1. প্রচ্ছদ
  2. জাতীয়
  3. সারাবাংলা
  4. রাজনীতি
  5. রাজধানী
  6. আন্তর্জাতিক
  7. আদালত
  8. খেলা
  9. বিনোদন
  10. লাইফস্টাইল
  11. শিক্ষা
  12. স্বাস্থ্য
  13. তথ্য-প্রযুক্তি
  14. চাকরির খবর
  15. ভাবনা ও বিশ্লেষণ
  16. সাহিত্য
  17. মিডিয়া
  18. বিশেষ প্রতিবেদন
  19. ফটো গ্যালারি
  20. ভিডিও গ্যালারি

কর্পূর

ড. নিম হাকিম প্রকাশিত: জানুয়ারি ৩০, ২০২২, ০৪:১৪ পিএম কর্পূর
ছবিঃ সংগৃহীত

পরিচতিঃ (Botanical Name: Cinnamomum camphara L., Common Name: Karpur, English Name: Camphor, Family: Scrophulariaceae.)

কর্পূর মসৃণ লোমযুক্ত উদ্ভিদ। কান্ড মোটা, নরম ও সরল। পাতার কান্ডের বিপরীত দিকে যুগ্মভাবে হয়, কখনও তিনটি পাতা দেখা যায়। পাতার কিনার করাতের মতো দাঁতযুক্ত, অগ্রভাগ সরু ও অবনত। পাতার সংযোগস্থল থেকে সবুজের আভাযুক্ত শ্বেতবর্ণের একটি ফুল হয়। ফুলে বেগুন দাগ আছে। পুষ্পদন্ড ৩০ সেন্টিমিটার লম্বা। গাছ ১৫ থেকে ২০ মিটার উঁচু, কান্ড নরম ও মোটা, কান্ডের উভয় দিকে একটির পর একটি পাতা হয়। বর্ষাকালে ফুল ও শীতকালে ফল ধরে। বাংলাদেশ, ভারত ও ইন্দোনেশিয়ায় এর আদি বাসস্থান।

প্রাপ্তিস্থানঃ বাংলাদেশের উত্তর অংশের উঁচু ভুমিতে ও সিলেট অঞ্চলে এমনকি কখনো কখনো বাস্তুভিটায় কর্পূর গাছ দেখা যায়।

চাষাবাদঃ বীজ হতে চারা তৈরি করে কর্পূর গাছ লাগানো হয়। ফেব্রুয়ারি-মার্চ মাসে গাছে ফুল ফোটে এবং জুন-আগস্ট মাসে ফল পাকে। তখন বীজ সংগ্রহ করতে হয়। বীজ সংগ্রহের দুই থেকে তিন সপ্তাহের মধ্যে বীজ বপন করতে হয়। বীজ বপনের পূর্বে ফল হতে বীজ বের করে নিতে হয়। বপনে দেরি হলে বীজের অঙ্কুরোদগম ক্ষমতা কমে যায়। ১ বছরের চারা রোপণ করতে হয়। পরিপক্ক ফল থেকে আলাদা করার জন্য তিন থেকে চারদিন ছায়াযুক্ত পরিবেশে স্তূপাকারে রাখতে হয় ও ফলকে পরিষ্কার পানিতে ধুয়ে হাট দিয়ে চটকিয়ে বীজ সংগ্রহ করা হয়। এরপর বীজকে রোদে শুঁকিয়ে সংরক্ষন করা উত্তম।

লাগানোর দূরত্বঃ ১০ থেকে ১৫ ফুট।

উপযোগী মাটিঃ উঁচু পাহাড়ী মাটিতে ভালো জন্মে। 

বীজ আহরণঃ জুন-আগস্ট মাসে ফল পাকলে রোদে শুকিয়ে তা থেকে বীজ সংগ্রহ করতে হয়।

প্রতি কেজিতে বীজের পরিমাণঃ ২৫,০০০-৩০,০০০ টি। 

প্রক্রিয়াজাতকরণ/সংরক্ষণঃ কর্পূর পাউডার আকারে গাছের মধ্যে থাকে।এই পাউডার সংগ্রহ করে কাঁচের পাত্রে সংরক্ষণ করা হয়।

ব্যবহার্য অংশঃ গাছের মূল, কাণ্ড, শাখা-প্রশাখা নির্যাস।

উপকারিতা/লোকজ ব্যবহারঃ কর্পূর হৃদপিন্ড ও  মস্তিষ্কের শক্তিবৃদ্ধি করে এবং মনের প্রফুল্লতা আনে। জ্বর, নিউমোনিয়া, যক্ষ্মা ও ফুসফুসের ক্ষতনাশক। উদরাময়, পিত্তজনিত পাতলা পায়খানা, যকৃত রোগ ও পিপাসা দূর করে। আমাশয়ে এ গাছ ব্যবহার হয়।

কোন অংশ কিভাবে ব্যবহৃত হয়ঃ

  • মূত্রাশয় ও প্রসাবের জ্বালাপোড়া নিবারণ করে; কর্পূর গোলাপ পানি ও চন্দনের সাথে ঘষে ব্যবহারে গরম জনিত মাথা ব্যথা উপশম হয়।
  • কর্পূর গোলানো পানি কপালে লাগালে এবং নাকে টানলে নাক দিয়ে রক্ত পড়া বন্ধ হয়।
  • কর্পূর মাজন দ্বারা দাঁত মাজলে বা কুলি করলে দাঁতের পোকা দূর হয়।
  • পাতার রস কফ নিবারক, গাছের রস জ্বরে স্নিগ্ধকর হিসেবে চিহ্নিত।

পরিপক্ক হওয়ার সময়কালঃ ১০ থেকে ১৫ বছর।

অন্যান্য ব্যবহারঃ কর্পূর কাঠ জ্বালানী, গ্রামীণ আসবাবপত্র নির্মাণ এবং গৃহ নির্মাণ কাজে ব্যবহার হয়।

সাবধানতাঃ অতিরিক্ত মাত্রায় কর্পূর সেবনে শীতল প্রকৃতির ও দূর্বল লোকের জন্য ক্ষতিকর এবং যৌনশক্তি হ্রাস করে ও সন্তান উৎপাদন  ক্ষমতা নষ্ট করে।

আয়ঃ একটি গাছ থেকে ৪/৫ কেজি কর্পূর পাওয়া যায় যার বাজার মূল্য ১০০০-১২০০ টাকা।

আগামীনিউজ/নাসির

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে
Small Banner