, স্বরভাঙ্গা, কাশি, গলা খুসখুস করা, কোষ্ঠকাঠিন্য, কান ব্যথা ও মাথা ব্যথার চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়।

অন্যান্য ব্যবহারঃ কাঁচা আদা মশলা হিসেবে প্রচুর পরিমাণে ব্যবহার হয়। আদা থেকে সুগন্ধি ও তৈল হয়।

আয়ঃ এক শতাংশ জমিতে সাধারণত ২০ থেকে ৩০ কেজি আদা উৎপাদন হয় যার বাজার মূল্য ৮০০ ১০০০ টাকা (তারতম্য হতে পারে)। আদা চাষ বাণিজ্যিকভাবে খুবই লাভজনক ।

এসএস

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে
Small Banner